০৬:৪৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫

ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে কলকাতার রাস্তায় হাঁটুপানি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  • আপডেট: ১১:৪৫:০৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৭ মে ২০২৪
  • / 20

সংগৃহীত ছবি

রোববার রাত থেকে শুরু হয়েছে ঘূর্ণিঝড় রেমালের তাণ্ডব। কারণ বাংলাদেশ উপকূল এবং পশ্চিমবঙ্গের সাগরদ্বীপের মাঝামাঝি এলাকা দিয়ে বঙ্গোপসাগর উপকূলে আঘাত হেনেছে প্রবল ঘূর্ণিঝড় রেমাল।

এরই জেরে পশ্চিমবঙ্গের রাজধানী কলকাতায় রাতভর বৃষ্টি হয়েছে। বৃষ্টির কারণে শহরটির বিভিন্ন স্থানে রাস্তায় হাঁটুপানি জমেছে। এমনকি নানা জায়গায় বিদ্যুতের তারও ছিড়ে পড়েছে। অবশ্য শিগগিরই গোটা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার ঘোষণা দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম বলছে, ঘূর্ণিঝড় রেমালের জেরে রাতভর বৃষ্টিতে সপ্তাহের প্রথম দিনে কলকাতার একাংশ বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। নানা জায়গায় ছিঁড়ে গেছে বিদ্যুতের তার। বিদ্যুতের খুঁটি উপড়েও বিপর্যয় দেখা দিয়েছে বিভিন্ন জায়গায়।

আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে খবর, সোমবার দুপুর পর্যন্ত কলকাতা ও পাশের জেলাগুলোতে দুর্যোগ চলতে পারে। অবশ্য কর্তৃপক্ষের আশ্বাস, শিগগিরই গোটা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হবে।

কলকাতার পার্ক সার্কাস, ঢাকুরিয়া, বালিগঞ্জ, আলিপুর-সহ নানা জায়গায় হাঁটুপানি জমে গেছে। রেমালের তাণ্ডবে গাছ ভেঙে পড়ে অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছে বহু রাস্তাঘাট। বিদ্যুতের তার, খুঁটি ভেঙে নানা এলাকা বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন হয়েছে।

পৌর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সোমবার সপ্তাহের প্রথম দিন। সাধারণ মানুষের যাতে কোনও সমস্যা না হয়, সেই চেষ্টাই করা হচ্ছে। মেয়র ফিরহাদ হাকিম রাতেই আশ্বস্ত করে বলেছেন, ‘আপাতত কোনও ক্রাইসিস নেই।

বিদ্যুৎমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস বলেছেন, ‘কিছু কিছু জায়গায় ট্রান্সফরমার উড়ে গেছে। পরিস্থতি দ্রুত স্বাভাবিক করার চেষ্টা চলছে। ঝড় থামলে জানতে পারবো কোথায় কী ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে।’

এদিক সোমবার সকালে বৃষ্টি হলেও কলকাতায় ঝড়ের দাপট সেই অর্থে নেই। তবে এখনও ঝোড়ো হাওয়া বইছে ফ্রেজারগঞ্জ ও বকখালিতে। স্থানীয় সূত্রে খবর, ব্যাপক ঝড়বৃষ্টি হচ্ছে সুন্দরবনে। সোমবার সকাল থেকেই দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুলতলি ব্লকের একাংশ বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন। তবে এখনও ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি। গাছ ভেঙে পড়ে বিপর্যস্ত সাগরদ্বীপ। ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী।

আলিপুর আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাস, রেমালের প্রভাবে উত্তর এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনা, কলকাতা, পূর্ব মেদিনীপুর, হাওড়া, হুগলিতে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। সেখানে রেড অ্যালার্ট জারি রয়েছে।

এছাড়া দুই ২৪ পরগনা এবং পূর্ব মেদিনীপুরের কিছু জায়গায় অতি ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। জারি রয়েছে অরেঞ্জ অ্যালার্ট।

শেয়ার করুন
ট্যাগ :

আপনার মন্তব্য লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষণ করুন

ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে কলকাতার রাস্তায় হাঁটুপানি

আপডেট: ১১:৪৫:০৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৭ মে ২০২৪

সংগৃহীত ছবি

রোববার রাত থেকে শুরু হয়েছে ঘূর্ণিঝড় রেমালের তাণ্ডব। কারণ বাংলাদেশ উপকূল এবং পশ্চিমবঙ্গের সাগরদ্বীপের মাঝামাঝি এলাকা দিয়ে বঙ্গোপসাগর উপকূলে আঘাত হেনেছে প্রবল ঘূর্ণিঝড় রেমাল।

এরই জেরে পশ্চিমবঙ্গের রাজধানী কলকাতায় রাতভর বৃষ্টি হয়েছে। বৃষ্টির কারণে শহরটির বিভিন্ন স্থানে রাস্তায় হাঁটুপানি জমেছে। এমনকি নানা জায়গায় বিদ্যুতের তারও ছিড়ে পড়েছে। অবশ্য শিগগিরই গোটা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার ঘোষণা দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম বলছে, ঘূর্ণিঝড় রেমালের জেরে রাতভর বৃষ্টিতে সপ্তাহের প্রথম দিনে কলকাতার একাংশ বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। নানা জায়গায় ছিঁড়ে গেছে বিদ্যুতের তার। বিদ্যুতের খুঁটি উপড়েও বিপর্যয় দেখা দিয়েছে বিভিন্ন জায়গায়।

আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে খবর, সোমবার দুপুর পর্যন্ত কলকাতা ও পাশের জেলাগুলোতে দুর্যোগ চলতে পারে। অবশ্য কর্তৃপক্ষের আশ্বাস, শিগগিরই গোটা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হবে।

কলকাতার পার্ক সার্কাস, ঢাকুরিয়া, বালিগঞ্জ, আলিপুর-সহ নানা জায়গায় হাঁটুপানি জমে গেছে। রেমালের তাণ্ডবে গাছ ভেঙে পড়ে অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছে বহু রাস্তাঘাট। বিদ্যুতের তার, খুঁটি ভেঙে নানা এলাকা বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন হয়েছে।

পৌর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সোমবার সপ্তাহের প্রথম দিন। সাধারণ মানুষের যাতে কোনও সমস্যা না হয়, সেই চেষ্টাই করা হচ্ছে। মেয়র ফিরহাদ হাকিম রাতেই আশ্বস্ত করে বলেছেন, ‘আপাতত কোনও ক্রাইসিস নেই।

বিদ্যুৎমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস বলেছেন, ‘কিছু কিছু জায়গায় ট্রান্সফরমার উড়ে গেছে। পরিস্থতি দ্রুত স্বাভাবিক করার চেষ্টা চলছে। ঝড় থামলে জানতে পারবো কোথায় কী ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে।’

এদিক সোমবার সকালে বৃষ্টি হলেও কলকাতায় ঝড়ের দাপট সেই অর্থে নেই। তবে এখনও ঝোড়ো হাওয়া বইছে ফ্রেজারগঞ্জ ও বকখালিতে। স্থানীয় সূত্রে খবর, ব্যাপক ঝড়বৃষ্টি হচ্ছে সুন্দরবনে। সোমবার সকাল থেকেই দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুলতলি ব্লকের একাংশ বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন। তবে এখনও ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি। গাছ ভেঙে পড়ে বিপর্যস্ত সাগরদ্বীপ। ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী।

আলিপুর আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাস, রেমালের প্রভাবে উত্তর এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনা, কলকাতা, পূর্ব মেদিনীপুর, হাওড়া, হুগলিতে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। সেখানে রেড অ্যালার্ট জারি রয়েছে।

এছাড়া দুই ২৪ পরগনা এবং পূর্ব মেদিনীপুরের কিছু জায়গায় অতি ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। জারি রয়েছে অরেঞ্জ অ্যালার্ট।

শেয়ার করুন