মেজর সিনহা হত্যা
ওসি প্রদীপ ও লিয়াকতের ওপর হাইকোর্টের রায় মৃত্যুদণ্ড বহাল

- আপডেট: ১২:০২:৫৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ২ জুন ২০২৫
- / 4
সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা, ওসি প্রদীপ কুমার দাশ ও বাহারছড়া তদন্ত কেন্দ্রের সাবেক পরিদর্শক লিয়াকত আলী – ফাইল ফটো
সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যা মামলায় বিচারিক আদালতে সাজা পাওয়া মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ওসি প্রদীপ ও লিয়াকতের মৃত্যদণ্ড এবং ছয় আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বহাল রেখেছেন হাইকোর্ট। এছাড়াও রায়ে প্রত্যেক আসামিকে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানার আদেশও বহাল রাখা হয়েছে।
সোমবার বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমান ও বিচারপতি মো. সগীর হোসেন সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ মামলার ডেথ রেফারেন্স ও আপিলের ওপর শুনানি শেষে এ রায় দেন।
যাবজ্জীবন বহাল হওয়া আসামিরা হলেন- টেকনাফ থানার সাবেক এসআই নন্দদুলাল রক্ষিত, কনস্টেবল রুবেল শর্মা ও সাগর দেব এবং কক্সবাজারের বাহারছড়ার মারিশবুনিয়া গ্রামের মো. নুরুল আমিন, মোহাম্মদ আইয়াজ ও মো. নিজাম উদ্দিন
এর আগে গত বৃহস্পতিবার আসামি ও রাষ্ট্রপক্ষের করা আপিলের শুনানি শেষে রায়ের এ দিন ধার্য করেন হাইকোর্ট।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল হুমায়ুন কবির মঞ্জু ও শামীমা দিপ্তী। আসামিপক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এস এম শাহাজাহান।
শুনানিতে অ্যাটর্নি জেনারেল আলোচিত মেজর সিনহা হত্যা মামলায় ওসি প্রদীপ কুমার দাশ ও পরিদর্শক লিয়াকত আলীর ফাঁসিসহ বিচারিক আদালতের পুরো রায় বহালের আবেদন করেন।
গত ২১ এপ্রিল প্রধান বিচারপতি অগ্রাধিকার ভিত্তিতে মেজর সিনহা হত্যা মামলাটি দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য হাইকোর্টের এই বেঞ্চ নির্ধারণ করে দেন। পরে ২৩ এপ্রিল আপিলের ওপর শুনানি শুরু হয়।
২০২০ সালের ৩১ জুলাই রাতে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভের শামলাপুর চেকপোস্টে গুলি করে হত্যা করা হয় সিনহা মো. রাশেদ খানকে। স্বেচ্ছায় অবসর নেওয়ার পর কয়েকজনকে সঙ্গে নিয়ে কক্সবাজারে ভ্রমণবিষয়ক তথ্যচিত্রের শুটিং শেষে ঢাকায় ফিরছিলেন তিনি।
২০২২ সালের ৩১ জানুয়ারি এ মামলায় রায় দেন কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাইল। রায়ে টেকনাফ থানার সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশ ও বাহারছড়া তদন্ত কেন্দ্রের সাবেক পরিদর্শক লিয়াকত আলীর মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। এ ছাড়া সিনহাকে হত্যায় সহযোগিতা ও ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টার অভিযোগে তিন পুলিশ সদস্য এবং পুলিশের তিন সোর্সকে দেওয়া হয়েছে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড।
মামলার ১৫ আসামির মধ্যে বাকি চার পুলিশ সদস্য এবং তিন এপিবিএন সদস্যকে বেকসুর খালাস দেন আদালত। পরে ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে এলে কারাগারে থাকা দণ্ডিত আসামিরা আপিল করেন।