গাজায় ত্রাণ প্রবেশে ইসরাইলি নিষেধাজ্ঞা : পুতিনের উদ্বেগ

- আপডেট: ০২:৩৯:১০ অপরাহ্ন, রবিবার, ১১ মে ২০২৫
- / 8
রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন – ছবি : সংগৃহীত
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজার পরিস্থিতিকে ‘মর্মান্তিক ঘটনা’ এবং ‘মানবিক বিপর্যয়’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। সেই সঙ্গে উপত্যকাটিতে ত্রাণ সরবরাহের ওপর ইসরাইলি নিষেধাজ্ঞার সমালোচনা করে এটিকে ‘বিশেষ উদ্বেগজনক’ বলে অভিহিত করেছেন।
শনিবার (১০ মে) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে তুরস্কের বার্তাসংস্থা আনাদোলু।
মস্কোতে ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের সঙ্গে সাক্ষাতকালে পুতিন বলেন, মস্কো ফিলিস্তিনি-ইসরাইলি সংঘাতকে ‘উদ্বেগ এবং সহানুভূতির’ সঙ্গে দেখছে।
তিনি বলেন, জর্ডান নদীর পশ্চিম তীরেও উত্তেজনা বাড়ছে। গাজা সত্যিকার অর্থে একটি মানবিক বিপর্যয়ের সম্মুখীন হচ্ছে। রাশিয়া ফিলিস্তিনি জনগণের বন্ধু হিসেবে নিয়মিত সহায়তা দেওয়ার চেষ্টা করে। গত এক বছরে খাদ্য, ওষুধ এবং প্রয়োজনীয় সরবরাহ সহ ৮০০ টনেরও বেশি পণ্য গাজাবাসীদের কাছে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।
প্রেসিডেন্ট পুতিন এ সংঘাত সমাধানের বিষয়ে রাশিয়ার অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করে বলেছেন, এই অঞ্চলে টেকসই শান্তি অর্জন করা সম্ভব কেবল একটি সর্বজনীনভাবে স্বীকৃত আন্তর্জাতিক আইনি কাঠামোর ভিত্তিতে যা দুদেশের জনগণের জন্য দুটি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠাকে সমর্থন করে।
তিনি আরও বলেন, উত্তেজনা কমাতে রাশিয়া আর কী করতে পারে সে বিষয়ে আমরা মতামত বিনিময় করব। স্বাভাবিকভাবেই আমরা দ্বিপাক্ষিক এজেন্ডায় গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোও তুলে ধরব।
আব্বাস রাশিয়ার সমর্থনের জন্য পুতিনকে ধন্যবাদ জানান এবং বলেন, মস্কো ন্যায়বিচার, ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র গঠন এবং ফিলিস্তিনি জনগণের অধিকার’কে ধারাবাহিকভাবে সমর্থন করে আসছে।
ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্টের মতে, তার প্রশাসন ইসরাইলের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি সমর্থন করে এবং ফিলিস্তিনিদের পুনর্বাসন বা গাজায় বিদেশি প্রশাসন প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব প্রত্যাখান করে।
তিনি জোর দিয়ে বলেন, কোনো আমেরিকান বা বিদেশি গাজা উপত্যকায় শাসন করতে পারবে না। আমরা এই অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ পুনরুদ্ধার করতে চাই। আমরা ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের কাছে গা ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর দক্ষিণ ইসরাইলে হামলা চালায় ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস। এদিন তারা ১২০০ মানুষকে হত্যা করে প্রায় ২৫১ জনকে জিম্মি করে নিয়ে যায়।
হামাসের হামলার প্রতিশোধে ওই দিন থেকেই গাজায় অভিযান শুরু করে ইসরাইলি সেনাবাহিনী। এতে নিহত হয়েছেন ৫২ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি। আহত হয়েছেন এক লাখ ১৮ হাজারেরও বেশি।
১৫ মাসেরও বেশি সময় ধরে টানা অভিযান চালানোর পর যুক্তরাষ্ট্র ও মধ্যস্থতাকারী অন্যান্য দেশগুলোর চাপে গত ১৯ জানুয়ারি থেকে গাজায় যুদ্ধবিরতি শুরু হয়।
তবে বিরতির দু’মাস শেষ হওয়ার আগেই গত ১৮ মার্চ থেকে ফের গাজায় সামরিক অভিযান শুরু করে দখলদার ইসরাইল। দ্বিতীয় দফার এ আগ্রাসনে ২৭০০ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করা হয়। এছাড়া আহত হয়েছেন সাত হাজারেরও বেশি। জা উপত্যকা পরিচালনার আকাঙ্ক্ষা পোষণ করি।