খন্দকার এনায়েত উল্লাহর ১৯০টি গাড়ি জব্দের আদেশ

- আপডেট: ১০:৫২:৫৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ৪ মে ২০২৫
- / 1
ছবি : সংগৃহীত
ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক খন্দকার এনায়েত উল্লাহ এবং তার পরিবারের সদস্য ও তাদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের নামে নিবন্ধিত ১৯০টি বাস জব্দের আদেশ দিয়েছেন আদালত। রবিবার ঢাকা মহানগরের জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ মো. জাকির হোসেন এ আদেশ দেন।
দৈনিক ১ কোটি ৬৫ লাখ টাকা চাঁদা আদায়ের অভিযোগ দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) অনুসন্ধান চলমান থাকায় দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেয়া হয়।
দুদকের পক্ষ থেকে আদালতকে জানানো হয়েছে, ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক খন্দকার এনায়েত উল্লাহর বিরুদ্ধে বিভিন্ন রুটে চলাচলকারী বাস থেকে দৈনিক ১ কোটি ৬৫ লাখ টাকা চাঁদা আদায়ের অভিযোগ অনুসন্ধান করছে দুদক।
এছাড়াও খন্দকার এনায়েত উল্লাহ, তার স্ত্রী নার্গিস সামদাদ, ছেলে রিদওয়ানুল আশিক ও মেয়ে চাশমে জাহানের নামে অবৈধ আয়ে কৃষিজমি, ফ্ল্যাট, প্লট ক্রয়সহ বিপুল পরিমাণ সম্পদ অর্জন করার তথ্য পেয়েছে। তাদের নামে বিপুল পরিমাণ অস্থাবর সম্পদ রয়েছে বলেও জানা গেছে।
দুদকের তথ্য অনুযায়ী, খন্দকার এনায়েত উল্লাহ, তার স্ত্রী নার্গিস সামসাদ, ছেলে রিদওয়ানুল আশিক ও মেয়ে চামশে জাহানের নামে ১৯০টি গাড়ির নিবন্ধন থাকার তথ্য জানতে পেরেছে দুদক।
এসব গাড়ির মালিকানার তথ্য আদালতে তুলে ধরে লিখিতভাবে সংস্থাটি বলেছে, খন্দকার এনায়েত উল্লাহ ও তার স্ত্রী-সন্তানেরা তাদের নামে থাকা গাড়ি হস্তান্তর করে বিদেশে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। অভিযোগটি সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে এসব যানবাহন জব্দ করার আদেশ দেওয়া প্রয়োজন। আদালত শুনানি শেষে দুদকের আবেদন গ্রহন করে গাড়িগুলো জব্দের আদেশ দেন।
উল্লেখ্য, খন্দকার এনায়েত উল্লাহ ‘এনা’ পরিবহনের মালিক। তিনি ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সহসভাপতি। গত ২৬শে ফেব্রুয়ারি খন্দকার এনায়েত উল্লাহ ও তাঁর স্ত্রী-সন্তানদের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দেন আদালত।
এর আগে ২০২১ সালের ১৪ই জুন খন্দকার এনায়েত উল্লাহকে সম্পদের হিসাব চেয়ে নোটিশ দিয়েছিল দুদক। নোটিশে খন্দকার এনায়েত উল্লাহ ও তার ওপর নির্ভরশীল ব্যক্তিদের নামে-বেনামে অর্জিত যাবতীয় স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি, দায়দেনা, আয়ের উৎস ও তা অর্জনের বিস্তারিত বিবরণী কমিশনে দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।