০৫:১০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ মে ২০২৫
নগর ভবন অবরুদ্ধ

ইশরাককে মেয়র পদে বসানোর দাবিতে ২য় দিনের অবস্থান কর্মসূচি

ইউএনএ প্রতিবেদক
  • আপডেট: ১১:৪৭:০৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ মে ২০২৫
  • / 20

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এর মেয়র ইশরাক হোসেনের মেয়র শপথের দাবিতে বৃহস্পতিবার সকালে নগর ভবনের সামনে নগরবাসীর বিক্ষোভ-ছবি : আব্দুর রহমান / ইউএনএ

বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র হিসেবে দায়িত্ব বুঝিয়ে দেওয়ার দাবিতে নগর ভবনের প্রধান ফটকসহ বিভিন্ন গেইট অবরুদ্ধ করে বিক্ষোভ করছেন তার সমর্থকরা। দ্বিতীয় দিনের মতো আজ বৃহস্পতিবার অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন বিক্ষোভকারীরা।

গুলিস্তান ডিএসসিসির প্রধান কার্যালয় নগরভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন তারা। এর ফলে সকাল থেকে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা নগর ভবনে ঢুকতে পারছেন না। বিভিন্ন সেবা নিতে আসা নাগরিকরাও ভোগান্তিতে পড়ছেন।

সকাল থেকে ‘ঢাকার সাধারণ ভোটারদের আয়োজনে নগর ভবন অবরোধ, আয়োজনে : নগরবাসী’ ব্যানার নিয়ে বিভিন্ন ওয়ার্ড থেকে পৃথক পৃথক মিছিল নিয়ে নগর ভবনের সামনে আজও জড়ো হয়েছেন ইশরাক হোসেনের সমর্থকরা।

অবস্থান কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া নেতাকর্মীরা বলেছেন, ইশরাকের শপথ নিয়ে নানা টালবাহানা করা হচ্ছে। আদালতের রায় ও নির্বাচন কমিশনের গেজেট প্রকাশের পরও জনতার মেয়র ইশরাককে দায়িত্ব বুঝিয়ে দেওয়া হচ্ছে না। শপথের মাধ্যমে ইশরাককে দায়িত্ব বুঝিয়ে না দেওয়ায় আমাদের লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি চলছে।

উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ১ ফেব্রুয়ারি ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। বিএনপির ইশরাক হোসেনকে পৌনে ২ লাখ ভোটের ব্যবধানে হারিয়ে আওয়ামী লীগের শেখ ফজলে নূর তাপস মেয়র হন। গেল ২৭ মার্চ ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ২০২০ সালের নির্বাচনে ফজলে নূর তাপসকে বিজয়ী ঘোষণার ফল বাতিল করে বিএনপি নেতা ইশরাককে মেয়র ঘোষণা করা হয়। ট্রাইব্যুনালের রায়ের কপি পেয়ে ২২ এপ্রিল গেজেট প্রকাশের বিষয়ে আইন মন্ত্রণালয়ের পরামর্শ চায় নির্বাচন কমিশন।

বিএনপির বৈদেশিক বিষয়ক কমিটির সদস্য ইশরাক হোসেনকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ঘোষণা করে গত ২৭ মার্চ রায় দেন ঢাকার প্রথম যুগ্ম জেলা জজ ও নির্বাচনী ট্রাইব্যুনাল। আদালতের রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে ইশরাককে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ঘোষণা করে গত ২৭ এপ্রিল গেজেট প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষণ করুন

নগর ভবন অবরুদ্ধ

ইশরাককে মেয়র পদে বসানোর দাবিতে ২য় দিনের অবস্থান কর্মসূচি

আপডেট: ১১:৪৭:০৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ মে ২০২৫

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এর মেয়র ইশরাক হোসেনের মেয়র শপথের দাবিতে বৃহস্পতিবার সকালে নগর ভবনের সামনে নগরবাসীর বিক্ষোভ-ছবি : আব্দুর রহমান / ইউএনএ

বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র হিসেবে দায়িত্ব বুঝিয়ে দেওয়ার দাবিতে নগর ভবনের প্রধান ফটকসহ বিভিন্ন গেইট অবরুদ্ধ করে বিক্ষোভ করছেন তার সমর্থকরা। দ্বিতীয় দিনের মতো আজ বৃহস্পতিবার অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন বিক্ষোভকারীরা।

গুলিস্তান ডিএসসিসির প্রধান কার্যালয় নগরভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন তারা। এর ফলে সকাল থেকে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা নগর ভবনে ঢুকতে পারছেন না। বিভিন্ন সেবা নিতে আসা নাগরিকরাও ভোগান্তিতে পড়ছেন।

সকাল থেকে ‘ঢাকার সাধারণ ভোটারদের আয়োজনে নগর ভবন অবরোধ, আয়োজনে : নগরবাসী’ ব্যানার নিয়ে বিভিন্ন ওয়ার্ড থেকে পৃথক পৃথক মিছিল নিয়ে নগর ভবনের সামনে আজও জড়ো হয়েছেন ইশরাক হোসেনের সমর্থকরা।

অবস্থান কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া নেতাকর্মীরা বলেছেন, ইশরাকের শপথ নিয়ে নানা টালবাহানা করা হচ্ছে। আদালতের রায় ও নির্বাচন কমিশনের গেজেট প্রকাশের পরও জনতার মেয়র ইশরাককে দায়িত্ব বুঝিয়ে দেওয়া হচ্ছে না। শপথের মাধ্যমে ইশরাককে দায়িত্ব বুঝিয়ে না দেওয়ায় আমাদের লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি চলছে।

উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ১ ফেব্রুয়ারি ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। বিএনপির ইশরাক হোসেনকে পৌনে ২ লাখ ভোটের ব্যবধানে হারিয়ে আওয়ামী লীগের শেখ ফজলে নূর তাপস মেয়র হন। গেল ২৭ মার্চ ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ২০২০ সালের নির্বাচনে ফজলে নূর তাপসকে বিজয়ী ঘোষণার ফল বাতিল করে বিএনপি নেতা ইশরাককে মেয়র ঘোষণা করা হয়। ট্রাইব্যুনালের রায়ের কপি পেয়ে ২২ এপ্রিল গেজেট প্রকাশের বিষয়ে আইন মন্ত্রণালয়ের পরামর্শ চায় নির্বাচন কমিশন।

বিএনপির বৈদেশিক বিষয়ক কমিটির সদস্য ইশরাক হোসেনকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ঘোষণা করে গত ২৭ মার্চ রায় দেন ঢাকার প্রথম যুগ্ম জেলা জজ ও নির্বাচনী ট্রাইব্যুনাল। আদালতের রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে ইশরাককে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ঘোষণা করে গত ২৭ এপ্রিল গেজেট প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

শেয়ার করুন