আবারও আরব-ইসরায়েল যুদ্ধের শঙ্কা!

- আপডেট: ০৭:২৮:০৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৪
- / 20
ছবি : সংগৃহীত
সিরিয়ার বাশার আল-আসাদ সরকারের পতনের পর দেশটির ভূরাজনীতি ঘিরে নতুন কৌশল গ্রহণ করেছেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। সম্প্রতি ইসরায়েল সিরিয়ার গোলান মালভূমির বাফার জোনের নিয়ন্ত্রণ নেয়। এই অঞ্চলে নতুন পরিকল্পনা বাস্তবায়নের ঘোষণা দিয়েছেন নেতানিয়াহু, যা আরব বিশ্বের নেতাদের মধ্যে ক্ষোভের জন্ম দিয়েছে।
ইসরায়েলি সরকার গোলান মালভূমিতে বসতি স্থাপন বাড়ানোর জন্য ৪০ মিলিয়ন ইসরায়েলি শেকেল বরাদ্দের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। রবিবার প্রধানমন্ত্রী কার্যালয় এক বিবৃতিতে জানায়, উত্তর সীমান্ত সুরক্ষিত রাখতে এবং কৌশলগত সুবিধা নিশ্চিত করতে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। নেতানিয়াহু বলেন, গোলান মালভূমি শক্তিশালী হলে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষাও মজবুত হবে।
১৯৬৭ সালের আরব-ইসরায়েল যুদ্ধের সময় ইসরায়েল সিরিয়ার কাছ থেকে গোলান মালভূমির বড় একটি অংশ দখল করে। পরে ১৯৮১ সালে এই অংশকে নিজেদের সঙ্গে আনুষ্ঠানিকভাবে সংযুক্ত করে ইসরায়েল। সিরিয়ার বর্তমান অস্থিতিশীলতার সুযোগ নিয়ে ইসরায়েল পুনরায় সেখানে নিজের প্রভাব বাড়ানোর চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
ইসরায়েলের এই পদক্ষেপের বিরুদ্ধে আরব দেশগুলো একসুরে প্রতিবাদ জানিয়েছে। সৌদি আরব জানিয়েছে, এই কর্মকাণ্ড সিরিয়ার স্থিতিশীলতা পুনরুদ্ধারের প্রচেষ্টাকে ব্যাহত করছে। কাতার ইসরায়েলের পদক্ষেপকে আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন বলে আখ্যা দিয়ে এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে। সংযুক্ত আরব আমিরাতের মতে, ইসরায়েলের কর্মকাণ্ড এই অঞ্চলে উত্তেজনা আরও বাড়াবে।
ইরাকও এই ইস্যুতে সরব হয়েছে। বাগদাদ জানিয়েছে, গোলান মালভূমি সিরিয়ার অংশ এবং এর নিয়ন্ত্রণ পরিবর্তনের কোনো প্রচেষ্টা তারা প্রত্যাখ্যান করবে। আরব দেশগুলোর এমন কঠোর প্রতিক্রিয়ায় মধ্যপ্রাচ্যে নতুন করে সংঘাতের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে, যা একটি বড় আঞ্চলিক সংঘর্ষে রূপ নিতে পারে।