০৬:৫১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৬ জুন ২০২৫

সরকারি চাকরি অধ্যাদেশ প্রত্যাহারের দাবিতে সচিবালয়ে কর্মচারীদের বিক্ষোভ

ইউএনএ প্রতিবেদক
  • আপডেট: ১২:০২:১৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৫ মে ২০২৫
  • / 15

সচিবালয়ে বিক্ষোভ করছেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা -ছবি : ইউএনএ

‘সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’-এর খসড়া অনুমোদনের প্রতিবাদে সচিবালয়ের ভেতরে রোববার দ্বিতীয় দিনের মতো বড় ধরনের বিক্ষোভ মিছিল করেছে বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী সংযুক্ত পরিষদ। ‘নিবর্তনমূলক ও কালাকানুন’ আখ্যায়িত করে এই অধ্যাদেশ প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে আসছে সংগঠনটি।

সকাল সাড়ে ৯টার পর থেকে সচিবালয়ের ৬ নম্বর ভবনের সামনের বাদামতলায় জড়ো হন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। সকাল ১০টার দিকে বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী সংযুক্ত পরিষদের একাংশের সভাপতি মো. নূরুল ইসলাম ও মহাসচিব মো. মুজাহিদুল ইসলামের নেতৃত্বে মিছিল করেন তারা।

৬ নম্বর ভবনের সামনে থেকে মিছিল শুরু হয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সামনে দিয়ে সচিবালয়ের নতুন ভবন হয়ে ক্লিনিক ভবনের সামনে দিয়ে ১১ নম্বর ভবনের সামনে এসে মিছিলটি শেষ হয়।

বিপুলসংখ্যক কর্মচারীর উপস্থিতিতে মিছিল থেকে স্লোগান দেওয়া হচ্ছে ‘অবৈধ কালো আইন মানব না’ ইত্যাদি। মিছিল সচিবালয়ের ভেতরে বিভিন্ন এলাকা প্রদক্ষিণ করছে।

সরকারি চাকরিজীবীদের শৃঙ্খলে আনতে ২০১৮ সালের সরকারি চাকরি আইন সংশোধনে অধ্যাদেশের খসড়া গত বৃহস্পতিবার অনুমোদন দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ। অধ্যাদেশের খসড়ায় শৃঙ্খলা বিঘ্নিত, কর্তব্য সম্পাদনে বাধা, ছুটি ছাড়া অনুপস্থিত, কর্তব্য পালন না করার জন্য উসকানি দিলে চাকরিচ্যুতির বিধান যুক্ত করা হয়েছে।

অভিযোগ উঠেছে, সাড়ে চার দশক আগের বিশেষ বিধানের কিছু ‘নিবর্তনমূলক ধারা’ সংযোজন করে অধ্যাদেশের খসড়াটি করা হয়েছে। এর মাধ্যমে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে সহজেই শাস্তি, এমনকি চাকরি থেকে বরখাস্ত করার সুযোগ তৈরি করা হয়েছে বলে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হচ্ছে। অধ্যাদেশের খসড়াটিকে সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক আখ্যায়িত করে তা পুনর্বিবেচনারও দাবি করছেন কর্মচারীরা।

শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষণ করুন

সরকারি চাকরি অধ্যাদেশ প্রত্যাহারের দাবিতে সচিবালয়ে কর্মচারীদের বিক্ষোভ

আপডেট: ১২:০২:১৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৫ মে ২০২৫

সচিবালয়ে বিক্ষোভ করছেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা -ছবি : ইউএনএ

‘সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’-এর খসড়া অনুমোদনের প্রতিবাদে সচিবালয়ের ভেতরে রোববার দ্বিতীয় দিনের মতো বড় ধরনের বিক্ষোভ মিছিল করেছে বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী সংযুক্ত পরিষদ। ‘নিবর্তনমূলক ও কালাকানুন’ আখ্যায়িত করে এই অধ্যাদেশ প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে আসছে সংগঠনটি।

সকাল সাড়ে ৯টার পর থেকে সচিবালয়ের ৬ নম্বর ভবনের সামনের বাদামতলায় জড়ো হন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। সকাল ১০টার দিকে বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী সংযুক্ত পরিষদের একাংশের সভাপতি মো. নূরুল ইসলাম ও মহাসচিব মো. মুজাহিদুল ইসলামের নেতৃত্বে মিছিল করেন তারা।

৬ নম্বর ভবনের সামনে থেকে মিছিল শুরু হয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সামনে দিয়ে সচিবালয়ের নতুন ভবন হয়ে ক্লিনিক ভবনের সামনে দিয়ে ১১ নম্বর ভবনের সামনে এসে মিছিলটি শেষ হয়।

বিপুলসংখ্যক কর্মচারীর উপস্থিতিতে মিছিল থেকে স্লোগান দেওয়া হচ্ছে ‘অবৈধ কালো আইন মানব না’ ইত্যাদি। মিছিল সচিবালয়ের ভেতরে বিভিন্ন এলাকা প্রদক্ষিণ করছে।

সরকারি চাকরিজীবীদের শৃঙ্খলে আনতে ২০১৮ সালের সরকারি চাকরি আইন সংশোধনে অধ্যাদেশের খসড়া গত বৃহস্পতিবার অনুমোদন দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ। অধ্যাদেশের খসড়ায় শৃঙ্খলা বিঘ্নিত, কর্তব্য সম্পাদনে বাধা, ছুটি ছাড়া অনুপস্থিত, কর্তব্য পালন না করার জন্য উসকানি দিলে চাকরিচ্যুতির বিধান যুক্ত করা হয়েছে।

অভিযোগ উঠেছে, সাড়ে চার দশক আগের বিশেষ বিধানের কিছু ‘নিবর্তনমূলক ধারা’ সংযোজন করে অধ্যাদেশের খসড়াটি করা হয়েছে। এর মাধ্যমে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে সহজেই শাস্তি, এমনকি চাকরি থেকে বরখাস্ত করার সুযোগ তৈরি করা হয়েছে বলে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হচ্ছে। অধ্যাদেশের খসড়াটিকে সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক আখ্যায়িত করে তা পুনর্বিবেচনারও দাবি করছেন কর্মচারীরা।

শেয়ার করুন