০৬:০৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৮ মে ২০২৫

জাতীয় নির্বাচনের সুস্পষ্ট তারিখ ঘোষণা করুন : তারেক রহমান

ইউএনএ প্রতিবেদক
  • আপডেট: ০২:৫০:৪৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৮ মে ২০২৫
  • / 3

শনিবার এই অনুষ্ঠানে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে বক্তব্য দেন তারেক রহমান -ফাইল ফটো

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহবান জানিয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেন, পরিস্থিতি অযথা ঘোলাটে না করে জাতীয় নির্বাচনের সুস্পষ্ট তারিখ ঘোষণা করুন। জনগণের ভোটে, জনগণের কাছে দায়বদ্ধ সরকার প্রতিষ্ঠা করা না গেলে পতিত পলাতক স্বৈরাচারকে মোকাবিলা করা সহজ হবে না। আশা করি লোভ-লাভে প্রলোভন থেকে মুক্ত থেকে অন্তর্বর্তী সরকার অচিরেই জাতীয় নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করে দেশে জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার দাযিত্ব পালন করবে।

শনিবার (১৭ মে) জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলনের (এনডিএম) প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, বিএনপিসহ রাজনৈতিক দলগুলো শুরু থেকেই নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণার দাবি জানিয়ে আসছে। তবে সরকার সেই আহ্বানে সেভাবে সাড়া দেয়নি। বরং সরকার সুকৌশলে ‘অল্প সংস্কার’, বেশি সংস্কার এ ধরনের অভিনব শর্তের বেড়াজালে আটকে দিয়েছে।

তারেক রহমান বলেন, ভবিষ্যতে আর কোনো ফ্যাসিবাদ যেন দেশ ও জনগণের অধিকার কেড়ে নিতে না পারে সেজন্য গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া বাস্তবায়নের এখনই উপযুক্ত সঠিক সময়। যদিও গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে অন্তর্বর্তী সরকারের সদিচ্ছা নিয়ে জনমনে কিছুটা হতাশার সৃষ্টি হয়েছে। তবুও অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি গণতন্ত্রের পক্ষের রাজনৈতিক দলগুলোর সমর্থন অব্যাহত রয়েছে।

তিনি বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের সামর্থ্য নিয়ে আমরা চুপ থাকলেও জনমনে কিন্তু প্রশ্ন ঠিকই উঠেছে। বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের আইনগত ও রাজনৈতিক বৈধতা নিয়ে হয়তো প্রশ্ন নেই। তবে এই সরকার কোনোভাবেই জনগণের কাছে জবাবদিহিমূলক সরকার নই। সুতরাং জনগণের ভোটে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করা অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে প্রথম ও প্রধান অগ্রাধিকার হতে হবে।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের চিন্তা ও কর্মপরিকল্পনা নিয়ে জনগণ অন্ধকারে থাকায় দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে অস্থিরতা বাড়ছে। আমরা দেখছি বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ দাবি-দাওয়া নিয়ে রাজপথে জড়ো হচ্ছে। মাত্র ১০ মাসের মাথায় সরকারের ভেতরে ও বাইরেও কিন্তু অস্থিরতা দৃশ্যমান হচ্ছে। সরকার যদি জনগণের ভাষা, আশা-আকাঙ্ক্ষা বুঝতে ব্যর্থ হয় তাহলে অস্থিরতা বাড়তেই থাকবে। এ অবস্থা বাড়তে থাকলে সরকারের পক্ষে সামাল দেওয়া কঠিন হয়ে পড়বে। তাই সরকারের প্রতি তাদের সক্ষমতা সম্পর্কে সতর্ক হওয়ার আহ্বান জানাই।

সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা ছাড়া তড়িঘড়ি করে সংস্কার শুরু করায় হিতে বিপরীত হয়েছে। অন্তর্বর্তী সরকার যাই বলুক না কেন দেশে বিনিয়োগ পরিস্থিতিও কিন্তু আশাব্যঞ্জক নয় বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

তিনি বলেন, গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেযার ক্ষেত্রে অন্তর্বর্তী সরকারের স্বদিচ্ছা ও সমর্থন নিয়ে ইতিমধ্যে জনমনে কিছুটা হতাশার সৃষ্টি হয়েছে। তবুও গণতন্ত্রের পক্ষের রাজনৈতিক দলগুলো জনগণের ভোটে, জনগণের কাছে জবাবদিহিমূলক সরকার প্রতিষ্ঠার স্বার্থে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি সমর্থন এখনো অব্যাহত রেখেছে।

শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষণ করুন

জাতীয় নির্বাচনের সুস্পষ্ট তারিখ ঘোষণা করুন : তারেক রহমান

আপডেট: ০২:৫০:৪৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৮ মে ২০২৫

শনিবার এই অনুষ্ঠানে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে বক্তব্য দেন তারেক রহমান -ফাইল ফটো

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহবান জানিয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেন, পরিস্থিতি অযথা ঘোলাটে না করে জাতীয় নির্বাচনের সুস্পষ্ট তারিখ ঘোষণা করুন। জনগণের ভোটে, জনগণের কাছে দায়বদ্ধ সরকার প্রতিষ্ঠা করা না গেলে পতিত পলাতক স্বৈরাচারকে মোকাবিলা করা সহজ হবে না। আশা করি লোভ-লাভে প্রলোভন থেকে মুক্ত থেকে অন্তর্বর্তী সরকার অচিরেই জাতীয় নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করে দেশে জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার দাযিত্ব পালন করবে।

শনিবার (১৭ মে) জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলনের (এনডিএম) প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, বিএনপিসহ রাজনৈতিক দলগুলো শুরু থেকেই নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণার দাবি জানিয়ে আসছে। তবে সরকার সেই আহ্বানে সেভাবে সাড়া দেয়নি। বরং সরকার সুকৌশলে ‘অল্প সংস্কার’, বেশি সংস্কার এ ধরনের অভিনব শর্তের বেড়াজালে আটকে দিয়েছে।

তারেক রহমান বলেন, ভবিষ্যতে আর কোনো ফ্যাসিবাদ যেন দেশ ও জনগণের অধিকার কেড়ে নিতে না পারে সেজন্য গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া বাস্তবায়নের এখনই উপযুক্ত সঠিক সময়। যদিও গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে অন্তর্বর্তী সরকারের সদিচ্ছা নিয়ে জনমনে কিছুটা হতাশার সৃষ্টি হয়েছে। তবুও অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি গণতন্ত্রের পক্ষের রাজনৈতিক দলগুলোর সমর্থন অব্যাহত রয়েছে।

তিনি বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের সামর্থ্য নিয়ে আমরা চুপ থাকলেও জনমনে কিন্তু প্রশ্ন ঠিকই উঠেছে। বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের আইনগত ও রাজনৈতিক বৈধতা নিয়ে হয়তো প্রশ্ন নেই। তবে এই সরকার কোনোভাবেই জনগণের কাছে জবাবদিহিমূলক সরকার নই। সুতরাং জনগণের ভোটে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করা অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে প্রথম ও প্রধান অগ্রাধিকার হতে হবে।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের চিন্তা ও কর্মপরিকল্পনা নিয়ে জনগণ অন্ধকারে থাকায় দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে অস্থিরতা বাড়ছে। আমরা দেখছি বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ দাবি-দাওয়া নিয়ে রাজপথে জড়ো হচ্ছে। মাত্র ১০ মাসের মাথায় সরকারের ভেতরে ও বাইরেও কিন্তু অস্থিরতা দৃশ্যমান হচ্ছে। সরকার যদি জনগণের ভাষা, আশা-আকাঙ্ক্ষা বুঝতে ব্যর্থ হয় তাহলে অস্থিরতা বাড়তেই থাকবে। এ অবস্থা বাড়তে থাকলে সরকারের পক্ষে সামাল দেওয়া কঠিন হয়ে পড়বে। তাই সরকারের প্রতি তাদের সক্ষমতা সম্পর্কে সতর্ক হওয়ার আহ্বান জানাই।

সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা ছাড়া তড়িঘড়ি করে সংস্কার শুরু করায় হিতে বিপরীত হয়েছে। অন্তর্বর্তী সরকার যাই বলুক না কেন দেশে বিনিয়োগ পরিস্থিতিও কিন্তু আশাব্যঞ্জক নয় বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

তিনি বলেন, গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেযার ক্ষেত্রে অন্তর্বর্তী সরকারের স্বদিচ্ছা ও সমর্থন নিয়ে ইতিমধ্যে জনমনে কিছুটা হতাশার সৃষ্টি হয়েছে। তবুও গণতন্ত্রের পক্ষের রাজনৈতিক দলগুলো জনগণের ভোটে, জনগণের কাছে জবাবদিহিমূলক সরকার প্রতিষ্ঠার স্বার্থে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি সমর্থন এখনো অব্যাহত রেখেছে।

শেয়ার করুন