০৭:০৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৫

অবৈধ দোকান উচ্ছেদে ঈদের পরে অভিযান : মেয়র আতিক

ইউএনএ প্রতিবেদক
  • আপডেট: ০৭:৫৫:৪১ অপরাহ্ন, বুধবার, ৫ জুন ২০২৪
  • / 18

মেয়র আতিকুল ইসলাম ছবি- সংগৃহীত

উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেছেন, ভবনের গাড়ি পার্কিংয়ের জায়গায় অবৈধভাবে গড়ে তোলা দোকান বন্ধ করতে হবে। রাজউক থেকে নকশা অনুমোদনের সময় অনেক ভবনে পার্কিং দেখানো হয়। তারপর গাড়িগুলো পার্কিং করা হচ্ছে রাস্তায়। গাড়ি পার্কিংয়ের জায়গায় অবৈধভাবে দোকান দেওয়া যাবে না। রাজউককে সঙ্গে নিয়ে আমরা এগুলো বন্ধে অভিযান শুরু করব। ঈদের পর থেকেই অভিযান শুরু হবে।

আজ (বুধবার) বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষ্যে রাজধানীর গুলশান-বাড্ডা লিংক রোড এলাকায় বৃক্ষরোপণ কর্মসূচিতে উপস্থিত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

বাসা-বাড়ির পয়োবর্জ্যের নোংরা ড্রেনের মধ্যে ফেলার বিষয়ে আতিকুল ইসলাম বলেন, জুন-জুলাই-আগস্ট এই তিন মাস পরে সেপ্টেম্বর থেকে আমরা প্রত্যেকটা বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে চেক করতে চাই, আপনারাও চেক করবেন.. যারা কথা শুনবে না তাদের লিস্ট দেবেন। আমরা গিয়ে বাড়ির ভেতরে আবার কলা গাছ থেরাপি করে দেব। আমরা তাদের তিন মাসের জন্য সময় দিচ্ছি।

আতিকুল ইসলাম বলেন, শহরের প্রায় সকল ভবনেই এয়ার কন্ডিশন (শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র) লাগানো আছে, জেনেরেটর লাগানো আছে। সবাই হাজার হাজার টাকা খরচ করে ঘর ঠান্ডা করার জন্য এসি লাগাচ্ছে কিন্তু অনসাইটে সুয়ারেজ ব্যবস্থাপনা করার বিষয় কেউ চিন্তা করছে না। নির্বিচারে শহরের খালে-ড্রেনে সুয়ারেজের সংযোগ দিয়ে পানি, বায়ু দূষণ করছে। এগুলো বন্ধ করতে হবে। এসব অবৈধ সংযোগ বন্ধে আমরা কঠোর ব্যবস্থা নিব। গতবছর আমরা গুলশান ও বারিধারায় একটা সার্ভে করেছিলাম। বেশিরভাগ বাড়িতেই সুয়ারেজ ব্যবস্থা নেই। মাত্র ৫ শতাংশ বাড়িতে কমপ্লায়েন্স পেয়েছি। বেশিরভাগ বাড়ির পয়োঃবর্জ্যের সংযোগ ড্রেনে, খালে দিয়ে রেখেছে। আমি অনেকগুলো ভবনে অবৈধ সংযোগ বন্ধে কলাগাছ দিয়ে দিয়েছিলাম। আমরা এবছর আবারও অভিযান শুরু করবো।

ডিএনসিসি মেয়র আরও বলেন, আমরা অবাক হয়ে যাই প্রতিনিয়ত নানা ধরনের ময়লা নির্বিচারে সবাই ফেলে দিচ্ছে খালে ও ড্রেনে। ডিএনসিসি এলাকার বিভিন্ন খাল থেকে উদ্ধার করা পরিত্যক্ত পণ্যগুলোর মধ্যে রয়েছে পরিত্যক্ত লেপ, তোশক, সোফা, লাগেজ, খাট, ক্যাবল, টায়ার, কমোড, ফুলের টব, রিকশার অংশবিশেষ, টেবিল, চেয়ার, বেসিন, ব্যাগ, প্লাস্টিকের বিভিন্ন পাত্রসহ নানা পরিত্যক্ত পণ্য। গুলশান লেক থেকে বাথ ট্যাবও পেয়েছি। এমন কিছু নাই যা খালগুলোতে পাওয়া যায় না। সবাইকে ম্যাসেজ দেয়ার জন্যই এই আয়োজন করেছি।

বক্তৃতা শেষে ডিএনসিসি মেয়র গুলশান বাড্ডা লিংক রোডে একটি গাছ রোপণ করে কর্মসূচির উদ্বোধন করেন। ডিএনসিসি, গুলশান সোসাইটি ও সিটি ব্যাংকের যৌথ উদ্যোগে এই বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির আওতায় গুলশান এলাকায় মোট ৫ হাজার গাছ রোপণ করা হবে।

বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) সদস্য মেজর (ইঞ্জি.) সামসুদ্দীন আহমদ চৌধুরী (অব:), গুলশান সোসাইটির সভাপতি ব্যারিস্টার ওমর সাদাত, সিটি ব্যাংকের চেয়ারম্যান আজিজ আল কায়সার, ১৯নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. মফিজুর রহমান, সংরক্ষিত আসনের নারী কাউন্সিলর মোছা. হাজেরা খাতুন এবং আমেনা বেগম প্রমুখ।

শেয়ার করুন
ট্যাগ :

আপনার মন্তব্য লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষণ করুন

অবৈধ দোকান উচ্ছেদে ঈদের পরে অভিযান : মেয়র আতিক

আপডেট: ০৭:৫৫:৪১ অপরাহ্ন, বুধবার, ৫ জুন ২০২৪

মেয়র আতিকুল ইসলাম ছবি- সংগৃহীত

উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেছেন, ভবনের গাড়ি পার্কিংয়ের জায়গায় অবৈধভাবে গড়ে তোলা দোকান বন্ধ করতে হবে। রাজউক থেকে নকশা অনুমোদনের সময় অনেক ভবনে পার্কিং দেখানো হয়। তারপর গাড়িগুলো পার্কিং করা হচ্ছে রাস্তায়। গাড়ি পার্কিংয়ের জায়গায় অবৈধভাবে দোকান দেওয়া যাবে না। রাজউককে সঙ্গে নিয়ে আমরা এগুলো বন্ধে অভিযান শুরু করব। ঈদের পর থেকেই অভিযান শুরু হবে।

আজ (বুধবার) বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষ্যে রাজধানীর গুলশান-বাড্ডা লিংক রোড এলাকায় বৃক্ষরোপণ কর্মসূচিতে উপস্থিত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

বাসা-বাড়ির পয়োবর্জ্যের নোংরা ড্রেনের মধ্যে ফেলার বিষয়ে আতিকুল ইসলাম বলেন, জুন-জুলাই-আগস্ট এই তিন মাস পরে সেপ্টেম্বর থেকে আমরা প্রত্যেকটা বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে চেক করতে চাই, আপনারাও চেক করবেন.. যারা কথা শুনবে না তাদের লিস্ট দেবেন। আমরা গিয়ে বাড়ির ভেতরে আবার কলা গাছ থেরাপি করে দেব। আমরা তাদের তিন মাসের জন্য সময় দিচ্ছি।

আতিকুল ইসলাম বলেন, শহরের প্রায় সকল ভবনেই এয়ার কন্ডিশন (শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র) লাগানো আছে, জেনেরেটর লাগানো আছে। সবাই হাজার হাজার টাকা খরচ করে ঘর ঠান্ডা করার জন্য এসি লাগাচ্ছে কিন্তু অনসাইটে সুয়ারেজ ব্যবস্থাপনা করার বিষয় কেউ চিন্তা করছে না। নির্বিচারে শহরের খালে-ড্রেনে সুয়ারেজের সংযোগ দিয়ে পানি, বায়ু দূষণ করছে। এগুলো বন্ধ করতে হবে। এসব অবৈধ সংযোগ বন্ধে আমরা কঠোর ব্যবস্থা নিব। গতবছর আমরা গুলশান ও বারিধারায় একটা সার্ভে করেছিলাম। বেশিরভাগ বাড়িতেই সুয়ারেজ ব্যবস্থা নেই। মাত্র ৫ শতাংশ বাড়িতে কমপ্লায়েন্স পেয়েছি। বেশিরভাগ বাড়ির পয়োঃবর্জ্যের সংযোগ ড্রেনে, খালে দিয়ে রেখেছে। আমি অনেকগুলো ভবনে অবৈধ সংযোগ বন্ধে কলাগাছ দিয়ে দিয়েছিলাম। আমরা এবছর আবারও অভিযান শুরু করবো।

ডিএনসিসি মেয়র আরও বলেন, আমরা অবাক হয়ে যাই প্রতিনিয়ত নানা ধরনের ময়লা নির্বিচারে সবাই ফেলে দিচ্ছে খালে ও ড্রেনে। ডিএনসিসি এলাকার বিভিন্ন খাল থেকে উদ্ধার করা পরিত্যক্ত পণ্যগুলোর মধ্যে রয়েছে পরিত্যক্ত লেপ, তোশক, সোফা, লাগেজ, খাট, ক্যাবল, টায়ার, কমোড, ফুলের টব, রিকশার অংশবিশেষ, টেবিল, চেয়ার, বেসিন, ব্যাগ, প্লাস্টিকের বিভিন্ন পাত্রসহ নানা পরিত্যক্ত পণ্য। গুলশান লেক থেকে বাথ ট্যাবও পেয়েছি। এমন কিছু নাই যা খালগুলোতে পাওয়া যায় না। সবাইকে ম্যাসেজ দেয়ার জন্যই এই আয়োজন করেছি।

বক্তৃতা শেষে ডিএনসিসি মেয়র গুলশান বাড্ডা লিংক রোডে একটি গাছ রোপণ করে কর্মসূচির উদ্বোধন করেন। ডিএনসিসি, গুলশান সোসাইটি ও সিটি ব্যাংকের যৌথ উদ্যোগে এই বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির আওতায় গুলশান এলাকায় মোট ৫ হাজার গাছ রোপণ করা হবে।

বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) সদস্য মেজর (ইঞ্জি.) সামসুদ্দীন আহমদ চৌধুরী (অব:), গুলশান সোসাইটির সভাপতি ব্যারিস্টার ওমর সাদাত, সিটি ব্যাংকের চেয়ারম্যান আজিজ আল কায়সার, ১৯নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. মফিজুর রহমান, সংরক্ষিত আসনের নারী কাউন্সিলর মোছা. হাজেরা খাতুন এবং আমেনা বেগম প্রমুখ।

শেয়ার করুন