ডায়াবেটিস রোগিরা যে ফল খেতে পারবে

- আপডেট: ১২:৫৭:১৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪
- / 22
ফাইল ছবি
ডায়াবেটিস রোগে আক্রান্তের সংখ্যা বিশ্বব্যাপী বাড়ছে। জীবনযাত্রায় পরিবর্তন আনলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখা সহজতর হয়। এজন্য কী খাওয়া যাবে আর কী খাওয়া যাবে না সে বিষয়ে খেয়াল রাখা জরুরি। ডায়াবেটিস এখন শুধু উন্নত দেশের একটি রোগ নয়। জীবনযাত্রার পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে শহরের মতো গ্রামীণ এলাকাতেও ডায়াবেটিসের সংখ্যা বাড়ছে। ত্রুটিপূর্ণ খাদ্যাভ্যাস, মানসিক চাপ, বংশগত ধারা ইত্যাদি কারণে বহু মানুষ এই রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন।
ডায়াবেটিসের সঙ্গে বসবাস মানে হলো জীবনযাপন এবং খাদ্যাভ্যাসে নিয়ম-শৃঙ্খলা মেনে চলা। ডায়াবেটিসে আক্রান্তদের নিয়ন্ত্রিত জীবনযাপনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হলো সঠিক সময়ে সঠিক খাদ্য পরিমাণ মতো গ্রহণ করা।
সবারই জানা, ফল স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী। তবে ডায়বেটিস রোগীদের ক্ষেত্রে কিছু কিছু ফল মারাত্মক ক্ষতিকর হতে পারে! এমন কিছু ফল আছে যেগুলো ডায়াবেটিস রোগীদের রক্তে শর্করার মাত্রা অত্যাধিক পরিমাণে বাড়িয়ে দেয়। তাই এই রোগীরা যেসব ফল খেতে পারবেনা বা কম খেতে পারবে। এমন কিছু ফলের নাম নিন্মে দেওয়া হল। যথাঃ
আমঃ চোখের সামনে আম দেখলে লোভ সামলানো মুশকিল। তবে মনে রাখতে হবে, আমেও কিন্তু চিনির পরিমাণ উচ্চ থাকে। ১০০ গ্রাম আমে প্রায় ১৪ গ্রাম চিনি থাকে, যা রক্তে শর্করার ভারসাম্যকে আরও খারাপ করতে পারে। তাই ডায়াবেটিস রোগীদের এই ফল এড়িয়ে চলাই ভালো।
আঙুরঃ শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে আঙুর। সুস্বাদু ফলটিতে ফাইবার, ভিটামিন এবং অন্যান্য পুষ্টিকর উপাদান থাকে। তবে এতে শর্করার পরিমাণও বেশ ভালোই থাকে। ৮৫ গ্রাম আঙুরে প্রায় ১৫ গ্রাম পর্যন্ত কার্বোহাইড্রেট থাকতে পারে। তাই ডায়াবেটিস রোগীদের এটি এড়িয়ে চলাই ভালো।
আনারসঃ সুস্বাদু ও পুষ্টিকর ফল আনারস। মিষ্টি-রসালো ফলটি দেখলে, কার না জিভে পানি আসে! তবে জেনে রাখা ভালো, আনারসে চিনির পরিমাণ উচ্চ থাকে! ডায়াবেটিস রোগীরা অতিরিক্ত আনারস খেলে তা ব্লাড সুগার লেভেলের ওপর খারাপ প্রভাব ফেলতে পারে। তাই আনারস বেশি না খাওয়াই ভালো।
তরমুজঃ পুষ্টি গুণে ভরা একটি ফল তরমুজ। এতে ফাইবার এবং ক্যালোরি কম থাকে। হাফ কাপ তরমুজে প্রায় পাঁচ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট থাকতে পারে। তাই তরমুজ ডায়াবেটিস রোগীদের বেশি না খাওয়াই ভালো।
কলাঃ এই ফলটি পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ। কলায় থাকা পটাসিয়াম রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে এবং কিডনির সঠিক কার্যকারিতা বজায় রাখতে সহায়তা করে। তবে কলাতে কার্বোহাইড্রেট বেশি থাকে। আর কার্বোহাইড্রেট রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। তাই ডায়াবেটিস রোগীদের ক্ষেত্রে এই ফলটি খুব একটা উপকারী না। তবে মাঝেমধ্যে এক-আধটা কলা খাওয়া যেতেই পারে। কলায় প্রচুর পরিমাণে ফাইবার, ভিটামিন এবং খনিজ রয়েছে। তবে কলায় কম গ্লাইসেমিক ইনডেক্স থাকে।
সবেদাঃ বাদামী রঙের ফল এবং দানাদার স্বাদ যুক্ত সবেদা প্রাকৃতিক মিষ্টিতে ভরপুর। প্রতি ১০০ গ্রাম সবেদায় প্রায় ৭ গ্রাম শর্করা থাকতে পারে। এতে কার্বোহাইড্রেট এবং শর্করাও উচ্চ পরিমাণে থাকে। ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য এটি ক্ষতিকারক হতে পারে।