০১:১০ অপরাহ্ন, সোমবার, ০২ জুন ২০২৫

অভিযোগ নিয়ে মুখ খুললেন নাহিদের সাবেক পিএ আতিক

ইউএনএ প্রতিবেদক
  • আপডেট: ০১:৪৯:০১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১ জুন ২০২৫
  • / 2

ফাইল ছবি

মোবাইল ব্যাংকিং নগদের ১৫০ কোটি টাকা বেহাতের অভিযোগের বিষয়ে মুখ খুলেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামের সাবেক বিশেষ সহকারী (পিএ) আতিক। তিনি বলেন, আমার বিরুদ্ধে আরেকটি অভিযোগ, আমি নাকি নগদ থেকে ১৫০ কোটি টাকা সরিয়েছি।

দেশের বেশ কয়েকটি জাতীয় দৈনিকে আতিকের বিরুদ্ধে টাকা আত্মসাতের অভিযোগে প্রতিবেদন প্রকাশের পর শুক্রবার (৩০ মে) এক ফেসবুক পোস্টে তিনি এ বিষয়ে নিজের অবস্থান জানান।

ওই পোস্টে আতিক বলেন, টাকা সরানোর অভিযোগ পাওয়ার পর ডাক বিভাগ থেকে নগদের কাছে পরিচালনা ব্যয়, যাবতীয় বিলসহ দুই মাসের হিসাব জানাতে চেয়েছিলাম। সেখানে জানতে পারি, সব মিলিয়ে অ্যাকাউন্ট থেকে ওঠানো হয়েছে আনুমানিক ৪৩ কোটি টাকা। এর মধ্যে কোম্পানির পরিচালনা ব্যয়, বেতন-ভাতা, ভাড়া, ভেন্ডর বিল— সবই রয়েছে।

গল্প লেখার আগে একটু পড়াশোনা করা উচিত ছিল বলেও আতিক মন্তব্য করেন।

একটি সংবাদমাধ্যমের নাম উল্লেখ করে পোস্টে আতিক বলেন, সংবাদমাধ্যমটিকে অনুরোধ করব অভিযোগের পক্ষে প্রমাণ উপস্থাপন করতে, অর্থ সরানোর খাতগুলো উল্লেখ করতে। কোনো একক সংস্থা নয়; নতুন সিইওকে ত্রিপক্ষীয় একটা ফরেনসিক করার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে এরই মধ্যে মন্ত্রণালয় থেকে।

১১-২৭ মে সময়কাল ছাড়া বাকি সময় নগদের পরিচালনা বাংলাদেশ ব্যাংকের অধীনে ছিল বলেও ওই পোস্টে উল্লেখ করেন আতিক।

এর আগে গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান একটি পত্রিকার বরাতে ফেসবুক লেখেন, আতিক মোর্শেদের বিরুদ্ধে নগদ থেকে দেড়শ’ কোটি টাকা বেহাতের তথ্য প্রকাশ করেছে। নগদের ডেপুটি সিইও মুয়ীজ নাসনিম ত্বকির সঙ্গে মিলিত হয়ে এই কাজ করেছে আতিক মোর্শেদ। বিশেষ সহকারীর এসব কাজের দায়ভার সুষ্ঠু তদন্ত ছাড়া নাহিদ ইসলামের এড়ানোর কোনো সুযোগ নেই।

শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষণ করুন

অভিযোগ নিয়ে মুখ খুললেন নাহিদের সাবেক পিএ আতিক

আপডেট: ০১:৪৯:০১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১ জুন ২০২৫

ফাইল ছবি

মোবাইল ব্যাংকিং নগদের ১৫০ কোটি টাকা বেহাতের অভিযোগের বিষয়ে মুখ খুলেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামের সাবেক বিশেষ সহকারী (পিএ) আতিক। তিনি বলেন, আমার বিরুদ্ধে আরেকটি অভিযোগ, আমি নাকি নগদ থেকে ১৫০ কোটি টাকা সরিয়েছি।

দেশের বেশ কয়েকটি জাতীয় দৈনিকে আতিকের বিরুদ্ধে টাকা আত্মসাতের অভিযোগে প্রতিবেদন প্রকাশের পর শুক্রবার (৩০ মে) এক ফেসবুক পোস্টে তিনি এ বিষয়ে নিজের অবস্থান জানান।

ওই পোস্টে আতিক বলেন, টাকা সরানোর অভিযোগ পাওয়ার পর ডাক বিভাগ থেকে নগদের কাছে পরিচালনা ব্যয়, যাবতীয় বিলসহ দুই মাসের হিসাব জানাতে চেয়েছিলাম। সেখানে জানতে পারি, সব মিলিয়ে অ্যাকাউন্ট থেকে ওঠানো হয়েছে আনুমানিক ৪৩ কোটি টাকা। এর মধ্যে কোম্পানির পরিচালনা ব্যয়, বেতন-ভাতা, ভাড়া, ভেন্ডর বিল— সবই রয়েছে।

গল্প লেখার আগে একটু পড়াশোনা করা উচিত ছিল বলেও আতিক মন্তব্য করেন।

একটি সংবাদমাধ্যমের নাম উল্লেখ করে পোস্টে আতিক বলেন, সংবাদমাধ্যমটিকে অনুরোধ করব অভিযোগের পক্ষে প্রমাণ উপস্থাপন করতে, অর্থ সরানোর খাতগুলো উল্লেখ করতে। কোনো একক সংস্থা নয়; নতুন সিইওকে ত্রিপক্ষীয় একটা ফরেনসিক করার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে এরই মধ্যে মন্ত্রণালয় থেকে।

১১-২৭ মে সময়কাল ছাড়া বাকি সময় নগদের পরিচালনা বাংলাদেশ ব্যাংকের অধীনে ছিল বলেও ওই পোস্টে উল্লেখ করেন আতিক।

এর আগে গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান একটি পত্রিকার বরাতে ফেসবুক লেখেন, আতিক মোর্শেদের বিরুদ্ধে নগদ থেকে দেড়শ’ কোটি টাকা বেহাতের তথ্য প্রকাশ করেছে। নগদের ডেপুটি সিইও মুয়ীজ নাসনিম ত্বকির সঙ্গে মিলিত হয়ে এই কাজ করেছে আতিক মোর্শেদ। বিশেষ সহকারীর এসব কাজের দায়ভার সুষ্ঠু তদন্ত ছাড়া নাহিদ ইসলামের এড়ানোর কোনো সুযোগ নেই।

শেয়ার করুন