০২:৫৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৫

গাজার দ্বিতীয় বৃহত্তম হাসপাতাল বন্ধ হয়ে গেল

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  • আপডেট: ০৫:০১:৪৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
  • / 13

দখলদার ইসরায়েলি বাহিনীর অব্যাহত হামলায় জ্বালানি ও কর্মী সংকটে গাজার দ্বিতীয় বৃহত্তম নাসের হাসপাতাল বন্ধ হয়ে গেছে।

১৮ ফেব্রুয়ারি রবিবার, টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

স্থানীয় প্রশাসন ও জাতিসংঘের স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা বলছেন, যুদ্ধ, জ্বালানির ঘাটতি এবং ইসরায়েলি অভিযান গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর খান ইউনিসের নাসের হাসপাতালটিকে সম্পূর্ণভাবে অকার্যকর করে দিয়েছে। হাসপাতালটিতে ইসরায়েলি হামলায় আহত ও গুরুতর জখম নিয়ে অসংখ্য ফিলিস্তিনি হাসপাতালটিতে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন।

কিন্ত এটিও বন্ধ হয়ে যাওয়ায় গাজার স্বাস্থ্যসেবাব্যবস্থা আরও বড় সংকটে পড়ল। স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, হাসপাতাল চালানোর মতো জ্বালানি বা কর্মী না থাকায় রোববার থেকে হাসপাতালটিতে সেবাদান কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হয়।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আশরাফ আল-কিদ্রা বলেন, উপত্যকার দ্বিতীয় বৃহত্তম হাসপাতালে সেবাদান একেবারে বন্ধ হয়ে গেছে। সেখানে মাত্র চারটি মেডিকেল টিমে ২৫ জন কর্মী রয়েছেন। ভেতরে যেসব রোগী আছেন, এখন শুধু তাদেরই সেবা দিচ্ছেন কর্মীরা।

তিনি জানান, তিন দিন ধরে জেনারেটর চালু করতে না পারায় হাসপাতালে পানির সরবরাহ বন্ধ হয়ে গেছে। বিদ্যুৎ না থাকায় অক্সিজেনের সরবরাহ বন্ধ। অক্সিজেন না পেয়ে অন্তত সাত রোগীর মৃত্যু হয়েছে।

 

শেয়ার করুন
ট্যাগ :

আপনার মন্তব্য লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষণ করুন

গাজার দ্বিতীয় বৃহত্তম হাসপাতাল বন্ধ হয়ে গেল

আপডেট: ০৫:০১:৪৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

দখলদার ইসরায়েলি বাহিনীর অব্যাহত হামলায় জ্বালানি ও কর্মী সংকটে গাজার দ্বিতীয় বৃহত্তম নাসের হাসপাতাল বন্ধ হয়ে গেছে।

১৮ ফেব্রুয়ারি রবিবার, টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

স্থানীয় প্রশাসন ও জাতিসংঘের স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা বলছেন, যুদ্ধ, জ্বালানির ঘাটতি এবং ইসরায়েলি অভিযান গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর খান ইউনিসের নাসের হাসপাতালটিকে সম্পূর্ণভাবে অকার্যকর করে দিয়েছে। হাসপাতালটিতে ইসরায়েলি হামলায় আহত ও গুরুতর জখম নিয়ে অসংখ্য ফিলিস্তিনি হাসপাতালটিতে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন।

কিন্ত এটিও বন্ধ হয়ে যাওয়ায় গাজার স্বাস্থ্যসেবাব্যবস্থা আরও বড় সংকটে পড়ল। স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, হাসপাতাল চালানোর মতো জ্বালানি বা কর্মী না থাকায় রোববার থেকে হাসপাতালটিতে সেবাদান কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হয়।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আশরাফ আল-কিদ্রা বলেন, উপত্যকার দ্বিতীয় বৃহত্তম হাসপাতালে সেবাদান একেবারে বন্ধ হয়ে গেছে। সেখানে মাত্র চারটি মেডিকেল টিমে ২৫ জন কর্মী রয়েছেন। ভেতরে যেসব রোগী আছেন, এখন শুধু তাদেরই সেবা দিচ্ছেন কর্মীরা।

তিনি জানান, তিন দিন ধরে জেনারেটর চালু করতে না পারায় হাসপাতালে পানির সরবরাহ বন্ধ হয়ে গেছে। বিদ্যুৎ না থাকায় অক্সিজেনের সরবরাহ বন্ধ। অক্সিজেন না পেয়ে অন্তত সাত রোগীর মৃত্যু হয়েছে।

 

শেয়ার করুন