০৫:৪৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৫

ডায়রিয়া হলে যেসব পানীয় পান করা উপকারী

লাইফস্টাইল ডেস্ক
  • আপডেট: ০৩:১৫:৩৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ মে ২০২৪
  • / 28

ফাইল ছবি
পেট ব্যথা, পেট কামড়ানো, বমি বমি ভাব ও ডায়রিয়া—এসব হলে আমরা ‘পেট খারাপ হয়েছে’ বলে থাকি। খাওয়াদাওয়া করলে পেট আরও খারাপ হবে—এমন ধারণা থেকে অনেকেই ঠিকমতো খাবার খাওয়া বন্ধ করে দেন। কিন্তু সুস্থ থাকতে এই সময়ে শরীরে সঠিকভাবে পুষ্টির যোগান দেওয়া জরুরি।[১]

পেটের গণ্ডগোলে যেসব খাবার খেলে পেটে স্বস্তি পাওয়ার পাশাপাশি শরীর সুস্থ রাখা যাবে সেটি এই আর্টিকেলে তুলে ধরা হয়েছে। পাশাপাশি পেট ব্যথা, পেটে জ্বালাপোড়া, পেট ফাঁপা ও অ্যাসিডিটি উপশমে কোন খাবারগুলো এড়িয়ে চলতে হবে সেগুলো নিয়েও আলোচনা করা হয়েছে।

১. ওরাল স্যালাইনঃ ওরাল স্যালাইন হলো একটি বিশেষভাবে তৈরি ইলেক্ট্রোলাইট দ্রবণ যা ডায়রিয়ার সময় হারানো তরল এবং প্রয়োজনীয় খনিজ পূরণ করার জন্য কাজ করে। এতে সোডিয়াম, পটাসিয়াম এবং গ্লুকোজের একটি সুনির্দিষ্ট ভারসাম্য রয়েছে, যা শরীরকে আরও দক্ষতার সঙ্গে পানির ঘাটতি পূরণ করতে সহায়তা করে। ডায়রিয়ার কারণে ডিহাইড্রেশন প্রতিরোধে ওরাল স্যালাইন অত্যন্ত কার্যকর।

২. ডাবের পানিঃ ডাবের পানি প্রাকৃতিকভাবে পটাসিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়ামের মতো ইলেক্ট্রোলাইট সমৃদ্ধ, এটি রিহাইড্রেশনের জন্য একটি চমৎকার পছন্দ হতে পারে। ডাবের পানিতে চিনির পরিমাণও কম এবং সহজে হজমযোগ্য। এই পানীয় পরিপাকতন্ত্রকে প্রশমিত করার সময় হারানো তরল এবং ইলেক্ট্রোলাইট পূরণ করতে সহায়তা করে।

৩. ক্লিয়ার স্যুপঃমুরগি বা সবজির তৈরি ক্লিয়ার স্যুপ শুধুমাত্র হাইড্রেটিং নয়, প্রয়োজনীয় পুষ্টি এবং ইলেক্ট্রোলাইটও প্রদান করে। এই উষ্ণ তরল পেটকে প্রশমিত করতে সাহায্য করে, সেইসঙ্গে কিছু পুষ্টিও পাওয়া যায়। ডিহাইড্রেশন এড়াতে কম সোডিয়ামযুক্ত ক্লিয়ার স্যুপ খান।

৪. ভেষজ চাঃ কিছু ভেষজ চা ডায়রিয়া থেকে পরিত্রাণ দিতে পারে এবং পেট সুস্থ করতে সাহায্য করে। ক্যামোমাইল চায়ে প্রদাহ-বিরোধী বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা পাচনতন্ত্রকে প্রশমিত করে এবং পেটের অস্বস্তি দূর করে। আদা চা আরেকটি কার্যকরী পানীয় যা বমি বমি ভাব এবং প্রদাহ দূর করতে কাজ করে।

৫. ইলেক্ট্রোলাইট সমৃদ্ধ ফলের রসঃ আপেলের রস, ডালিমের রস এবং তরমুজের রসের মতো ফলের রসে প্রচুর পরিমাণে প্রাকৃতিক শর্করা এবং ইলেক্ট্রোলাইট থাকে, যা রিহাইড্রেশনের জন্য উপযুক্ত। চিনির পরিমাণ কমাতে এবং হজমের জন্য সহজ করতে ফলের রসের সঙ্গে পানি দিয়ে পাতলা করুন। এসময় কমলার রসের মতো সাইট্রাস জুস এড়িয়ে চলুন, কারণ এটি খুব অ্যাসিডিক হতে পারে এবং ডায়রিয়া বাড়াতে পারে।

 

শেয়ার করুন
ট্যাগ :

আপনার মন্তব্য লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষণ করুন

ডায়রিয়া হলে যেসব পানীয় পান করা উপকারী

আপডেট: ০৩:১৫:৩৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ মে ২০২৪

ফাইল ছবি
পেট ব্যথা, পেট কামড়ানো, বমি বমি ভাব ও ডায়রিয়া—এসব হলে আমরা ‘পেট খারাপ হয়েছে’ বলে থাকি। খাওয়াদাওয়া করলে পেট আরও খারাপ হবে—এমন ধারণা থেকে অনেকেই ঠিকমতো খাবার খাওয়া বন্ধ করে দেন। কিন্তু সুস্থ থাকতে এই সময়ে শরীরে সঠিকভাবে পুষ্টির যোগান দেওয়া জরুরি।[১]

পেটের গণ্ডগোলে যেসব খাবার খেলে পেটে স্বস্তি পাওয়ার পাশাপাশি শরীর সুস্থ রাখা যাবে সেটি এই আর্টিকেলে তুলে ধরা হয়েছে। পাশাপাশি পেট ব্যথা, পেটে জ্বালাপোড়া, পেট ফাঁপা ও অ্যাসিডিটি উপশমে কোন খাবারগুলো এড়িয়ে চলতে হবে সেগুলো নিয়েও আলোচনা করা হয়েছে।

১. ওরাল স্যালাইনঃ ওরাল স্যালাইন হলো একটি বিশেষভাবে তৈরি ইলেক্ট্রোলাইট দ্রবণ যা ডায়রিয়ার সময় হারানো তরল এবং প্রয়োজনীয় খনিজ পূরণ করার জন্য কাজ করে। এতে সোডিয়াম, পটাসিয়াম এবং গ্লুকোজের একটি সুনির্দিষ্ট ভারসাম্য রয়েছে, যা শরীরকে আরও দক্ষতার সঙ্গে পানির ঘাটতি পূরণ করতে সহায়তা করে। ডায়রিয়ার কারণে ডিহাইড্রেশন প্রতিরোধে ওরাল স্যালাইন অত্যন্ত কার্যকর।

২. ডাবের পানিঃ ডাবের পানি প্রাকৃতিকভাবে পটাসিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়ামের মতো ইলেক্ট্রোলাইট সমৃদ্ধ, এটি রিহাইড্রেশনের জন্য একটি চমৎকার পছন্দ হতে পারে। ডাবের পানিতে চিনির পরিমাণও কম এবং সহজে হজমযোগ্য। এই পানীয় পরিপাকতন্ত্রকে প্রশমিত করার সময় হারানো তরল এবং ইলেক্ট্রোলাইট পূরণ করতে সহায়তা করে।

৩. ক্লিয়ার স্যুপঃমুরগি বা সবজির তৈরি ক্লিয়ার স্যুপ শুধুমাত্র হাইড্রেটিং নয়, প্রয়োজনীয় পুষ্টি এবং ইলেক্ট্রোলাইটও প্রদান করে। এই উষ্ণ তরল পেটকে প্রশমিত করতে সাহায্য করে, সেইসঙ্গে কিছু পুষ্টিও পাওয়া যায়। ডিহাইড্রেশন এড়াতে কম সোডিয়ামযুক্ত ক্লিয়ার স্যুপ খান।

৪. ভেষজ চাঃ কিছু ভেষজ চা ডায়রিয়া থেকে পরিত্রাণ দিতে পারে এবং পেট সুস্থ করতে সাহায্য করে। ক্যামোমাইল চায়ে প্রদাহ-বিরোধী বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা পাচনতন্ত্রকে প্রশমিত করে এবং পেটের অস্বস্তি দূর করে। আদা চা আরেকটি কার্যকরী পানীয় যা বমি বমি ভাব এবং প্রদাহ দূর করতে কাজ করে।

৫. ইলেক্ট্রোলাইট সমৃদ্ধ ফলের রসঃ আপেলের রস, ডালিমের রস এবং তরমুজের রসের মতো ফলের রসে প্রচুর পরিমাণে প্রাকৃতিক শর্করা এবং ইলেক্ট্রোলাইট থাকে, যা রিহাইড্রেশনের জন্য উপযুক্ত। চিনির পরিমাণ কমাতে এবং হজমের জন্য সহজ করতে ফলের রসের সঙ্গে পানি দিয়ে পাতলা করুন। এসময় কমলার রসের মতো সাইট্রাস জুস এড়িয়ে চলুন, কারণ এটি খুব অ্যাসিডিক হতে পারে এবং ডায়রিয়া বাড়াতে পারে।

 

শেয়ার করুন