০৬:৪২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৬ জুন ২০২৫

দক্ষিণ কোরিয়ার নতুন প্রেসিডেন্ট লি জে-মিয়ং

ইউএনএ ডেস্ক
  • আপডেট: ০১:১১:২২ অপরাহ্ন, বুধবার, ৪ জুন ২০২৫
  • / 6

পিপল পাওয়ার পার্টির প্রার্থী কিম মুন-সু পরাজয় স্বীকার করে নিয়েছেন -ছবি: রয়টার্স

দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হলেন ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থী লি জে-মিয়ং। তার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী পিপল পাওয়ার পার্টির প্রার্থী কিম মুন-সু পরাজয় স্বীকার করে নিয়েছেন।

বুধবার (৪ জুন) এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি।

নির্বাচনে জয়ী হয়ে দেওয়া এক ভাষণে লি জে-মিয়ং প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, তিনি দেশের অর্থনীতি পুনরুদ্ধার করবেন এবং কোরীয় উপদ্বীপে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করবেন।

এই নির্বাচনে লি জে-মিয়ং সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে একটি গণভোটের মতো প্রচারণা চালিয়েছিলেন এবং সেটিই কাজে লেগেছে।

অন্যদিকে এক বিবৃতিতে কিম মুন-সু বলেছেন, ‘আমি জনগণের সিদ্ধান্ত সম্মানের সঙ্গে গ্রহণ করছি। লি জে-মিয়ং-কে বিজয়ের জন্য অভিনন্দন।’

ছয় মাস আগে দক্ষিণ কোরিয়ার জনগণ তাদের সাবেক প্রেসিডেন্ট ইউন সক ইয়লের সামরিক অভ্যুত্থানের চেষ্টাকে প্রতিহত করেছিল। নির্বাচনের মাধ্যমে এবার জনগণ ইউন সক ইয়লের দলকে শাস্তি দিল এবং বিরোধী দলকে আবার ক্ষমতায় আনল।

সদ্য নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট লি জে-মিয়ং এক সময় রাজনৈতিকভাবে বিভাজন সৃষ্টিকারী চরিত্র হিসেবে পরিচিত ছিলেন। তিন বছর আগে তিনি নির্বাচনে হেরেছিলেন এবং বর্তমানে তার বিরুদ্ধে একাধিক ফৌজদারি অভিযোগ রয়েছে। কিন্তু গত এক মাসে তিনি রাজনৈতিক মতাদর্শ নির্বিশেষে বহু মানুষকে একত্রিত করতে সক্ষম হয়েছেন।

অনেকেই মনে করছেন, এই সংকটকালে শুধু তিনিই পারেন দক্ষিণ কোরিয়াকে সঠিক পথে ফেরাতে।

তবে দেশ পুনর্গঠনের আগে তার সামনে রয়েছে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বেশকিছু জরুরি চ্যালেঞ্জ। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে কেবল শুল্ক নয় বরং দক্ষিণ কোরিয়ার নিরাপত্তা নিয়েও গুরুতর আলোচনার প্রয়োজন রয়েছে।

উত্তর কোরিয়ার হুমকি থেকে দক্ষিণ কোরিয়াকে রক্ষা করতে যুক্তরাষ্ট্র সেখানে হাজার হাজার সেনা মোতায়েন রেখেছে। তবে খবর রয়েছে, ট্রাম্প কিছু সেনা প্রত্যাহারের কথা ভাবছেন।

অতীতে দক্ষিণ কোরিয়া-যুক্তরাষ্ট্র জোট নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছিলেন লি জে-মিয়ং। নির্বাচনি প্রচারে এ বিষয়ে তার কণ্ঠ কিছুটা নরম হলেও, তিনি চীনের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদারেরও কথা বলেছেন। তার এমন মনোভাব ওয়াশিংটন-সিউল সম্পর্কে টানাপোড়েন সৃষ্টি করতে পারে।

শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষণ করুন

দক্ষিণ কোরিয়ার নতুন প্রেসিডেন্ট লি জে-মিয়ং

আপডেট: ০১:১১:২২ অপরাহ্ন, বুধবার, ৪ জুন ২০২৫

পিপল পাওয়ার পার্টির প্রার্থী কিম মুন-সু পরাজয় স্বীকার করে নিয়েছেন -ছবি: রয়টার্স

দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হলেন ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থী লি জে-মিয়ং। তার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী পিপল পাওয়ার পার্টির প্রার্থী কিম মুন-সু পরাজয় স্বীকার করে নিয়েছেন।

বুধবার (৪ জুন) এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি।

নির্বাচনে জয়ী হয়ে দেওয়া এক ভাষণে লি জে-মিয়ং প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, তিনি দেশের অর্থনীতি পুনরুদ্ধার করবেন এবং কোরীয় উপদ্বীপে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করবেন।

এই নির্বাচনে লি জে-মিয়ং সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে একটি গণভোটের মতো প্রচারণা চালিয়েছিলেন এবং সেটিই কাজে লেগেছে।

অন্যদিকে এক বিবৃতিতে কিম মুন-সু বলেছেন, ‘আমি জনগণের সিদ্ধান্ত সম্মানের সঙ্গে গ্রহণ করছি। লি জে-মিয়ং-কে বিজয়ের জন্য অভিনন্দন।’

ছয় মাস আগে দক্ষিণ কোরিয়ার জনগণ তাদের সাবেক প্রেসিডেন্ট ইউন সক ইয়লের সামরিক অভ্যুত্থানের চেষ্টাকে প্রতিহত করেছিল। নির্বাচনের মাধ্যমে এবার জনগণ ইউন সক ইয়লের দলকে শাস্তি দিল এবং বিরোধী দলকে আবার ক্ষমতায় আনল।

সদ্য নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট লি জে-মিয়ং এক সময় রাজনৈতিকভাবে বিভাজন সৃষ্টিকারী চরিত্র হিসেবে পরিচিত ছিলেন। তিন বছর আগে তিনি নির্বাচনে হেরেছিলেন এবং বর্তমানে তার বিরুদ্ধে একাধিক ফৌজদারি অভিযোগ রয়েছে। কিন্তু গত এক মাসে তিনি রাজনৈতিক মতাদর্শ নির্বিশেষে বহু মানুষকে একত্রিত করতে সক্ষম হয়েছেন।

অনেকেই মনে করছেন, এই সংকটকালে শুধু তিনিই পারেন দক্ষিণ কোরিয়াকে সঠিক পথে ফেরাতে।

তবে দেশ পুনর্গঠনের আগে তার সামনে রয়েছে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বেশকিছু জরুরি চ্যালেঞ্জ। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে কেবল শুল্ক নয় বরং দক্ষিণ কোরিয়ার নিরাপত্তা নিয়েও গুরুতর আলোচনার প্রয়োজন রয়েছে।

উত্তর কোরিয়ার হুমকি থেকে দক্ষিণ কোরিয়াকে রক্ষা করতে যুক্তরাষ্ট্র সেখানে হাজার হাজার সেনা মোতায়েন রেখেছে। তবে খবর রয়েছে, ট্রাম্প কিছু সেনা প্রত্যাহারের কথা ভাবছেন।

অতীতে দক্ষিণ কোরিয়া-যুক্তরাষ্ট্র জোট নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছিলেন লি জে-মিয়ং। নির্বাচনি প্রচারে এ বিষয়ে তার কণ্ঠ কিছুটা নরম হলেও, তিনি চীনের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদারেরও কথা বলেছেন। তার এমন মনোভাব ওয়াশিংটন-সিউল সম্পর্কে টানাপোড়েন সৃষ্টি করতে পারে।

শেয়ার করুন