মালয়েশিয়া ১ থেকে দেড় লাখ বিদেশি শ্রমিক নেবে : প্রবাসী কল্যাণ উপদেষ্টা

- আপডেট: ০৯:২৯:০৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ মে ২০২৫
- / 17
মালয়েশিয়া সফরে ড. আসিফ নজরুল- ছবি: সংগৃহীত
নতুন করে মালয়েশিয়ার শ্রমবাজারে বাংলাদেশিদের নিয়োগের ব্যাপারে আলোচনায় বড় অগ্রগতির কথা জানিয়েছেন প্রবাসী কল্যাণ উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল। তিনি বলেন, আগামী কয়েক মাসের মধ্যে মালয়েশিয়া ১ থেকে দেড় লাখ বিদেশি শ্রমিক নেবে।
বর্তমান হিউম্যান রিসোর্স মিনিস্টার নিশ্চিত করেছেন, লোক নেওয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। আমরা প্রস্তাব করেছিলাম, দেশের সবগুলো রিক্রুটিং এজেন্সিগুলো যেন লোক পাঠাতে পারে সে ব্যবস্থা করতে। তারা বলেছেন এ বিষয়টি বিবেচনা করবেন। তাছাড়া অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশের শ্রমিকরা যাতে মাল্টিপল ভিসা পায় সে বিষয়টিও দ্রুত বাস্তবায়ন করা হবে বলে জানানো হয়।
বৃহস্পতিবার (১৫ মে) এক ভিডিও বার্তায় তিনি এ তথ্য জানান।
মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার নিয়ে বড় ধরনের সুখবর রয়েছে বলে তিনি জানান, মালয়েশিয়া তাদের শ্রমবাজারের জন্য ৭ হাজার ৯২৬ জন বাংলাদেশি শ্রমিকের তালিকা চূড়ান্ত করেছে। বর্তমানে মালয়েশিয়া সফরে আছেন তিনি। সেখানে শ্রমবাজার নিয়ে আলোচনা করছেন এবং দেশটির সরকারের পক্ষ থেকে আশ্বাস পেয়েছেন।
উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বলেন, গত বছর মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ সফরে এসেছিলেন। তিনি প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের ব্যক্তিগত বন্ধুও। সেবার তিনি প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, শেষ সময়ে বাংলাদেশের যেসব শ্রমিকরা মালয়েশিয়া যেতে পারেননি তাদের তিনি মালয়েশিয়া যাওয়ার সুযোগ করে দেবেন।
এবারের বৈঠকে সে বিষয়ে আমরা আলোচনা করেছি। তারা জানিয়েছেন, ব্যাচ ভিত্তিক শ্রমিক নেওয়া হবে। প্রথম ব্যাচে ৭ হাজার ৯২৬ জনের তালিকা চূড়ান্ত করা হয়েছে। খুব অল্পসময়ের মধ্যেই তাদের কাজ করার সুযোগ দেওয়া হবে।
তিনি আরও বলেন, এছাড়া যারা ইরেগুলার শ্রমিক তাদের রেগুলার করার প্রস্তাবও আমরা দিয়েছি। প্রতি উত্তরে জানানো হয় মাঝেমধ্যেই তারা এটা করে থাকেন তবে ভিসা মেয়াদোত্তীর্ণ হয়ে গেলে তা করা সম্ভব হয় না। তখন আমরা বলেছি, মালিকের গাফিলতির কারণে এমনটা হয়ে থাকে। ফলে এ বিষয়টি সমাধানেও মালয়েশিয়ান সরকার কাজ করবে বলে জানানো হয়।
আসিফ নজরুল বলেন, মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার নিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বরাবরই আমাদের দিক নির্দেশনা দিয়ে থাকেন। পাশাপাশি প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারাও এসব সমস্যা সমাধানে কাজ করে যাচ্ছেন।