জেনে নিন
ঘরোয়া কিছু উপায়ে কাশি থেকে মুক্তির

- আপডেট: ০৯:৫৮:১৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
- / 23
রাতে শোওয়ার সময় অনেকেরই কাশি বেড়ে যাচ্ছে। ফলে ঘুমের ব্যাঘাত ঘটছে। ওষুধ খেয়েও কোনো কাজ হচ্ছে না। খুসখুসে-শুকনো কাশি সারাক্ষণই হতে থাকে। ওষুধের পাশাপাশি ভরসা করা যেতে পারে ঘরোয়া কিছু উপায়ে ওপরে।
লবণ-পানিতে গার্গল: কাশি, গলা ব্যথার সমস্যায় সবচেয়ে কার্যকর ঘরোয়া প্রতিকার এটি। লবণ পানিতে গার্গল করলে অনেকটাই স্বস্তি পাওয়া যায়। অর্ধেক গ্লাস গরম পানিতে কিছুটা লবণ মিশিয়ে দুই বেলা গার্গল করুন। উপকার পাবেন।
আদা: খুসখুসে কাশি দূর করতে আদা অনেক কার্যকর। আদা শ্বাসনালী থেকে কফ বের করতে সাহায্য করে। আদার অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল এবং অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি গুণ শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতেও সাহায্য করে। আদা টুকরো করে সামান্য লবণ মাখিয়ে খেলে কমতে পারে কাশি। বাজারে শুকনো আদাও কিনতে পাওয়া যায়। মুখে শুকনো আদা রাখলেও উপকার পেতে পারেন। এ ছাড়া, আদা চা বানিয়েও খেতে পারেন।
মধু: কাশি নিরাময়ের জন্য সবচেয়ে প্রাচীনতম ঘরোয়া প্রতিকারগুলির মধ্যে অন্যতম মধু। কাশির পাশাপাশি গলা জ্বালাও সারিয়ে তোলে মধু। মধুতে রয়েছে অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল এবং অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি গুণ, ফলে ব্যাকটেরিয়া বা ভাইরাল সংক্রমণও দূর করে।
গরম পানি: ঠান্ডা পানি কাশি আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে। তাই কাশি না কমা পর্যন্ত হালকা গরম পানি খান। গরম পানি খেলে গলায় আরাম পাবেন এবং কাশিও কমবে দ্রুত। গরম পানির পাশাপাশি গরম স্যুপ এবং ভেষজ চাও খেতে পারেন। এতে গলা জ্বালা কমবে এবং শুকনো কাশি নিরাময় হবে।
যষ্টিমধু: শ্বাসনালী পরিষ্কার রাখতে, সর্দি-কাশিতে অত্যন্ত উপকারী যষ্টিমধু। পাশাপাশি গলা ব্যথা ও জ্বালা উপশম করে। এর অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি এবং অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল গুণ প্রহাদ নাশ করে, ভাইরাসজনিত সংক্রমণ দূরে রাখে।
ভাপ নেওয়া: গরম পানিতে কয়েক ফোঁটা ইউক্যালিপটাস তেল মিশিয়ে ভাপ নিতে পারেন। আবার শুধু গরম পানিতেও ভাপ নেওয়া যেতে পারে। গলা ব্যথা, সর্দি-কাশিতে ভাপ নেওয়ার এই দাওয়াই বেশ কার্যকর।
পুদিনা পাতা: পুদিনায় রয়েছে মেন্থল। গলায় কোনো অস্বস্তি হলে তা মেন্থলের গুণে কমে যেতে পারে। শুকনো কাশির সমস্যায়ও পুদিনা দারুণ উপকারী। চায়ে পুদিনা পাতা মিশিয়ে খেতে পারেন। উপকার পাবেন।