অপহরণ-হত্যাচেষ্টা মামলায় খালাস পেলেন শফিক রেহমান

- আপডেট: ০৪:০১:৪১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৭ মে ২০২৫
- / 5
আদালত প্রাঙ্গণে সাংবাদিক শফিক রেহমান – ছবি : সংগৃহীত
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়কে অপহরণ ও হত্যাচেষ্টা মামলায় সাত বছরের সাজার বিরুদ্ধে আপিলের রায়ে খালাস পেয়েছেন সিনিয়র সাংবাদিক শফিক রেহমান।
মঙ্গলবার (২৭ মে) ঢাকার চতুর্থ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ তারিক এজাজের আদালত এ রায় দেন। এ সময় শফিক রেহমান আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
গত ২৭ এপ্রিল শফিক রেহমানের সাজার বিরুদ্ধে আপিল শুনানি শেষ হয়। আদালত রায়ের জন্য ২৭ মে তারিখ ধার্য করেন।
২০২৩ সালের ১৭ আগস্ট এ মামলার রায় ঘোষণা করা হয়। রায়ে সাংবাদিক শফিক রেহমান, মাহমুদুর রহমানসহ পাঁচ জনকে পৃথক দুই ধারায় সাত বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
এছাড়া জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থার (জাসাস) সহ-সভাপতি মোহাম্মদ উল্লাহ মামুন, তার ছেলে রিজভী আহাম্মেদ ওরফে সিজার এবং যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী ব্যবসায়ী মিজানুর রহমান ভূঁইয়ারও সাজা হয়।
গত বছরের ২২ সেপ্টেম্বর এ মামলায় সাংবাদিক শফিক রেহমান ও যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী ব্যবসায়ী মিজানুর রহমান ভূঁইয়ার সাজা এক বছরের জন্য স্থগিত করে প্রজ্ঞাপন জারি করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
গত ৩০ সেপ্টেম্বর ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে সাজার বিরুদ্ধে আপিল দায়েরের শর্তে আত্মসমর্পণ করেন শফিক রেহমান। আদালত তার বিরুদ্ধে জারি হওয়া গ্রেপ্তারি পরোয়ানা প্রত্যাহার করেন। একইসঙ্গে সাজা পরোয়ানা স্থগিত করেন। এরপর ২১ নভেম্বর আত্মসমর্পণ করে জামিন পান তিনি।
মামলার অভিযোগ বলা হয়, ২০১১ সালের সেপ্টেম্বরের আগে যে কোনো সময় থেকে এ পর্যন্ত বিএনপির সাংস্কৃতিক সংগঠন জাসাসের সহ-সভাপতি মোহাম্মদ উল্লাহ মামুনসহ বিএনপি ও বিএনপির নেতৃত্বাধীন জোটভুক্ত অন্যান্য দলের উচ্চপর্যায়ের নেতারা রাজধানীর পল্টনের জাসাস কার্যালয়ে, আমেরিকার নিউইয়র্ক শহরে, যুক্তরাজ্য ও বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকার আসামিরা একত্রিত হয়ে যোগসাজশে সজীব ওয়াজেদ জয়কে আমেরিকায় অপহরণ করে হত্যার ষড়যন্ত্র করেন।
ওই ঘটনায় ডিবি পুলিশের পরিদর্শক ফজলুর রহমান ২০১৫ সালের ৩ আগস্ট পল্টন মডেল থানায় মামলাটি করেন। ২০১৮ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি এই পাঁচজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। মামলায় সজীব ওয়াজেদ জয়সহ ১২ জন সাক্ষ্য দেন।