পশুর চামড়া সঠিকভাবে ছাড়ানোর পদ্ধতি

- আপডেট: ০১:১৪:৪৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ৪ জুন ২০২৫
- / 16
চামড়া ছাড়ানোর পর ৪/৫ ঘণ্টার মধ্যে লবণ লাগাতে হবে -ফাইল ছবি
কোরবানির পশুর চামড়া সাবধানে ছাড়াবেন। যেন কেটে না যায়। ময়লা না লাগে মত পরিষ্কার স্থানে রাখুন। চামড়া ছাড়ানোর পর ৫/৬ ঘণ্টার মধ্যে লবণ লাগাবেন। লবণ লাগানোর আগে চামড়ার সাথে লেগে থাকা গোস্ত ও চর্বি ভাল মত কেটে কেটে তুলে ফেলবেন। খেয়াল রাখতে হবে চামড়ার সঙ্গে লেগে থাকা চর্বি ও গোস্ত যেন ভালভাবে অপসারিত হয়। তবে তা বিশেষ কায়দায় ধারালো ছুরি দিয়ে ধীরে ধীরে করতে হবে। এরপর চামড়া পরিষ্কার পানি দিয়ে ভালো করে ধুয়ে নিতে হবে, হালকা রোদে দিয়ে পানি শুকিয়ে নিতে হবে। বেশিক্ষণ রোদে রাখবেন না। রোদ পাওয়া না গেলে রোদে দেয়ার দরকার নেই। কিছুর সাথে আটকে রাখলে পানি ঝরে যাবে। চামড়া ছাড়ানোর পর ৪/৫ ঘণ্টার মধ্যে লবণ লাগাতে হবে।
চামড়া ছাড়ানোর সময় প্রথমেই পশুর সামনের এক পা থেকে বুকের ওপর দিয়ে অন্য পা পর্যন্ত লম্বালম্বিভাবে এবং পেছনের এক পা থেকে অন্য পা পর্যন্ত লেজের গোড়া থেকে প্রায় ৪-৬ ইঞ্চি ওপর দিয়ে লম্বালম্বিভাবে কাটতে হবে। একই সাথে চামড়ার জবাই স্থান থেকে পেটের ওপর দিয়ে লেজের গোড়া পর্যন্ত লম্বালম্বিভাবে কাটতে হবে।
জবাইয়ের পর চামড়া আড়াআড়ি কাটার জন্য সুচালো মাথার ছুরি এবং চামড়া ছাড়ানোর জন্য অবশ্যই বাঁকানো মাথার ছুরি ব্যবহার করতে হবে।
কোরবানির পশু জবাইয়ের পর রক্তমাখা ছুরি কোনোভাবেই পশুর চামড়ায় মোছা যাবে না, এতে চামড়ার ক্ষতি হতে পারে।
কাঁচা চামড়ার বড় ধরনের ত্রুটি (লেস-কাটা) যা অসতর্ককতা, অজ্ঞতা ও ভুল ছুরি ব্যবহারের মাধ্যমে হয়ে থাকে। উপযুক্ত প্রশিক্ষণ, সতর্কতা ও বাঁকানো মাথার ধারালো ছুরি ব্যবহার করে লেস-কাটা হ্রাস করা সম্ভব।
কাঁচা চামড়া সংরক্ষণ পদ্ধতি : চামড়া ছাড়ানোর পর লবণ দিয়ে সংরক্ষণের পূর্বে অবশ্যই চামড়ায় লেগে থাকা চর্বি, মাংস, রক্ত, মাটি এবং গোবর ভালোভাবে পানি দিয়ে ধুয়ে চামড়ার পানি ঝরিয়ে লবণ প্রয়োগ করতে হবে।
কাঁচা চামড়া ছাড়ানোর পর সংরক্ষণের জন্য (গরুর চামড়ার ক্ষেত্রে ৭-৮ কেজি এবং ছাগল/ভেড়ার চামড়ার ক্ষেত্রে ৩-৪ কেজি) লবণ প্রয়োগ করতে হবে। লবণ এমনভাবে প্রয়োগ করতে হবে যেন চামড়ার ফ্লেশ সাইডের কোনো অংশ ফাঁকা না থাকে, লবণ সমভাবে চামড়ায় ছড়িয়ে দিতে হবে।
চামড়া ছাড়ানোর ৪-৫ ঘণ্টার মধ্যে অবশ্যই লবণ লাগাতে হবে এবং সংরক্ষণের জায়গা একটু ঢালু হতে হবে যেন চামা থেকে পানি ও রক্ত সহজেই গড়িয়ে যেতে পারে।
লবণ দেওয়া চামড়া এমন জায়গায় রাখতে হবে যেন রোদ বা বৃষ্টির পানি না লাগে এবং বাতাস চলাচল স্বাভাবিক থাকে।