রাজধানীর ক্র্যাব মিলনায়তনে জাতীয় মানবাধিকার সোসাইটির আয়োজনে ‘নজরুলের শ্রেণি চেতনা’ শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয় -ছবি : ইউএনএ

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের শ্রেণী চেতনার অনুসরণে বৈষম্যহীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার আহবান জানিয়েছেন কবি, সমাজবিজ্ঞানী ও শিকড়সন্ধানী লেখক অধ্যাপক ড. মু. নজরুল ইসলাম তামিজী।

শনিবার (৩১ মে) সন্ধ্যায় রাজধানীর ক্র্যাব মিলনায়তনে জাতীয় মানবাধিকার সোসাইটির আয়োজনে ‘নজরুলের শ্রেণি চেতনা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ আহবান জানান।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিচারপতি আবদুস সালাম মামুন। গেস্ট অব অনার হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রবীণ সংগঠক এইচ এম রেজাউল করিম তুহিন ও ড. আবু তাহের অ্যাডভোকেট।

প্রধান আলোচক ছিলেন কোটাসংস্কার আন্দোলনের রূপকার ও দৈনিক ইনকিলাবের সিনিয়র সাংবাদিক মোহাম্মদ আবদুল অদুদ। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন কবি ও গবেষক প্রদীপ মিত্র। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জলছবি সম্পাদক কবি জামসেদ ওয়াজেদ, স্বদেশ বিচিত্রা সম্পাদক অশোক ধর, ডেমরা বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের অধ্যাপক নায়লা ইসলাম, হৃদরোগবিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ডা. অসীম কুমার ধর, গণঅধিকার পরিষদের নেত্রী নীলা শেখ, কবি তৌহিদুল ইসলাম কনক, গীতিকার গোলাম কিবরিয়া, মনজুর হোসেন ইসা ও কবি রলি আক্তার প্রমুখ।

বিচারপতি আবদুস সালাম মামুন বলেন, নজরুল চেতনা অনুসরণ করতে হবে। শ্রমিক শ্রেণির মুক্তির জন্য নজরুলের অবদান অনস্বীকার্য। তিনি তার বক্তব্যর পর জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ‘আমার কৈফিয়ত’ কবিতা আবৃত্তি করেন।

অধ্যাপক ড. মু. নজরুল ইসলাম তামিজী বলেন, নজরুল বিদ্রোহী কবি, সাম্যের কবি, শ্রেণি সচেতন কবি। মেহনতী মানুষের প্রতি অসীম দরদ ও তাদের শ্রেণিমুক্তির জন্য শোষক শ্রেণির বিরুদ্ধে এ কবি যুদ্ধ ঘোষণা করেছেন। সমাজের অধিকারহারা বঞ্চিত মানুষের প্রতি নজরুলের ভালোবাসা, দেশপ্রেম আমাদের মানবিক কাজে উদ্বুদ্ধ করে। দরিদ্র, নিপীড়িত মানুষের জন্য জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ছিল অসীম মমত্ব।

প্রধান আলোচক সাংবাদিক মোহাম্মদ আবদুল অদুদ বলেন, আজকের বাংলাদেশে বঞ্চনা থেকে নানা ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া দেখতে পাচ্ছি। আমি যেমন বিসিএসএ বঞ্চিত হওয়ার কারণে রিট করেছিলাম তেমনি আজকে জুলাই বিপ্লবে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণকারী অনেকেই বঞ্চিত বলে জানতে পারছি। তিনি কোটা আন্দোলন, ফিমেইল স্টুডেন্ট, প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি, ইসলামিক অর্গানাইজেশনসহ বিভিন্ন সেগমেন্ট থেকে আরও প্রয়োজনীয়সংখ্যক উপদেষ্টা নিয়ে দ্রুত উপদেষ্টা পরিষদ পুনর্গঠন করার দাবি জানান।

বক্তারা জুলাই ঘোষণাপত্রের পটভূমিতে কোটা সংস্কার আন্দোলনের রূপকার হিসেবে রিটকারীদের নেতা সাংবাদিক মোহাম্মদ আবদুল অদুদসহ সংশ্লিষ্টদের নাম উল্লেখ করার দাবি জানিয়ে বলেন, কাজী নজরুল ইসলাম ছিলেন সকল বৈষম্যের বিরুদ্ধে এক বিপ্লবী চেতনা। আজকের বৈষম্যবিরোধী বাংলাদেশ গঠনে কাজী নজরুল অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক।