০১:৩৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ১২ মে ২০২৫

গণতন্ত্র ও নির্বাচনী প্রক্রিয়ার ধ্বংস সাধন করেছে আ.লীগ : প্রেস সচিব

ইউএনএ প্রতিবেদক
  • আপডেট: ০২:৩৪:২৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১১ মে ২০২৫
  • / 7

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম – ফাইল ছবি 

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, আওয়ামী লীগ বাংলাদেশের গণতন্ত্র ও নির্বাচনী প্রক্রিয়ার ব্যাপক ধ্বংস সাধন করেছে।

রোববার সকালে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে এক পোস্টে তিনি এ কথা লেখেন।

শফিকুল আলম বলেন, এই নিষেধাজ্ঞা জাতীয় নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা, জুলাই আন্দোলনের কর্মীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বাদী ও সাক্ষীদের নিরাপত্তার স্বার্থে প্রয়োজন ছিল।

তিনি বলেন, এর আগে আমরা দেখেছি শুধুমাত্র কোনো দলের কার্যক্রমই নয় বরং সম্পূর্ণ রাজনৈতিক দলকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে পশ্চিমা গণতান্ত্রিক দেশগুলোতেও। যখন তারা মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ করেছে বা জাতীয় স্বার্থের বিরুদ্ধে কাজ করেছে।

প্রেস সচিব জানান, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরে জার্মানি ও ইতালি নাৎসি এবং ফ্যাসিস্ট দলগুলোকে নিষিদ্ধ করে। এছাড়াও স্পেন ও বেলজিয়ামে কিছু দলকে বিচ্ছিন্নতাবাদী কার্যক্রমের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়।

তিনি উল্লেখ করেন, জাতিসংঘ মানবাধিকার হাইকমিশনারের (ইউএনএইচসিআর) প্রতিবেদন সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ করেছে যে আওয়ামী লীগ এর নেতৃত্ব এবং দলের কর্মী এবং সহযোগী সংগঠনগুলো মানবতার বিরুদ্ধে ঘৃণ্য অপরাধে অংশগ্রহণ করেছে।

শফিকুল আলম বলেন, আওয়ামী লীগের নেতা ও সমর্থকরা ব্যাংকগুলো লুটে নিয়েছে এবং বিপুল পরিমাণ অর্থ বিদেশে পাচার করেছে।

তিনি বলেন, গণতান্ত্রিক বিশ্বে এমন কোনো পক্ষ নেই যারা নির্লজ্জ এই খুনি, গণতন্ত্র বিরোধী এবং দুর্নীতিগ্রস্ত দলের পক্ষে কথা বলবে।

প্রেস সচিব বলেন, সুতরাং আমরা আওয়ামী লীগের কার্যক্রমে নিষেধাজ্ঞা নিয়ে কোনো নেতিবাচক আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া আশা করি না।

শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষণ করুন

গণতন্ত্র ও নির্বাচনী প্রক্রিয়ার ধ্বংস সাধন করেছে আ.লীগ : প্রেস সচিব

আপডেট: ০২:৩৪:২৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১১ মে ২০২৫

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম – ফাইল ছবি 

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, আওয়ামী লীগ বাংলাদেশের গণতন্ত্র ও নির্বাচনী প্রক্রিয়ার ব্যাপক ধ্বংস সাধন করেছে।

রোববার সকালে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে এক পোস্টে তিনি এ কথা লেখেন।

শফিকুল আলম বলেন, এই নিষেধাজ্ঞা জাতীয় নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা, জুলাই আন্দোলনের কর্মীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বাদী ও সাক্ষীদের নিরাপত্তার স্বার্থে প্রয়োজন ছিল।

তিনি বলেন, এর আগে আমরা দেখেছি শুধুমাত্র কোনো দলের কার্যক্রমই নয় বরং সম্পূর্ণ রাজনৈতিক দলকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে পশ্চিমা গণতান্ত্রিক দেশগুলোতেও। যখন তারা মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ করেছে বা জাতীয় স্বার্থের বিরুদ্ধে কাজ করেছে।

প্রেস সচিব জানান, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরে জার্মানি ও ইতালি নাৎসি এবং ফ্যাসিস্ট দলগুলোকে নিষিদ্ধ করে। এছাড়াও স্পেন ও বেলজিয়ামে কিছু দলকে বিচ্ছিন্নতাবাদী কার্যক্রমের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়।

তিনি উল্লেখ করেন, জাতিসংঘ মানবাধিকার হাইকমিশনারের (ইউএনএইচসিআর) প্রতিবেদন সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ করেছে যে আওয়ামী লীগ এর নেতৃত্ব এবং দলের কর্মী এবং সহযোগী সংগঠনগুলো মানবতার বিরুদ্ধে ঘৃণ্য অপরাধে অংশগ্রহণ করেছে।

শফিকুল আলম বলেন, আওয়ামী লীগের নেতা ও সমর্থকরা ব্যাংকগুলো লুটে নিয়েছে এবং বিপুল পরিমাণ অর্থ বিদেশে পাচার করেছে।

তিনি বলেন, গণতান্ত্রিক বিশ্বে এমন কোনো পক্ষ নেই যারা নির্লজ্জ এই খুনি, গণতন্ত্র বিরোধী এবং দুর্নীতিগ্রস্ত দলের পক্ষে কথা বলবে।

প্রেস সচিব বলেন, সুতরাং আমরা আওয়ামী লীগের কার্যক্রমে নিষেধাজ্ঞা নিয়ে কোনো নেতিবাচক আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া আশা করি না।

শেয়ার করুন