০১:৫০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৫ জুন ২০২৫
বন্ধ প্রধান ফটক : সেবাগ্রহীতাদের দুর্ভোগ

টানা ৪র্থ দিনের মতো নগরভবনে  বিক্ষোভ করেছেন ইশরাকপন্থিরা

ইউএনএ প্রতিবেদক
  • আপডেট: ১১:৪০:২৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৮ মে ২০২৫
  • / 16

পাঁচটি আঞ্চলিক কার্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেছেন ইশরাকপন্থিরা – ছবি : ইউএনএ

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র হিসেবে ইশরাক হোসেনকে শপথ পড়ানোর দাবিতে টানা চতুর্থ দিনের মতো পাঁচটি আঞ্চলিক কার্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেছেন তার সমর্থকরা।আন্দোলনকারীরা নগরভবনের প্রধান ফটক আটকে দিয়ে সেখানে অবস্থান নিয়েছেন। ফলে সেবাগ্রহীতারা ভবনের ভেতরে প্রবেশ করতে পারছেন না।

রোববার (১৮ মে) সকাল থেকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন নগরভবনের প্রধান ফটকের সামনে ‘ঢাকাবাসী’ ব্যানারে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করছেন আন্দোলনকারীরা।

ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের বিভিন্ন এলাকা থেকে ছোট ছোট মিছিল নিয়ে এসে তারা নগরভবনের সামনে জড়ো হচ্ছেন। বাইরে অবস্থান নিয়ে ইশরাক হোসেনের শপথ গ্রহণে বিলম্বের প্রতিবাদ জানাচ্ছেন তারা। এ সময় ‘শপথ শপথ চাই, ইশরাক ভাইয়ের শপথ চাই’, ‘শপথ নিয়ে তালবাহানা চলবে না চলবে না’, ‘অবিলম্বে ইশরাক হোসেনের শপথ চাই, দিতে হবে’, ‘জনতার মেয়র ইশরাক ভাই, অন্য কোনো মেয়র নাই’ সহ বিভিন্ন স্লোগান দিতে দেখা গেছে।

কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া একজন বর‌্যণ, ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক জনগণের ভোটে মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন। আমরা তাকে দ্রুত মেয়র হিসেবে দেখতে চাই। তার বিষয়টি কত দিন এভাবে আটকে রাখবে? সরকারের কাছে আমাদের প্রশ্ন, কেন তাকে এখনো শপথ গ্রহণ করানো হচ্ছে না? শপথ যত দিন পড়ানো হবে না, তত দিন আমরা রাজপথ ছাড়ছি না। যদি এটা নিয়ে কোনো টালবাহানা হয় আমরা আরও বড় কর্মসূচি দিতে বাধ্য হব।

এদিকে শনিবার (১৭ মে) সন্ধ্যায় জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে ইশরাক হোসেন বলেন, নির্বাচনের ৩০ দিনের মধ্যে মামলা করা হয়েছিল। তাপস প্রভাব খাটিয়ে এই মামলা থামানোর চেষ্টা করেন। তখন আদালত আওয়ামী লীগের নিয়ন্ত্রণে ছিল। তবে সব আইনি পদক্ষেপ মেনে আমরা রায় পেয়েছি। কাজেই আদালতের এই রায়ের বিরুদ্ধে যারা কথা বলছেন, তারা আদালত অবমাননা করছেন।

বিএনপির এই নেতা আরো বলেন, যারা আন্দোলন করতে চায় তারা আন্দোলন চালিয়ে যাবে। আমি ইশরাক নিয়মতান্ত্রিক, আইনের ধারাবাহিকতা ও গণতন্ত্রে বিশ্বাস করি তাই কাউকে বাধা দেব না।

প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের ১ ফেব্রুয়ারি ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। বিএনপির ইশরাক হোসেনকে পৌনে ২ লাখ ভোটের ব্যবধানে হারিয়ে আওয়ামী লীগের শেখ ফজলে নূর তাপস মেয়র হন। গত ২৭ মার্চ ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ২০২০ সালের নির্বাচনে ফজলে নূর তাপসকে বিজয়ী ঘোষণার ফল বাতিল করে বিএনপি নেতা ইশরাককে মেয়র ঘোষণা করা হয়। ট্রাইব্যুনালের রায়ের কপি পেয়ে ২২ এপ্রিল গেজেট প্রকাশের বিষয়ে আইন মন্ত্রণালয়ের পরামর্শ চায় নির্বাচন কমিশন।

শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষণ করুন

বন্ধ প্রধান ফটক : সেবাগ্রহীতাদের দুর্ভোগ

টানা ৪র্থ দিনের মতো নগরভবনে  বিক্ষোভ করেছেন ইশরাকপন্থিরা

আপডেট: ১১:৪০:২৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৮ মে ২০২৫

পাঁচটি আঞ্চলিক কার্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেছেন ইশরাকপন্থিরা – ছবি : ইউএনএ

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র হিসেবে ইশরাক হোসেনকে শপথ পড়ানোর দাবিতে টানা চতুর্থ দিনের মতো পাঁচটি আঞ্চলিক কার্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেছেন তার সমর্থকরা।আন্দোলনকারীরা নগরভবনের প্রধান ফটক আটকে দিয়ে সেখানে অবস্থান নিয়েছেন। ফলে সেবাগ্রহীতারা ভবনের ভেতরে প্রবেশ করতে পারছেন না।

রোববার (১৮ মে) সকাল থেকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন নগরভবনের প্রধান ফটকের সামনে ‘ঢাকাবাসী’ ব্যানারে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করছেন আন্দোলনকারীরা।

ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের বিভিন্ন এলাকা থেকে ছোট ছোট মিছিল নিয়ে এসে তারা নগরভবনের সামনে জড়ো হচ্ছেন। বাইরে অবস্থান নিয়ে ইশরাক হোসেনের শপথ গ্রহণে বিলম্বের প্রতিবাদ জানাচ্ছেন তারা। এ সময় ‘শপথ শপথ চাই, ইশরাক ভাইয়ের শপথ চাই’, ‘শপথ নিয়ে তালবাহানা চলবে না চলবে না’, ‘অবিলম্বে ইশরাক হোসেনের শপথ চাই, দিতে হবে’, ‘জনতার মেয়র ইশরাক ভাই, অন্য কোনো মেয়র নাই’ সহ বিভিন্ন স্লোগান দিতে দেখা গেছে।

কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া একজন বর‌্যণ, ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক জনগণের ভোটে মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন। আমরা তাকে দ্রুত মেয়র হিসেবে দেখতে চাই। তার বিষয়টি কত দিন এভাবে আটকে রাখবে? সরকারের কাছে আমাদের প্রশ্ন, কেন তাকে এখনো শপথ গ্রহণ করানো হচ্ছে না? শপথ যত দিন পড়ানো হবে না, তত দিন আমরা রাজপথ ছাড়ছি না। যদি এটা নিয়ে কোনো টালবাহানা হয় আমরা আরও বড় কর্মসূচি দিতে বাধ্য হব।

এদিকে শনিবার (১৭ মে) সন্ধ্যায় জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে ইশরাক হোসেন বলেন, নির্বাচনের ৩০ দিনের মধ্যে মামলা করা হয়েছিল। তাপস প্রভাব খাটিয়ে এই মামলা থামানোর চেষ্টা করেন। তখন আদালত আওয়ামী লীগের নিয়ন্ত্রণে ছিল। তবে সব আইনি পদক্ষেপ মেনে আমরা রায় পেয়েছি। কাজেই আদালতের এই রায়ের বিরুদ্ধে যারা কথা বলছেন, তারা আদালত অবমাননা করছেন।

বিএনপির এই নেতা আরো বলেন, যারা আন্দোলন করতে চায় তারা আন্দোলন চালিয়ে যাবে। আমি ইশরাক নিয়মতান্ত্রিক, আইনের ধারাবাহিকতা ও গণতন্ত্রে বিশ্বাস করি তাই কাউকে বাধা দেব না।

প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের ১ ফেব্রুয়ারি ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। বিএনপির ইশরাক হোসেনকে পৌনে ২ লাখ ভোটের ব্যবধানে হারিয়ে আওয়ামী লীগের শেখ ফজলে নূর তাপস মেয়র হন। গত ২৭ মার্চ ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ২০২০ সালের নির্বাচনে ফজলে নূর তাপসকে বিজয়ী ঘোষণার ফল বাতিল করে বিএনপি নেতা ইশরাককে মেয়র ঘোষণা করা হয়। ট্রাইব্যুনালের রায়ের কপি পেয়ে ২২ এপ্রিল গেজেট প্রকাশের বিষয়ে আইন মন্ত্রণালয়ের পরামর্শ চায় নির্বাচন কমিশন।

শেয়ার করুন