১১:৪২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ জুন ২০২৫
কাকরাইল মোড়ে জগন্নাথের শিক্ষার্থীদের অবস্থান

পুলিশের হামলার বিচার ও তিন দফা দাবি আন্দোলনকারীদের

ইউএনএ প্রতিবেদক
  • আপডেট: ১২:৩৯:০৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ মে ২০২৫
  • / 23

কাকরাইল মোড়ে অবস্থান করছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা -ছবি : ইউএনএ

পুলিশের হামলার বিচার ও তিন দফা দাবিতে রাজধানীর কাকরাইল মোড়ে অবস্থান করছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা।

বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টায় কাকরাইল এলাকায় গিয়ে দেখা যায় আন্দোলনকারীদের কেউ সড়কে শুয়ে আছেন, কেউ বসে আছেন। ‘আপস না সংগ্রাম, সংগ্রাম সংগ্রাম’, ‘দালালী না রাজপথ, রাজপথ রাজপথ’, ‘লড়াই লড়াই লড়াই চাই, লড়াই করে বাঁচতে চাই’, ‘চুপ কেন যমুনা, খালি হাতে ফিরবো না’ এমন নানা স্লোগানও দিচ্ছেন তারা।

এদিকে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের অবস্থানের কারণে কাকরাইল মোড় দিয়ে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। কাকরাইল মোড় থেকে পল্টনের দিকের সড়কে দেখা দিয়েছে তীব্র যানজট।

শিক্ষার্থীরা বলছেন, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তারা রাজপথ ছাড়বেন না আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী গোলাম রাব্বানী বলেন, আমাদের দাবিগুলো অত্যন্ত যৌক্তিক। এই ন্যায্য দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত রাজপথ ছাড়বো না। রাতে আমরা সড়কে অবস্থান করেছি। এখনো করবও। আমাদের আরও সহপাঠী আসবেন।

আন্দোলন ঘিরে সতর্ক অবস্থানে দেখা গেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে।

তিন দফা দাবিতে বুধবার দুপুর পৌনে ১২টার দিকে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনা অভিমুখী লংমার্চ কর্মসূচি শুরু করেন।

দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে লংমার্চ কাকরাইল মসজিদের সামনে পৌঁছালে বাধা দেয় পুলিশ। আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা পুলিশের দেওয়া ব্যারিকেড ভেঙে যমুনার দিকে যাওয়ার চেষ্টা করেন। তখন পুলিশ লাঠিপেটা শুরু করে। একপর্যায়ে তাঁদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ কাঁদানে গ্যাসের শেল, সাউন্ড গ্রেনেড ও জলকামান ব্যবহার করে। এতে ছত্রভঙ্গ হয়ে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা পিছু হটেন। এ ঘটনায় প্রায় অর্ধশত শিক্ষক-শিক্ষার্থী আহত হন বলে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা জানান।

বেলা ২টার দিকে প্রায় ২০০ শিক্ষার্থী কাকরাইল মোড়ে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করতে থাকেন। এতে রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ এ মোড় দিয়ে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। বিকেল চারটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের আটটি বাসে এসে তাঁদের সঙ্গে যোগ দেন কয়েক শ শিক্ষক-শিক্ষার্থী। তাদের মধ্যে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. রেজাউল করিম ও কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক সাবিনা শরমীন ছিলেন।

বিক্ষোভকারী শিক্ষক–শিক্ষার্থীদের প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার সামনে যাওয়ার সুযোগ নেই বলে গতকাল জানান ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) রমনা বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মাসুদ আলম। তিনি বলেন, এখানে ১৪৪ ধারা বহাল রয়েছে।

বিকেল পাঁচটার দিকে উপাচার্যের নেতৃত্বে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের পাঁচ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনায় যায়।

শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষণ করুন

কাকরাইল মোড়ে জগন্নাথের শিক্ষার্থীদের অবস্থান

পুলিশের হামলার বিচার ও তিন দফা দাবি আন্দোলনকারীদের

আপডেট: ১২:৩৯:০৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ মে ২০২৫

কাকরাইল মোড়ে অবস্থান করছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা -ছবি : ইউএনএ

পুলিশের হামলার বিচার ও তিন দফা দাবিতে রাজধানীর কাকরাইল মোড়ে অবস্থান করছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা।

বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টায় কাকরাইল এলাকায় গিয়ে দেখা যায় আন্দোলনকারীদের কেউ সড়কে শুয়ে আছেন, কেউ বসে আছেন। ‘আপস না সংগ্রাম, সংগ্রাম সংগ্রাম’, ‘দালালী না রাজপথ, রাজপথ রাজপথ’, ‘লড়াই লড়াই লড়াই চাই, লড়াই করে বাঁচতে চাই’, ‘চুপ কেন যমুনা, খালি হাতে ফিরবো না’ এমন নানা স্লোগানও দিচ্ছেন তারা।

এদিকে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের অবস্থানের কারণে কাকরাইল মোড় দিয়ে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। কাকরাইল মোড় থেকে পল্টনের দিকের সড়কে দেখা দিয়েছে তীব্র যানজট।

শিক্ষার্থীরা বলছেন, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তারা রাজপথ ছাড়বেন না আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী গোলাম রাব্বানী বলেন, আমাদের দাবিগুলো অত্যন্ত যৌক্তিক। এই ন্যায্য দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত রাজপথ ছাড়বো না। রাতে আমরা সড়কে অবস্থান করেছি। এখনো করবও। আমাদের আরও সহপাঠী আসবেন।

আন্দোলন ঘিরে সতর্ক অবস্থানে দেখা গেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে।

তিন দফা দাবিতে বুধবার দুপুর পৌনে ১২টার দিকে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনা অভিমুখী লংমার্চ কর্মসূচি শুরু করেন।

দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে লংমার্চ কাকরাইল মসজিদের সামনে পৌঁছালে বাধা দেয় পুলিশ। আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা পুলিশের দেওয়া ব্যারিকেড ভেঙে যমুনার দিকে যাওয়ার চেষ্টা করেন। তখন পুলিশ লাঠিপেটা শুরু করে। একপর্যায়ে তাঁদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ কাঁদানে গ্যাসের শেল, সাউন্ড গ্রেনেড ও জলকামান ব্যবহার করে। এতে ছত্রভঙ্গ হয়ে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা পিছু হটেন। এ ঘটনায় প্রায় অর্ধশত শিক্ষক-শিক্ষার্থী আহত হন বলে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা জানান।

বেলা ২টার দিকে প্রায় ২০০ শিক্ষার্থী কাকরাইল মোড়ে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করতে থাকেন। এতে রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ এ মোড় দিয়ে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। বিকেল চারটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের আটটি বাসে এসে তাঁদের সঙ্গে যোগ দেন কয়েক শ শিক্ষক-শিক্ষার্থী। তাদের মধ্যে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. রেজাউল করিম ও কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক সাবিনা শরমীন ছিলেন।

বিক্ষোভকারী শিক্ষক–শিক্ষার্থীদের প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার সামনে যাওয়ার সুযোগ নেই বলে গতকাল জানান ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) রমনা বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মাসুদ আলম। তিনি বলেন, এখানে ১৪৪ ধারা বহাল রয়েছে।

বিকেল পাঁচটার দিকে উপাচার্যের নেতৃত্বে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের পাঁচ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনায় যায়।

শেয়ার করুন