এম ভি সেজুঁতিতে ডাকাতি, ৫০ লাখ টাকার মালামাল লুট

- আপডেট: ০৩:৫০:২৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৭ মে ২০২৫
- / 8
এম ভি সেজুঁতি বাণিজ্যিক জাহাজে ডাকাতি হয়েছে -ফাইল ফটো
যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে মোংলা সমুদ্র বন্দরে অবস্থান করা এম ভি সেজুঁতি বাণিজ্যিক জাহাজে ডাকাতি হয়েছে। সোমবার (২৬ মে) ভোরে পশুর চ্যানেলে এ ডাকাতি হয়। সশস্ত্র ডাকাত দলটি জাহাজের ইঞ্জিনের স্পেয়ার পার্টস, কম্পিউটারসহ অন্তত ৫০ লাখ টাকার মালামাল লুট করে।
এক লিখিত বিবৃতিতে জাহাজটির প্রধান প্রকৌশলী সিরাজুল হক জানান, রবিবার (২৫ মে) দিবাগত রাত ২টা ৪৫ মিনিটে এক দল ডাকাত অ্যাংকর চেইনের ভেতর দিয়ে জাহাজে প্রবেশ করে। তারা রামদা, চাপাতি, চাইনিজ কুড়াল এবং লাঠিসহ দেশীয় অস্ত্রের মুখে সবাইকে জিম্মি করে রশি দিয়ে বেঁধে রাখে।
ডাকাতরা তাদের ইচ্ছেমতো ইঞ্জিন কক্ষসহ যেখানে যা আছে সব নিয়ে ভোর ৫টা ৩০ মিনিটে চলে যায়। তারা জাহাজের ইঞ্জিনের স্পেয়ার পার্টস, ২০০ পিস বেয়ারিং, ব্যাটারি, চার্জার, ড্রিল মেশিন, তেলের ড্রাম, গ্যাসের বোতল, অক্সিজেন বোতল, কম্পিউটার, চেয়ার, সাবমারসিবেল পাম্প, ইলেক্ট্রিক তার, আটটি স্মার্ট ফোন, নগদ ৭০ হাজার টাকা নিয়ে যায়।
জাহাজটির শিপিং এজেন্ট পিএনএন শিপিং লাইন্সের কর্মকর্তা আতাউস সালাম সৌরভ জানান, একদল ডাকাত অস্ত্রসহ জাহাজে প্রবেশ করে সাতজন নাবিক ও ক্রুকে জিম্মি করে। তারা নগদ টাকাসহ ১৬ ধরনের মালামাল নিয়ে যায়। যার আনুমানিক মূল্য প্রায় ৫০ লাখ টাকা।
তিনি আরো বলেন, মোংলা থানায় লিখিত অভিযোগ দেয়ার প্রক্রিয়া চলছে। মোংলা বন্দর, কোস্টগার্ড ও নৌপুলিশকে বিষয়টি লিখিতভাবে জানানো হবে।
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের উপপরিচালক মাকরুজ্জামান জানান, ডাকাতির ঘটনা শুনেছেন। তবে জাহাজ কর্তৃপক্ষ বা শিপিং এজেন্ট কেউ এখনো লিখিতভাবে কিছু জানায়নি।
মোংলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনিসুর রহমান জানান, একটি ডাকাতির ঘটনা শুনেছেন। এখন পর্যন্ত জাহাজ কর্তৃপক্ষ কিছু জানায়নি। জানালে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
গত বছরের জুন মাসে বাণিজ্যিক জাহাজ ‘এমভি সেজুঁতি’ ভারত থেকে পাথরবোঝাই করে মোংলা সমুদ্র বন্দর চ্যানেল এলাকায় নোঙর করে। এরপর তারা পণ্য খালাস শেষ করে কিন্তু যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে প্রায় এক বছর ধরে এটি বন্দরে আটকে রয়েছে।