রাজস্ব অধ্যাদেশ বাতিলের দাবিতে দ্বিতীয় দিনে স্থবির এনবিআর

- আপডেট: ০৯:১৭:১৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ মে ২০২৫
- / 13
কলম বিরতির দ্বিতীয় দিন শেষে সংবাদ সম্মেলন করেন এনবিআরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা -ছবি : ইউএনএ
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) বিলুপ্ত করে দুটি পৃথক বিভাগ গঠনের অধ্যাদেশ জারি করেছে সরকার। এ অধ্যাদেশ বাতিল করে রাজস্ব ব্যবস্থার যৌক্তিক সংস্কার নিশ্চিত করার দাবিতে কলম বিরতি কর্মসূচি পালন করছেন এনবিআরের কর্মকর্তা-কর্মচরীরা।
বৃহস্পতিবার (১৫ মে) দ্বিতীয় দিনের মতো কলম বিরতি পালন করেন তারা। তবে বহিরাগতদের দিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ আন্দোলন দমানোর চেষ্টা করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। কলম বিরতির কার্যক্রমে কার্যত স্থবিরতা দেখা দিয়েছে এনবিআরে। রাজস্ব আদায় কার্যক্রমসহ নানান কার্যক্রম এদিন প্রায় বন্ধ ছিল।
সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে এনবিআরের চেয়ারম্যান ও ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ গণমাধ্যমে কথা বলার ঘোষণা দিয়েও পরে কথা বলেননি।
আন্দোলনরত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা যেসব দাবি উত্থাপন করেছেন তার মধ্যে রয়েছে প্রণীত রাজস্ব অধ্যাদেশ অবিলম্বে বাতিল করা, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড সংস্কার সংক্রান্ত পরামর্শক কমিটির প্রতিবেদন জনসমক্ষে প্রকাশ করা। পরামর্শক কমিটির প্রতিবেদন ও অর্থনৈতিক অবস্থা বিষয়ক শ্বেতপত্র আলোচনা-পর্যালোচনা করে প্রত্যাশী সংস্থাসমূহ, ব্যবসায়ী সংগঠন, সুশীল সমাজ, রাজনৈতিক নেতৃত্বসহ সব অংশীজনের মতামত নিয়ে সমন্বিত, অংশগ্রহণমূলক ও টেকসই রাজস্ব ব্যবস্থা সংস্কার করা।
এসব দাবি আদায়ের লক্ষ্যে তারা তিনদিনের কলম বিরতি কর্মসূচি পালন করছেন। এর মধ্যে বুধবার সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত ও আজ সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত কলম বিরতি পালন করেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের অধীন দেশের সব কার্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। এ কর্মসূচির মধ্যে আরও রয়েছে আগামী শনিবার সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত কলম বিরতি।
বৃহস্পতিবার কলম বিরতির দ্বিতীয় দিন শেষে সংবাদ সম্মেলন করেন আন্দোলনরত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। এতে বক্তব্য দেন উপকর কমিশনার মুস্তাফিজুর রহমান ও কাস্টমসের অতিরিক্ত কমিশনার সিফাত-ই-মরিয়ম।
তারা বলেন, আমরা এনবিআর তথা রাজস্ব প্রশাসন সংস্কারের বিরোধী নই। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সর্বস্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারী রাজস্ব ব্যবস্থা সংস্কারের দাবি দীর্ঘদিন ধরে করে আসছে। আমরা চাই এই সংস্কার যৌক্তিক ও গ্রহণযোগ্য হবে, দেশের স্বার্থ ও উন্নয়নধর্মী দর্শন এতে প্রতিফলিত হবে।
এছাড়া রাজস্ব প্রশাসন অধিকতর কার্যকর, প্রগতিশীল ও দুর্নীতিমুক্ত হবে এবং সংস্কার কোনো গোষ্ঠীগত কায়েমি স্বার্থ হাসিলের হাতিয়ার হবে না।