গাজায় প্রতি ৪০ মিনিটে একজন করে শিশুর মৃত্যু

- আপডেট: ০১:৩১:৩৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ৭ মে ২০২৫
- / 6
ইজরায়েলের হামলায় এ পর্যন্ত ১৬ হাজার ২৭৮ জন শিশুর মৃত্যু-ছবি : সংগৃহীত
স্বাধীনতাপন্থী সশস্ত্র প্যালেস্টাইনি সংগঠন হামাসকে নির্মূল করা এখনও সম্ভব হয়নি। কিন্তু ইজরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর নির্দেশে নতুন করে সেনা অভিযান শুরুর পরে গাজায় প্রতি ৪০ মিনিটে একজন করে শিশুর মৃত্যু হচ্ছে! গাজার স্বশাসিত কর্তৃপক্ষের স্বাস্থ্য দফতরের তরফে এই পরিসংখ্যান প্রকাশ করা হয়েছে।
দক্ষিণ গাজার খান ইউনিসে নাসের মেডিক্যাল কমপ্লেক্সে সংবাদিক বৈঠকে গাজা স্বাস্থ্য দফতরের পরিচালক মারওয়ান আল-হামস জানান, ইজরায়েলের হামলায় এ পর্যন্ত ১৬ হাজার ২৭৮ জন শিশুর মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে ৯০৮ জন কোলের শিশু এবং ৩১১ জন সদ্যোজাত।
তিনি বলেন, চলতি বছরের মার্চের শুরুতে ইসরাইল ক্রসিং বন্ধ করে দেওয়ার পর থেকে মানবিক পরিস্থিতি উল্লেখযোগ্যভাবে খারাপ হয়ে গেছে। যার ফলে প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যসেবা ব্যাহত হচ্ছে। এতে হাজার হাজার শিশু এবং গর্ভবতী মহিলা চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। যা সংকটকে আরও বাড়িয়ে তুলছে।
তিনি আরও উল্লেখ করেন, হাজার হাজার শিশু মৌলিক চাহিদা ছাড়াই বাস্তুচ্যুত কেন্দ্রগুলোতে বাস করছে। অন্যদিকে গর্ভবতী নারীদেরও হাসপাতালে পৌঁছানোর ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, যুদ্ধবিরতি ভেঙে মার্চের গোড়ায় ইজরায়েলি ফৌজ গাজায় হামাস বিরোধী অভিযান শুরু করেছিল। প্যালেস্টাইনি শরণার্থী বিষয়ক দায়িত্বপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপুঞ্জের সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএ-র এপ্রিলের গোড়ায় একটি রিপোর্টে জানিয়েছিল, গত ১৮ মার্চ থেকে প্রতি দিন অবরুদ্ধ গাজায় অন্তত ১০০ প্যালেস্টাইনি শিশু হতাহত হচ্ছে।
গত ২ মার্চ থেকে গাজায় কোনও মানবিক সহায়তা এবং ত্রাণ প্রবেশ করতে দিচ্ছে না। ফলে ভয়াবহ খাদ্য এবং পানীয়ের সঙ্কট দেখা দিয়েছে।
প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার পরেই গাজায় হানা দিয়েছিল ইজরায়েলি সেনা। প্রথমে বন্দুকের নলের সামনে রেখে উত্তর গাজা ফাঁকা করানো হয়। এরপরে স্থল অভিযানে মধ্য ভূখণ্ডও গ্রাস করেছে তারা। ঘরবাড়ি, হাসপাতাল, ধূলিসাৎ করেছে। তারপর টানা হামলা চলেছে দক্ষিণে, খান ইউনিস এবং রাফায়।
মৃত্যু হয়েছে প্রায় ৬০ হাজার প্যালেস্টাইনির। এবার ইজরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর মন্ত্রিসভা গত রবিবার গাজা ভুখণ্ড পুরোপরি দখলের জন্য পুরোপুরি সামরিক অভিযানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তা কার্যকর হলে আরও বহু মৃত্যুর আশঙ্কা রয়েছে।