গুরুতর অসুস্থ নুসরাত ফারিয়া

- আপডেট: ০২:০৪:৫৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৩ মে ২০২৫
- / 5
অভিনেত্রী নুসরাত ফারিয়া -ছবি : সংগৃহীত
গুরুতর অসুস্থ অভিনেত্রী নুসরাত ফারিয়া। শুক্রবার দুপুরে এক ফেসবুক পোস্টে তিনি জানান, অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে জানাতে হচ্ছে, বর্তমানে আমি গুরুতর অসুস্থতায় ভুগছি এবং বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের নিবিড় পর্যবেক্ষণে আছি।
এরপর অভিনেত্রী বললেন, আমি জানি, আপনারা অনেকেই আমার খোঁজখবর, সাক্ষাতকার নেওয়ার জন্য বারবার চেষ্টা করছেন।
আপনাদের ভালোবাসা ও উদ্বেগ আমাকে সত্যিই ছুঁয়ে যাচ্ছে। চিকিৎসার অংশ হিসেবে এখন কিছু সময়ের জন্য বাইরের সঙ্গে সকল ধরনের যোগাযোগ বন্ধ রাখা হয়েছে ফোন ব্যবহারের ওপরও রয়েছে কড়াকড়ি নিষেধাজ্ঞা। এই পরিস্থিতিতে কারো সঙ্গে কথা বলতে না পারার জন্য আন্তরিকভাবে দুঃখিত। আশা করি আপনারা বিষয়টি বুঝবেন।
সুস্থ হয়ে দ্রুত সবার মাঝে ফিরে আসবেন এমন প্রত্যয় ব্যক্ত করে নুসরাত ফারিয়া লিখেন, আমি বিশ্বাস করি, এই কঠিন সময়টা দ্রুতই পেরিয়ে আবার সুস্থভাবে আপনাদের মাঝে ফিরে আসতে পারব। গত কয়েকদিন ছিল আমার জীবনের সবচেয়ে দুঃসহ ও সংবেদনশীল সময়। মানসিক ও শারীরিকভাবে অনেকটাই ভেঙে পড়েছিলাম। কিন্তু আপনাদের ভালোবাসা, সমর্থন ও সাহচর্য আমাকে এগিয়ে চলার শক্তি দিয়েছে।
আপনাদের সকলের প্রতি আপামর জনসাধারণ, প্রতি আমি হৃদয়ের গভীর থেকে কৃতজ্ঞ। বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানাতে চাই সাংবাদিক ও গণমাধ্যমের বন্ধুদের, যাদের মানবিকতা ও ইতিবাচক ভূমিকাটি এই সময়ে আমার জন্য ছিল অত্যন্ত প্রয়োজনীয় ও অনুপ্রেরণাদায়ক। আপনারা পাশে না থাকলে হয়তো এত দ্রুত নিজের ভেতরের সাহস খুঁজে পেতাম না। আমি আজীবন মনে রাখব এই ভালোবাসা ও নিরন্তর সহমর্মিতার কথা। সবার প্রতি রইল আন্তরিক ভালোবাসা ও কৃতজ্ঞতা। খুব শিগগিরই আবার দেখা হবে।
এর আগে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে একটি হত্যাচেষ্টা মামলায় গ্রেপ্তার নুসরাত ফারিয়া গত মঙ্গলবার কারামুক্ত হয়েছেন। এরপর কারাগার থেকে বেরিয়ে তার পাশে থাকার জন্য সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন অভিনেত্রী।
উল্লেখ্য, রবিবার দুপুরে থাইল্যান্ড যাওয়ার সময় ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ইমিগ্রেশনে অভিনেত্রীকে আটকে দেয় ইমিগ্রেশন পুলিশ। এরপর ফারিয়াকে ডিএমপির ভাটারা থানায় থাকা এক হত্যাচেষ্টার মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে তোলা হয়। আদালত অভিনেত্রীকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
মামলার সূত্রে জানা গেছে, জুলাই আন্দোলনের সময় ১৯ জুলাই ভাটারা থানার সামনে অবস্থান নেন আন্দোলনকারীরা। আন্দোলনকারীদের ওপর গুলি চালানো হয়। এনামুল হকের পায়ে গুলি লাগে। তিনি হাসপাতালে চিকিৎসা নেন। পরে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনাসহ ২৮৩ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতনামা তিন-চার শজনের বিরুদ্ধে ঢাকার সিএমএম আদালতে মামলাটি করেছেন এনামুল হক।
হত্যাচেষ্টার ওই মামলায় আসামি করা হয় অপু বিশ্বাস, আসনা হাবিব ভাবনা, নুসরাত ফারিয়া, অভিনেতা জায়েদ খানসহ ১৭ জন তারকাকে।