এআই গভর্নেন্স এজেন্সি প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব দিলেন পলক

- আপডেট: ১২:১৫:৫৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৩১ মে ২০২৪
- / 16
ছবি সংগ্রহীত
আন্তর্জাতিক পর্যায়ে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই) গভর্নেন্স এজেন্সি প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব দিয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। তিনি বলেন, এই সংস্থার অধীনে একটি উপদেষ্টা বোর্ড থাকা উচিত, যাতে বিজ্ঞানী, প্রযুক্তিবিদ, প্রকৌশলী এবং নাগরিক অন্তর্ভুক্ত থাকবে।
সম্প্রতি সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় জাতিসংঘের ওয়ার্ল্ড সামিট অন ইনফরমেশন সোসাইটির সামিটে ‘এআই ফর গুড গভর্নেন্স’ অনুষ্ঠানে টেবিল ডিসকাশনে এই প্রস্তাব জানান তিনি।
ইন্টারন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন ইউনিয়ন (আইটিইউ) এবং এর সব সদস্য রাষ্ট্র ও অংশীদারদের কাছে প্রতিমন্ত্রী পলক এআই গভর্নেন্সে এজেন্সি গঠনের প্রস্তাবটি উত্থাপন করেন। তিনি বলেন, এই সংস্থার অধীনে একটি উপদেষ্টা বোর্ড থাকা উচিত। যেখানে বিজ্ঞানী, প্রযুক্তিবিদ, প্রকৌশলীসহ আমাদের নাগরিকরাও উপস্থিত থাকবেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, এআই গভর্নেন্স নেটওয়ার্কগুলির কিভাবে সফল বাস্তবায়ন করা যায় সরকার, বেসরকারি খাত, এনজিও,আইএনজিও এবং শিল্প, বিজ্ঞানী ও একাডেমিরা একসাথে তা খোঁজে বের করার চেষ্টা করছি। আমরা জাতিসংঘ এবং বিভিন্ন দেশ থেকে এআই আইন, নির্দেশিকা, নীতি প্রবর্তনের সুযোগ করতে চাই।
‘লিডারস স্পিক:ইনসাইটস অ্যান্ড কী ফাইন্ডিংস অন এআই গভর্নেন্স ইপ্লিমেন্টেশনস’ শীর্ষক প্যানেল আলোচনায় প্রতিমন্ত্রী পলক বলেন, এআই মানুষের ক্ষমতায়ন এবং উদ্ভাবনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তবুও এর ঝুঁকি মোকাবিলায় আমাদের অবশ্যই সতর্ক ও সক্রিয় থাকতে হবে। সরকার, শিল্প ও সমাজের সবাই একসাথে কাজ করতে হবে যাতে করে এআইর সম্ভাব্য হুমকির বিরুদ্ধে নিজেদের নিরাপদ করার পাশাপাশি কল্যাণকর কাজের জন্য এর শক্তিকে কাজে লাগাতে পারি।
তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশ একটি উন্নয়নশীল দেশ যার এআই নিয়ে উচ্চাকাঙ্খা ও প্রত্যাশা রয়েছে। আমাদের সবচেয়ে সময়োডযোগী উদ্যোগ হচ্ছে ‘জি-ব্রেইন’ বা গভর্নমেন্ট ব্রেইনের উন্নয়ন। এআই নিয়ন্ত্রিত এই প্রযুক্তির লক্ষ্য আমাদের সরকারের পরিষেবাগুলো আরো কার্যকরভাবে সরবারের ক্ষমতা বৃদ্ধি করা। তবে এআইর অগ্রগতি গ্রহনের সাথে সাথে এর অপব্যবহার রোধ করার জন্য অবশ্যই শক্তিশালী প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে।