চলছে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত,প্রস্তুত ৪ হাজার আশ্রয়কেন্দ্র

- আপডেট: ০৫:৩১:০৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ মে ২০২৪
- / 38
আসন্ন ঘূর্ণিঝড় ‘রেমাল’এর সার্বিক অবস্থান চিত্র। – ইউএনএ
আজ শনিবার (২৫ মে) দুপুর ১২টার দিকে পায়রা সমুদ্র বন্দর থেকে আসন্ন নিম্নচাপটি ৪২৫ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছিল। গভীর নিম্নচাপটি আরও ঘনীভূত হতে পারে। এছাড়া উপকূলীয় এলাকা দিয়ে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। তাই পটুয়াখালীর পায়রা, চট্রগ্রাম, কক্সবাজার ও মোংলা সমুদ্র বন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলেছে আবহাওয়া অফিস। সব মাছধরা ট্রলার সমূহকে নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।
সাগরে সৃষ্ট গভীর নিম্নচাপ ক্রমেই উপকূলের দিকে এগিয়ে আসছে। গভীর নিম্নচাপটি যে কোনও সময় ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে। ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিলে এর নাম হবে ‘রেমাল’, আরবিতে এই শব্দের অর্থ বালু।
সম্ভাব্য এই ঘূর্ণিঝড়ের ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে আজ শনিবার (২৫ মে) রাত থেকেই মহাবিপদ ১০ নম্বর সংকেত দেখানো হতে পারে বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মহিববুর রহমান।দুপুরে সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচি বাস্তবায়ন বোর্ডের জরুরি সভা শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ, ভারত, চীন, জাপানসহ বিভিন্ন দেশের আবহাওয়া অফিসের সঙ্গে সমন্বয় রেখে পরিষ্কার বুঝতে পারছি ঘূর্ণিঝড়টি আসন্ন। আমরা সেই অনুযায়ী প্রস্তুতি নিচ্ছি।ইতোমধ্যে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত জারি হয়েছে। সন্ধ্যা নাগাদ ৪-এর ওপরে এবং রাতের বেলা বিপদের পর্যায়ে চলে যেতে পারে।’
আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস পর্যালোচনা করে মনে হয়ছে, ঘূর্ণিঝড় আসন্ন, সেটা মাথায় রেখে প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে বলে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘রবিবার ভোর থেকে এটা প্রাথমিক আঘাত হানতে পারে। এরপর সন্ধ্যা নাগাদ মূলটা আঘাত হানবে। পূর্বাভাসে আমরা এরকমই বুঝতে পারছি এবং আজকে রাত ১২টা থেকে ১টার মধ্যে এটা ডেঞ্জার পয়েন্টে চলে যেতে পারে।’
প্রায় ৮০ হাজার স্বেচ্ছাসেবক প্রস্তুত রয়েছে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘এই ঘূর্ণিঝড়ে সাতক্ষীরা থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত পুরো এলাকা কম-বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। ৭ থেকে ১০ ফুট পর্যন্ত জলোচ্ছ্বাস হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। ঝড়ের সঙ্গে প্রচুর বৃষ্টিপাত হবে, ফলে পাহাড়ি অঞ্চলে প্রচুর ভূমিধস হতে পারে। সব কিছু মাথায় রেখে সার্বিক প্রস্তুতি আমরা নিয়েছি।’
সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড়ের প্রস্তুতি হিসেবে এরই মধ্যে ৪ হাজার আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে বলে জানান প্রতিমন্ত্রী মহিববুর রহমান। তিনি বলেন, ‘পর্যাপ্ত খাবার ও সরঞ্জাম রয়েছে। অতিরিক্ত প্রয়োজন হলে যেন ঢাকা থেকে সরবরাহ করা যায়, সেই প্রস্তুতিও রাখা হয়েছে।’