০২:৩৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ০২ জুন ২০২৫

গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন নিয়ে নগদের ব্যাখ্যা

ইউএনএ প্রতিবেদক
  • আপডেট: ০২:৪১:০৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১ জুন ২০২৫
  • / 2

ছবি : সংগৃহীত

ডাক বিভাগের ডিজিটাল লেনদেন সেবা নগদকে নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনের বিষয়ে ব্যাখ্যা দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। গতকাল এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে নগদ কর্তৃপক্ষ বলেছেন, সামপ্রতিক সময়ে কয়েকটি সংবাদপত্রে নগদ’কে জড়িয়ে বেশক’টি বিভ্রান্তিকর প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। প্রতিবেদনগুলো নগদ কর্তৃপক্ষ এবং সরকারের দৃষ্টিগোচর হয়েছে।

নগদ কর্তৃপক্ষ দৃঢ়ভাবে বলছে, প্রতিবেদনগুলো বানোয়াট ও বিভ্রান্তিকর তথ্যে পরিপূর্ণ। নগদ মনে করে, সরকার সংশ্লিষ্ট একটি প্রতিষ্ঠানকে আক্রমণ করে হীন স্বার্থ হাসিলের উদ্দেশ্যেই কাজটি করা হয়েছে। উত্থাপিত অভিযোগগুলোর বিষয়ে নগদ কর্তৃপক্ষের হাতে সুনির্দিষ্ট তথ্য প্রমাণ রয়েছে।

অভিযোগগুলো বিষয়ে নগদ বলছে, ভুয়া বিল- ভাউচারে টাকা উত্তোলন, ডেটা মুছে ফেলা, ইভেন্ট ও মেনটেন্যান্স বিল দেখিয়ে টাকা সরানোর অভিযোগ করা হলেও আমরা দৃঢ়ভাবে বলছি, এমন কোনো ঘটনা নগদে কখনোই ঘটেনি। এমন অভিযোগের কোনো সত্যতা নেই। নগদ প্রতিটি লেনদেন স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার সঙ্গে সম্পন্ন করে। এখানে উল্লেখ করা যেতে পারে, গত ২৮শে মে ২০২৫ তারিখে ডাক বিভাগের একটি তত্ত্বাবধায়ক টিম নগদ পরিচালনার দায়িত্ব নিয়েছেন এবং এ বিষয়গুলো তাদের পর্যালোচনাধীন রয়েছে।

নগদের এক শীর্ষ কর্মকর্তাকে সরকারি গোয়েন্দা সংস্থা ডেকে নিয়ে বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনাকেও অত্যন্ত নেতিবাচকভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। অযাচিতভাবে এখানে প্রধান উপদেষ্টার ‘একজন বিশেষ সহকারীকে যুক্ত করে বিষয়টির গুরুত্ব বৃদ্ধি করার অপচেষ্টা করা হয়েছে।

তবে প্রকৃত সত্য হলো নগদের সামপ্রতিক অবস্থা সম্পর্কে তারা অবহিত হতে প্রতিষ্ঠানটির একজন শীর্ষ কর্মকর্তাকে ডেকে নিয়ে বিভিন্ন তথ্য জানতে চান। এমনটা সাধারণভাবে যে কারও ক্ষেত্রেই ঘটতে পারে। জিজ্ঞাসাবাদের পর ওই কর্মকর্তাকে সসম্মানে ছেড়ে দেয়ার পাশাপাশি নগদে যাতে কোনোরকম কোনো অস্থিরতা না হয় সে বিষয়ে খেয়াল রাখতে পরামর্শ দেয়া হয়।

একটি নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়েও বিভিন্ন গণমাধ্যমে আলোচনা হচ্ছে। এক্ষেত্রে নগদের বক্তব্য হলো- যথাযথ বিধি-বিধান প্রতিপালন করেই জাকিয়া সুলতানা জুঁইয়ের নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। নগদের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অ্যাকাডেমিক রেজাল্ট, যোগ্যতা, পূর্বের কাজের অভিজ্ঞতা- এগুলো বিবেচনা করা হয়। তারপরও তার নিয়োগের বিষয়টি পুনঃযাচাই করা হবে। শুক্রবার অফিস এবং ছুটির দিনে ডেটাবেজের তথ্য ধ্বংস করানোর কল্পিত গল্প কোনো কোনো গণমাধ্যমে এসেছে। হাস্যকর এই গল্পের বিপরীতে প্রকৃত ঘটনা হলো-ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে বিশেষ কিছু ক্যাম্পেইন নিয়ে কাজ করা এবং সামনের লম্বা ছুটির সময় সেবাকে সচল রাখার কাজগুলোই শুক্রবার সর্বাধিক গুরুত্বসহকারে হয়েছে। এর আগেও বড় বড় ক্যাম্পেইনের আগে নগদের কর্মীদের শুক্রবার-শনিবার কাজ করতে হয়েছে। কর্পোরেট খাতে এমনটা অনেক সময়েই হয়ে থাকে। এখানে আমরা নিশ্চিত করে বলছি, নগদের কোনো ডেটা নষ্ট করা হয়নি। বরং একাধিক জায়গায় ভিন্ন ভিন্ন ডেটাবেজে এই ডেটা সম্পূর্ণ সুসংরক্ষিত আছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশ ব্যাংক ও কেপিএমজিকে সহযোগিতা করার অভিযোগে কিছুসংখ্যক কর্মীকে বিনা নোটিশে বিদায় করার অভিযোগ এসেছে কোনো কোনো গণমাধ্যমে। আমরা বরং বলতে পারি, ডিজিটাল ব্যাংকের জন্যে যারা নগদে যোগ দিয়েছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংক নগদের ডিজিটাল ব্যাংকের লাইসেন্স স্থগিত করার পরেও দেশের আর্থ-সামাজিক পরিপ্রেক্ষিত বিবেচনায় তাদের কাউকে বাদ দেয়া হয়নি। ডাক বিভাগ থেকে এ বিষয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আশা করি, সেখানেই সঠিক তথ্য বেরিয়ে আসবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কোনো কোনো কর্মকর্তার বকেয়া বেতন নেয়ার একটি অভিযোগ করা হয়েছে। এ বিষয়ে নগদের অবস্থান খুবই পরিষ্কার। যে কয়েকজনের এই সময়ে কয়েক মাসের বকেয়া বেতন একবারে হয়েছে তাদের বেতন সব সময়ই অনুমোদন নেয়া হতো। কিন্তু বেতন ছাড় করা হতো না। বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রশাসক থাকাকালীন সময়েই এ নিয়ম বিদ্যমান ছিল। পরে ওই কর্মকর্তাদের বেতন দেশের অন্যতম শীর্ষ একজন আইনজীবীর পরামর্শ নিয়ে প্রচলিত শ্রম আইন অনুসারে ছাড় করা হয়। এখানে কোনো অবস্থায় আইন বা নিয়মের কোনো ব্যত্যয় ঘটেনি।

শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষণ করুন

গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন নিয়ে নগদের ব্যাখ্যা

আপডেট: ০২:৪১:০৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১ জুন ২০২৫

ছবি : সংগৃহীত

ডাক বিভাগের ডিজিটাল লেনদেন সেবা নগদকে নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনের বিষয়ে ব্যাখ্যা দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। গতকাল এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে নগদ কর্তৃপক্ষ বলেছেন, সামপ্রতিক সময়ে কয়েকটি সংবাদপত্রে নগদ’কে জড়িয়ে বেশক’টি বিভ্রান্তিকর প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। প্রতিবেদনগুলো নগদ কর্তৃপক্ষ এবং সরকারের দৃষ্টিগোচর হয়েছে।

নগদ কর্তৃপক্ষ দৃঢ়ভাবে বলছে, প্রতিবেদনগুলো বানোয়াট ও বিভ্রান্তিকর তথ্যে পরিপূর্ণ। নগদ মনে করে, সরকার সংশ্লিষ্ট একটি প্রতিষ্ঠানকে আক্রমণ করে হীন স্বার্থ হাসিলের উদ্দেশ্যেই কাজটি করা হয়েছে। উত্থাপিত অভিযোগগুলোর বিষয়ে নগদ কর্তৃপক্ষের হাতে সুনির্দিষ্ট তথ্য প্রমাণ রয়েছে।

অভিযোগগুলো বিষয়ে নগদ বলছে, ভুয়া বিল- ভাউচারে টাকা উত্তোলন, ডেটা মুছে ফেলা, ইভেন্ট ও মেনটেন্যান্স বিল দেখিয়ে টাকা সরানোর অভিযোগ করা হলেও আমরা দৃঢ়ভাবে বলছি, এমন কোনো ঘটনা নগদে কখনোই ঘটেনি। এমন অভিযোগের কোনো সত্যতা নেই। নগদ প্রতিটি লেনদেন স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার সঙ্গে সম্পন্ন করে। এখানে উল্লেখ করা যেতে পারে, গত ২৮শে মে ২০২৫ তারিখে ডাক বিভাগের একটি তত্ত্বাবধায়ক টিম নগদ পরিচালনার দায়িত্ব নিয়েছেন এবং এ বিষয়গুলো তাদের পর্যালোচনাধীন রয়েছে।

নগদের এক শীর্ষ কর্মকর্তাকে সরকারি গোয়েন্দা সংস্থা ডেকে নিয়ে বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনাকেও অত্যন্ত নেতিবাচকভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। অযাচিতভাবে এখানে প্রধান উপদেষ্টার ‘একজন বিশেষ সহকারীকে যুক্ত করে বিষয়টির গুরুত্ব বৃদ্ধি করার অপচেষ্টা করা হয়েছে।

তবে প্রকৃত সত্য হলো নগদের সামপ্রতিক অবস্থা সম্পর্কে তারা অবহিত হতে প্রতিষ্ঠানটির একজন শীর্ষ কর্মকর্তাকে ডেকে নিয়ে বিভিন্ন তথ্য জানতে চান। এমনটা সাধারণভাবে যে কারও ক্ষেত্রেই ঘটতে পারে। জিজ্ঞাসাবাদের পর ওই কর্মকর্তাকে সসম্মানে ছেড়ে দেয়ার পাশাপাশি নগদে যাতে কোনোরকম কোনো অস্থিরতা না হয় সে বিষয়ে খেয়াল রাখতে পরামর্শ দেয়া হয়।

একটি নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়েও বিভিন্ন গণমাধ্যমে আলোচনা হচ্ছে। এক্ষেত্রে নগদের বক্তব্য হলো- যথাযথ বিধি-বিধান প্রতিপালন করেই জাকিয়া সুলতানা জুঁইয়ের নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। নগদের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অ্যাকাডেমিক রেজাল্ট, যোগ্যতা, পূর্বের কাজের অভিজ্ঞতা- এগুলো বিবেচনা করা হয়। তারপরও তার নিয়োগের বিষয়টি পুনঃযাচাই করা হবে। শুক্রবার অফিস এবং ছুটির দিনে ডেটাবেজের তথ্য ধ্বংস করানোর কল্পিত গল্প কোনো কোনো গণমাধ্যমে এসেছে। হাস্যকর এই গল্পের বিপরীতে প্রকৃত ঘটনা হলো-ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে বিশেষ কিছু ক্যাম্পেইন নিয়ে কাজ করা এবং সামনের লম্বা ছুটির সময় সেবাকে সচল রাখার কাজগুলোই শুক্রবার সর্বাধিক গুরুত্বসহকারে হয়েছে। এর আগেও বড় বড় ক্যাম্পেইনের আগে নগদের কর্মীদের শুক্রবার-শনিবার কাজ করতে হয়েছে। কর্পোরেট খাতে এমনটা অনেক সময়েই হয়ে থাকে। এখানে আমরা নিশ্চিত করে বলছি, নগদের কোনো ডেটা নষ্ট করা হয়নি। বরং একাধিক জায়গায় ভিন্ন ভিন্ন ডেটাবেজে এই ডেটা সম্পূর্ণ সুসংরক্ষিত আছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশ ব্যাংক ও কেপিএমজিকে সহযোগিতা করার অভিযোগে কিছুসংখ্যক কর্মীকে বিনা নোটিশে বিদায় করার অভিযোগ এসেছে কোনো কোনো গণমাধ্যমে। আমরা বরং বলতে পারি, ডিজিটাল ব্যাংকের জন্যে যারা নগদে যোগ দিয়েছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংক নগদের ডিজিটাল ব্যাংকের লাইসেন্স স্থগিত করার পরেও দেশের আর্থ-সামাজিক পরিপ্রেক্ষিত বিবেচনায় তাদের কাউকে বাদ দেয়া হয়নি। ডাক বিভাগ থেকে এ বিষয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আশা করি, সেখানেই সঠিক তথ্য বেরিয়ে আসবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কোনো কোনো কর্মকর্তার বকেয়া বেতন নেয়ার একটি অভিযোগ করা হয়েছে। এ বিষয়ে নগদের অবস্থান খুবই পরিষ্কার। যে কয়েকজনের এই সময়ে কয়েক মাসের বকেয়া বেতন একবারে হয়েছে তাদের বেতন সব সময়ই অনুমোদন নেয়া হতো। কিন্তু বেতন ছাড় করা হতো না। বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রশাসক থাকাকালীন সময়েই এ নিয়ম বিদ্যমান ছিল। পরে ওই কর্মকর্তাদের বেতন দেশের অন্যতম শীর্ষ একজন আইনজীবীর পরামর্শ নিয়ে প্রচলিত শ্রম আইন অনুসারে ছাড় করা হয়। এখানে কোনো অবস্থায় আইন বা নিয়মের কোনো ব্যত্যয় ঘটেনি।

শেয়ার করুন