দেশের বিভিন্ন জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ মাঝারি ধরনের বৃষ্টির সম্ভাবনা।

- আপডেট: ১১:৩১:২৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৮ জুলাই ২০২৪
- / 28
আবহাওয়া ভবন: ফাইল ছবি
উপকূলে দমকা বাতাস ও মেঘমালার আনাগোনা বেড়েছে। এতে দেশের বিভিন্ন জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আগামী কয়েক দিন দেশের প্রকৃতিতে রোদ আর মেঘের লড়াই চলতে পারে। ফলে দেশের কোথাও তাপপ্রবাহ আর কোথাও কোথাও ভারী বৃষ্টি দুই-ই চলতে পারে। সাগরে লঘুচাপ থাকায় সেখানেও অস্থিরতা বেড়েছে। তবে আগামী কয়েকদিন মেঘ বেড়ে গিয়ে বৃষ্টির দাপট বাড়তে পারে।
বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপের প্রভাবে এরই মধ্যে উপকূলে দমকা বাতাস ও মেঘমালার আনাগোনা বেড়ে গেছে। ঘণ্টায় ৫০ থেকে ৬০ কিলোমিটার গতিতে বাতাস বয়ে যাচ্ছে। এ আশঙ্কায় দেশের সব কটি বন্দরকে ৩ নম্বর সতর্কসংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। সাগরে অবস্থান করা নৌযানগুলোকে উপকূলে কাছাকাছি এসে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত গভীর সাগরে না যাওয়ার জন্য বলা হয়েছে।
রোববার (২৮ জুলাই) আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রংপুর, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায়; ময়মনসিংহ, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং ঢাকা ও রাজশাহী বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারী ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। একই সঙ্গে রংপুর, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারী ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে। এছাড়া টাঙ্গাইল, সিলেট ও চুয়াডাঙ্গা জেলাসহ রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা কিছু কিছু জায়গায় প্রশমিত হতে পারে।
একই সময়ে সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা অপরিবর্তিত থাকতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। শনিবার (২৭ জুলাই) দেশের সবচেয়ে উষ্ণ এলাকা ছিল নীলফামারীর ডিমলা। সেখানকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৭ দশমিক ৮। আর সবচেয়ে বেশি বৃষ্টি ঝরেছে টেকনাফে ৬৯ মিলিমিটার।