তিন বিতর্কিত উপদেষ্টার পদত্যাগ চেয়েছে বিএনপি

- আপডেট: ০৩:২৪:৫৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৫ মে ২০২৫
- / 1
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সাথে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান বিএনপি নেতৃবৃন্দ -ছবি : ফাইল ফটো
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের তিন উপদেষ্টাকে বিতর্কিত আখ্যা দিয়ে তাদের পদত্যাগ দাবি করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)।
শনিবার (২৪ মে) রাতে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সাথে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান নেতৃবৃন্দ।
ওই তিন উপদেষ্টা হচ্ছেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমান; তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মাহফুজ; স্থানীয় সরকার এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ।
বৈঠক শেষে বিএনপি নেতারা সাংবাদিকদের জানান, সুষ্ঠু নিরপেক্ষ ও অবাধ নির্বাচন অনুষ্ঠানের উদ্দেশ্যে সরকারের নিরপেক্ষতা বজায় রাখার স্বার্থে বিতর্কিত উপদেষ্টাদের বাদ দিয়ে উপদেষ্টা পরিষদ পুনর্গঠন করার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।
বিএনপি নেতারা বলেন, বিএনপির প্রতিটি নেতাকর্মী পারিবারিক, রাজনৈতিক ও ব্যক্তিগতভাবে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত। এজন্য আওয়ামী লীগের বিচারের দাবি সবচেয়ে বেশি বিএনপির। এই বিচারপ্রক্রিয়া কোনোভাবে অসম্পন্ন থেকে গেলে বিএনপি সরকারের দায়িত্বে গেলে বিচারের আওতায় এনে তা স্বাধীন বিচার বিভাগের মাধ্যমে পরিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করবে।
এসময় নির্বাচন সংশ্লিষ্ট সংস্কার কার্যক্রম অবিলম্বে সম্পন্ন করে ডিসেম্বরের মধ্যে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য দ্রুত একটি রোডম্যাপ প্রদানের দাবি জানান তারা।
বিএনপি নেতারা বলেন, বাংলাদেশের মানুষ বিশ্বাস করে যে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মূল দায়িত্ব হচ্ছে একটি সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে বাংলাদেশকে গণতন্ত্র উত্তরণের প্রক্রিয়া দ্রুত সম্পন্ন করা। যেকোনো উছিলায় নির্বাচন যত বিলম্ব করা হবে আমরা মনে করি জাতির কাছে আবার স্বৈরাচার পুনরায় ফিরে আসার ক্ষেত্র প্রস্তুত হবে। এর দায়-দায়িত্ব বর্তমান সরকার এবং তাদের সাথে সংশ্লিষ্টদের ওপরে বর্তাবে।
বিএনপি কখনোই প্রধান উপদেষ্টার পদত্যাগ চায়নি বরং প্রথম দিন থেকেই এই সরকারকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করে যাচ্ছে বলেও জানান বিএনপি নেতারা।
এর আগে সন্ধা ৭টার দিকে শুরু হয়ে প্রায় দেড় ঘণ্টাব্যাপী চলা এই বৈঠকে নির্বাচনসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। বৈঠকে বিএনপির পক্ষে অংশ নেন জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ড. আব্দুল মঈন খান, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও সালাহউদ্দিন আহমেদ।