দুই পুত্রবধূকে নিয়ে স্বদেশে খালেদা জিয়া

- আপডেট: ১২:৩০:৩৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৬ মে ২০২৫
- / 4
হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরে বেগম খালেদা জিয়া-ছবি : ইউএনএ
লন্ডনে প্রায় চার মাস চিকিৎসা শেষে রাজকীয় স্টাইলে দেশে ফিরেছেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। সঙ্গে এসেছেন তার বড় ছেলে তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমান এবং ছোট ছেলে প্রয়াত আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী সৈয়দা শর্মিলা রহমান সিঁথি।
লন্ডন থেকে ফেরার পথে দোহায় যাত্রাবিরতি শেষে মঙ্গলবার (৬ মে) সকাল ১০টা ৪২ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছায় খালেদা জিয়াকে বহনকারী কাতারের আমিরের দেয়া বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্স।
বিমানবন্দরে তাদের অভ্যর্থনা জানাতে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ দলের শীর্ষ নেতারা। এছাড়া তাকে অভ্যর্থনা জানাতে বিমানবন্দরের বাইরে রাজপথে নেতা-কর্মীদের ঢল নামে।
সকাল থেকেই বিমানবন্দর ও এর আশপাশের সড়কে জড়ো হতে থাকেন দলটির নেতা-কর্মীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। নেতাকর্মীদের উপস্থিতিতে পুরো এলাকা হয়ে ওঠে সরব ও উৎসবমুখর।
খালেদা জিয়ার আগমনকে ঘিরে বিমানবন্দর এলাকায় অতিরিক্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়। অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি এড়াতে পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা সতর্ক অবস্থানে ছিলো।
বিমানবন্দর থেকে খালেদা জিয়া যান তার গুলশানের বাসা ফিরোজায়। এজন্য ওই বাসার সামনেও নেতা-কর্মীদের স্রোত দেখা গেছে। অবশ্য নিরাপত্তা জোরদারে সেখানে মোতায়েন করা হয়েছে সেনাবাহিনী, র্যাব, পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিপুলসংখ্যক সদস্য।
লন্ডনে চিকিৎসা শেষে বাংলাদেশ সময় সোমবার (৫ মে) রাত ৯টা ৩৫ মিনিটে হিথ্রো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে খালেদা জিয়াকে বহনকারী কাতারের রাজকীয় এয়ার অ্যাম্বুলেন্স ঢাকার উদ্দেশে উড়াল দেয়। এটি মাঝে কাতারের রাজধানী দোহায় যাত্রাবিরতি করে। এরপর বাংলাদেশ সময় ভোর ৬টা ৫ মিনিটে বিশেষ ওই উড়োজাহাজ দোহা বিমানবন্দর থেকে বাংলাদেশের পথে যাত্রা করে।
কাতার আমিরের দেওয়া রাজকীয় বিমানে খালেদা জিয়ারে সঙ্গে দেশে এসেছেন তার দুই পুত্রবধূ জুবাইদা রহমান ও সৈয়দা শর্মিলা রহমান। এছাড়াও মেডিকেল বোর্ডের সদস্য, বিএনপি নেতা ও তার ব্যক্তিগত কর্মচারীরা বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে দেশে ফিরেছেন।
খালেদা জিয়ার বড় ছেলের স্ত্রী জুবাইদা রহমান ফিরলেন প্রায় ১৭ বছর পর।
উল্লেখ্য, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে দেশ ফ্যাসিবাদের কবল থেকে মুক্ত হলে বিভিন্ন অসুস্থতায় ভুগতে থাকা খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসার পথ উন্মুক্ত হয়। গত ৮ জানুয়ারি কাতারের আমিরের পাঠানো বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে লন্ডন যান তিনি। সেখানে পৌঁছানোর পর তাকে লন্ডন ক্লিনিক নামে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হাসপাতালটিতে তিনি ১৭ দিন প্রখ্যাত বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক প্যাট্রিক কেনেডি এবং অধ্যাপক জেনিফার ক্রসের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসাধীন ছিলেন। গত ২৫ জানুয়ারি থেকে তিনি তার বড় ছেলে তারেক রহমানের বাসায় থেকে চিকিৎসা নেন।
চোখ ও পায়ের ফলোআপ চিকিৎসার জন্য ২০১৭ সালের ১৬ জুলাই লন্ডন গিয়েছিলেন বেগম খালেদা জিয়া। তিন মাস লন্ডনে অবস্থানের পর সেবার দেশে ফিরেছিলেন ওই বছরের ১৮ অক্টোবর।