জাতি প্রধান উপদেষ্টার কাছে নিরপেক্ষতা আশা করে : সালাহউদ্দিন আহমদ

- আপডেট: ০৯:৫৪:১২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২ জুন ২০২৫
- / 9
সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ -ফাইল ফটো
নির্বাচন প্রসঙ্গে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেছেন, আমরা অবশ্যই মনে করি ডিসেম্বরে নির্বাচন সম্ভব। আশা করি প্রধান উপদেষ্টা নিরপেক্ষভাবে তার দায়িত্ব পালন করবেন। কারও প্রতি রাগ-বিরাগ, অভিমান প্রদর্শন করবেন না। তবে জাতি তার কাছে নিরপেক্ষতা আশা করে।
এর আগেই জরুরি ভিত্তিতে নির্বাচনমুখী যে সংশোধনীগুলো তা চিহ্নিত করে ঐকমত্যের ভিত্তিতে আমরা যদি বাস্তবায়ন করি। তবে এমন কোনো সংস্কার নেই যা এক মাসের মধ্যে বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে না। শুধু সংবিধান ছাড়া অন্যান্য যে সংস্কারগুলো আছে তা নির্বাহী আদেশে বা অডিয়েন্সের মাধ্যমে এক মাসের ভেতরে বাস্তবায়ন করা সম্ভব। যেটা আমরা বুঝিয়ে দিয়েছি। সুতরাং নির্বাচন ডিসেম্বরের পরে যাওয়ার একটি কারণও নেই।
সোমবার (২ জুন) সন্ধ্যায় রাজধানীর বেইলি রোডে অবস্থিত ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সর্বদলীয় ঐকমত্য কমিশনের বৈঠক শেষে উপস্থিত সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি। ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, আমরা সংস্কার কমিশনের বিস্তারিত মতামতের ভিত্তিতে বিস্তারিত মতামত দিয়েছি। সংস্কার বিষয়ে আমরা তিন দিন সংস্কার কমিশনের সঙ্গে বৈঠক করেছি। সংস্কার কমিশন অন্যান্য দলের সঙ্গেও বৈঠক করেছে। আমরা আমাদের মতামত লিখিতভাবেও দিয়েছি।
আমরা আলোচনা মধ্যদিয়ে গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুগুলোতে কাছাকাছি আসতে পেরেছি এমন মন্তব্য করে বলেন, আমরা সেটাই গ্রহণ করবো যেটাই জাতির জন্য বৃহত্তর স্বার্থ সংরক্ষণ করবে। এটা জাতীয় নীতিতে গৃহীত হলে এ জাতির মধ্যে একটা ঐক্য তৈরি হবে। আমরা সেটাই গ্রহণ করবো যে প্রস্তাবগুলো সংবিধান ও শক্তিশালী গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হবে। রাষ্ট্রের সবকিছু মধ্যে একটা ভারসাম্য সৃষ্টি হবে। এর মধ্যদিয়ে বিপুল সংখ্যক জনগোষ্ঠীর যে আকাঙ্ক্ষা তা বাস্তবায়ন করতে পারবো।
নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমরা অবশ্যই মনে করি ডিসেম্বরে নির্বাচন সম্ভব। এর আগেই জরুরি ভিত্তিতে নির্বাচনমুখী যে সংস্কারগুলো চিহ্নিত করে ঐক্যমত্যের ভিত্তিতে তা আমরা বাস্তবায়ন করি। এমন কোনো সংস্কার নেই যা এক মাসের মধ্যে বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে না। শুধু সংবিধান ব্যতীত অন্যান্য যে সংস্কারগুলো আছে তা নির্বাহী আদেশে বা অডিয়েন্স এর মাধ্যমে এক মাসের ভিতরে বাস্তবায়ন করা সম্ভব। যেটা আমরা বুঝিয়ে দিয়েছি। সুতরাং নির্বাচন ডিসেম্বরের পরে যাওয়ার একটি কারণও নেই।
বৈঠকে অধিকাংশ দলগুলোই ডিসেম্বরের আগে নির্বাচনের প্রস্তাব দিয়েছে আমরা আশা করি প্রধান উপদেষ্টা সেটি বিবেচনা করবেন।
সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, সংবিধান সংশোধনী যেসব প্রস্তাব বিভিন্ন দল দিয়েছে আমাদের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। উনারা যেভাবে আন্তরিকতা দেখেছেন তাতে আগামী এক মাসের মধ্যে একটা ঐক্যমতে আসা সম্ভব বলে মনে করি।
কিছু কিছু বিষয়ে অবশ্যই দ্বিমত থাকবে, সব বিষয়ে সবাই একমত হবে এমনটা আমরা আশাও করি না। যেসব বিষয়ে আমার একমতে আসতে পারবে সেটা অবশ্যই পরবর্তী সংসদে সংশোধনী হবে। এসব বিষয়ে এখন ঐকমত্যের ভিত্তিতে একটি সনদের স্বাক্ষরিত হলেই হবে। এটা আমাদের নির্বাচনী ইশতেহারেও আসবে। এটা অঙ্গীকার হিসেবে থাকবে।
আমার কাছে মনে হয়েছে, উনারা যথেষ্ট আন্তরিক। এরই মধ্যে অনেক সময়ক্ষেপণ হয়েছে। আশা করি, আর বেশি সময় নেবেন না। এ মাসের মধ্যে একটা কম্পাইল করা সম্ভব হবে জানান বিএনপির এ শীর্ষ নেতা।
বৈঠকে অংশ নেওয়া রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা তাদের মতামত তুলে ধরেন।