১০:৫৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৫

কুটিরশিল্প ব্যবসায়ী কেন্দুয়ার মোঃ বাবুল মিয়ার যাপিত জীবন

কোহিনূর আলম, কেন্দুয়া (নেত্রকোণা) প্রতিনিধি
  • আপডেট: ০৬:৩২:১০ অপরাহ্ন, সোমবার, ১ জুলাই ২০২৪
  • / 31

ছবি – ইউএনএ 

মোঃ বাবুল মিয়া নেত্রকোণার কেন্দুয়া পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডর আইথর গ্রামের দক্ষিণ পাড়ার বাসিন্দা । তিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স বা আদমপুর হাসপাতাল সংলগ্ন এলাকায় আবহমান বাংলার বাঁশ-বেতের তৈরি বিভিন্ন পণ্যের পশরা সাজিয়ে ব্যবসায় করে জীবিকা নির্বাহ করছেন । এখানে ব্যবসায় করছেন নয় মাস যাবত । এর আগে তিনি তার এলাকাতেই এই ব্যবসায় করতেন ।

পুরোনো এই ব্যবসায়কে আকড়ে ধরে বাকী জীবন কাটিয়ে দিতে তার কোন দুংখ নেই । কেননা ভালোবাসা ও জীবিকা দুটিই এই ব্যবসায়ের সাথে গভীরভাবে সম্পৃক্ত । মোঃ বাবুল মিয়া ১৪-১৫ বছর যাবত এই কুটিরশিল্প ব্যবসার সাথে জড়িত বলে জানা যায় । কেন্দুয়া ও কেন্দুয়ার বাইরে থেকে এই সব পণ্য নিয়ে আসেন তিনি । তারপর বিভিন্ন দামে বিক্রি করেন । যেমন- কুলা ১৪০টাকা, ছোকরা ৩০-৩০০টাকা, ছালনী ৮০-১০০টাকা, বাইর (জোড়া) ৪০০-৬০০ টাকা, কলুই (জোড়া) ১৬০ টাকা, ছাই বাইর প্রতি পিস ৪০০টাকা, হাত পাখা ৩০-১০০টাকা, জাহন ৮০-১০০টাকা, জোকরা ৪০০টাকা, টুই ৩০টাকা । মোঃ বাবুল মিয়া ব্যক্তিগত জীবনে তিন পুত্র সন্তানের জনক । ছেলেদের একজন কেন্দুয়া বাজারে কসমেটিকস, একজন রাজমিস্ত্রী ও ছোট ছেলে মাদ্রাসায় পড়াশোনা করছে ।

মোঃ বাবুল মিয়া (৫৬) আক্ষেপ করে বলেন, এই ব্যবসায় রোজকার করে কোন মতে জীবন যাপন করছি । সরকারীভাবে আর্থিক সহযোগিতা পেলে ব্যবসায়টাকে আর একটু গোছাতে পারতাম ।

এ বিষয়ে উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা মোঃ কামরুজ্জামান চৌধুরী বলেন, ব্যক্তি পর্যায়ে কাউকে আর্থিক সহযোগিতা করার সুযোগ নেই । তবে ন্যুনতম বিশ সদস্য বিশিষ্ট সমিতির নিবন্ধনকৃতদের ক্ষেত্রে বিবেচনা করা যেতে পারে।

 

শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষণ করুন

কুটিরশিল্প ব্যবসায়ী কেন্দুয়ার মোঃ বাবুল মিয়ার যাপিত জীবন

আপডেট: ০৬:৩২:১০ অপরাহ্ন, সোমবার, ১ জুলাই ২০২৪

ছবি – ইউএনএ 

মোঃ বাবুল মিয়া নেত্রকোণার কেন্দুয়া পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডর আইথর গ্রামের দক্ষিণ পাড়ার বাসিন্দা । তিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স বা আদমপুর হাসপাতাল সংলগ্ন এলাকায় আবহমান বাংলার বাঁশ-বেতের তৈরি বিভিন্ন পণ্যের পশরা সাজিয়ে ব্যবসায় করে জীবিকা নির্বাহ করছেন । এখানে ব্যবসায় করছেন নয় মাস যাবত । এর আগে তিনি তার এলাকাতেই এই ব্যবসায় করতেন ।

পুরোনো এই ব্যবসায়কে আকড়ে ধরে বাকী জীবন কাটিয়ে দিতে তার কোন দুংখ নেই । কেননা ভালোবাসা ও জীবিকা দুটিই এই ব্যবসায়ের সাথে গভীরভাবে সম্পৃক্ত । মোঃ বাবুল মিয়া ১৪-১৫ বছর যাবত এই কুটিরশিল্প ব্যবসার সাথে জড়িত বলে জানা যায় । কেন্দুয়া ও কেন্দুয়ার বাইরে থেকে এই সব পণ্য নিয়ে আসেন তিনি । তারপর বিভিন্ন দামে বিক্রি করেন । যেমন- কুলা ১৪০টাকা, ছোকরা ৩০-৩০০টাকা, ছালনী ৮০-১০০টাকা, বাইর (জোড়া) ৪০০-৬০০ টাকা, কলুই (জোড়া) ১৬০ টাকা, ছাই বাইর প্রতি পিস ৪০০টাকা, হাত পাখা ৩০-১০০টাকা, জাহন ৮০-১০০টাকা, জোকরা ৪০০টাকা, টুই ৩০টাকা । মোঃ বাবুল মিয়া ব্যক্তিগত জীবনে তিন পুত্র সন্তানের জনক । ছেলেদের একজন কেন্দুয়া বাজারে কসমেটিকস, একজন রাজমিস্ত্রী ও ছোট ছেলে মাদ্রাসায় পড়াশোনা করছে ।

মোঃ বাবুল মিয়া (৫৬) আক্ষেপ করে বলেন, এই ব্যবসায় রোজকার করে কোন মতে জীবন যাপন করছি । সরকারীভাবে আর্থিক সহযোগিতা পেলে ব্যবসায়টাকে আর একটু গোছাতে পারতাম ।

এ বিষয়ে উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা মোঃ কামরুজ্জামান চৌধুরী বলেন, ব্যক্তি পর্যায়ে কাউকে আর্থিক সহযোগিতা করার সুযোগ নেই । তবে ন্যুনতম বিশ সদস্য বিশিষ্ট সমিতির নিবন্ধনকৃতদের ক্ষেত্রে বিবেচনা করা যেতে পারে।

 

শেয়ার করুন