ঈদকে সামনে রেখে রাজধানীর পশুরহাট গুলো জমে উঠেছে

- আপডেট: ০৮:৩১:০২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৫ জুন ২০২৪
- / 29
রাজধানীর গাবতলী হাটে শুক্রবার মধ্যরাতে ক্রেতারা কোরবানি পশু ক্রয়ের জন্য ভিড় করছে। ছবি:জাহিদ হাসান
ঈদুল আজহার বাকি আর মাত্র ২দিন। সৃষ্টিকর্তার সন্তুষ্টি লাভের আশায় পশু কোরবানি দিতে সাধ্যমতো চেষ্টা করেন মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষজন। ইতোমধ্যে রাজধানীর বিভিন্ন স্থায়ী ও অস্থায়ী পশুর হাটে, দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসছে কোরবানির পশু।

শুক্রুবার (১৪ জুন) মধ্যরাতে রাজধানীর একমাত্র স্থায়ী ও সবচেয়ে বড় পশুর হাট গাবতলীতে ঘুরে ইজারাদার-বিক্রেতা ও ক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে পর্যাপ্ত কোরবানির পশু বাজারে আসলেও দাম চড়া। হাটে বড় গরুর যোগান বেশি থাকলেও চাহিদা বেশি দেখা যায় ছোট ও মাঝারি ধরনের গরুতে এবং দামও রয়েছে বেশ চওড়া। ছোট আকারের গরু গুলো বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৯০ হাজার এর মধ্যে ; আর মাঝারি আকারের গরু গুলো বিক্রি হচ্ছে ১ থেকে ২ লাখের মধ্যে।এছাড়াও বড় সাইজের গরু গুলো (ওজন অনুযায়ী) ২ থেকে ৫ লাখের মধ্যে। আর মাত্রাতিরিক্ত বড় গরু গুলো ৭ থেকে ১০ লাখের ওপরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া মহিষের চাহিদা কম হওয়ায় গরু থেকে কিছুটা কম মূল্যে মহিষ পাওয়া যাচ্ছে।

যারা পছন্দ অনুযায়ী ছাগল দিতে চাই তাদের জন্য রাজধানীর হাটগুলোতে পর্যাপ্ত পরিমান ছাগলও রয়েছে। আকারে ছোট ছাগল গুলো ১৫ থেকে ২০ এর মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে। আর বড় খাসি গুলো পাওয়া যাচ্ছে ২০ থেকে ৩৫ এর মধ্যে।
গাবতলীতে নিয়মিত পশুর পাশাপাশি গত ৪-৫ দিন থেকে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে খামারি ও ব্যবসায়ীরা তাদের কোরবানির পশু নিয়ে এসেছেন।ব্যবসায়ীরা গতকাল (শুক্রবার) কিছু গরু বিক্রিও করেছেন।ক্রেতা সমাগম বেশ জমজমাট। এবারের গরু দাম বাড়তি হওয়ার কারন হিসেবে খামারি ও বিক্রেতারা বলেন, সারা বছর গরুর পেছনে খামারিদের যে খরচ, কষ্ট, যত্ন এসব সম্পর্কে ক্রেতাদের তেমন ধারণা নেই। সবকিছু মিলে সারা বছর খামারে অনেক অর্থ ব্যয় হয়।তাই না বুঝে তারা গরুর দাম বলছেন।

অন্যদিকে ক্রেতারা বলছেন, অনেক বেশি দাম চাচ্ছেন খামারি ও ব্যাপারীরা। আজ যে গরুর দাম ১ থেকে ১.৫ লাখ চাচ্ছেন, কাল-পরশু সেটা ৮০ থেকে ৯০ হাজার টাকায় বিক্রি হবে বলে মনে করছেন গরু কিনতে আসা মিরপুরের বাসিন্দা মেসবাউল ইরান।এছাড়া গরু কিনতে আসা অনেকে মনে করেন শেষ দিকে হয়তো গরুর দাম অনেক খানি কমে যাবে।
গরুর দামের ব্যাপারে গাবতলী হাটে খামারি মনু মিয়া বলেন, এবার আমি ৪ টা মাঝারি ও ২ টা বড় সাইজের গরু নিয়ে পাবনা থেকে গাবতলীর হাটে আসছি; ২ টা মাঝারি গরু ইতিমধ্যে বিক্রি হয়েছে আর বাকি গুলো আশা করি বিক্রি হয়ে যাবে।তিনি বলেন গরুর দাম নির্ধারন করি সারা বছরের সব খরচ মাথায় রেখে,এছাড়াও পরিবহন ও হাটের খরচ তো রয়েছে।

এবার হাটগুলোতে ক্রয়কৃত পশু নির্দিষ্ট গন্তব্যে নেওয়ার জন্য রয়েছে অ্যাপ ভিওিক ডেলিভারি সেবা।অ্যাপের মাধ্যমে আপনি এই ডেলিভারি সুবিধা নিতে পারেন।

আর প্রতিবারের মত কোরবানি পশুর হাটগুলোতে রয়েছে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা। ক্রেতা-বিক্রেতা সবাই যেন সুন্দর পরিবেশে পশু কেনাবেচা করতে পারে সে জন্য ২৪ ঘন্টা দায়িত্বে রয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।