নারীদের পিএমএস হলে করণীয়

- আপডেট: ১০:০৯:৫০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৭ মে ২০২৫
- / 6
ফাইল ফটো
প্রি-মেনস্ট্রুয়াল সিনড্রোম (পিএমএস) হলো একগুচ্ছ শারীরিক ও মানসিক উপসর্গ যা একজন নারীর মাসিক চক্রের দ্বিতীয়ার্ধে (সাধারণত ডিম্বস্ফোটনের পর থেকে মাসিক শুরু হওয়ার আগে) দেখা দেয়। এই লক্ষণগুলো মাসিক শুরু হওয়ার কয়েক দিনের মধ্যে সাধারণত চলে যায়।
এ বিষয়ে ৯০ শতাংশেরও বেশি নারী বলেন, তাদের ঋতুস্রাবের আগে কিছু লক্ষণ দেখা দেয়, যেমন : পেট ফাঁপা, মাথাব্যথা এবং মেজাজ খারাপ হওয়া। কারো কারো ক্ষেত্রে মাথা ব্যথা, পেট ব্যথা, অকারণে মন খারাপ, কান্না পাওয়ার মতো লক্ষণও দেখা যায়। কারও ক্ষেত্রে পেটখারাপ, বদহজম, খাবারে অরুচির মতো উপসর্গও দেখতে যেতে পারে। এমনকি কিছু ক্ষেত্রে হাড়ে ব্যথা, পেশীতে টানও দেখা যায়।
পিএমএস-এর সঠিক কারণ এখনো অজানা। তবে মনে করা হয় হরমোনের পরিবর্তন, মস্তিষ্কের রাসায়নিক ভারসাম্যহীনতা (যেমন সেরোটোনিনের মাত্রা কমে যাওয়া), এবং কিছু ক্ষেত্রে অন্তর্নিহিত মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা এর জন্য দায়ী হতে পারে।
পিএমএস-এর লক্ষণগুলো বিভিন্ন নারীর ক্ষেত্রে ভিন্ন হতে পারে এবং তীব্রতাতেও পার্থক্য দেখা যায়। কিছু সাধারণ লক্ষণ হলো-
শারীরিক লক্ষণ:
১. পেটে ফোলাভাব
২. স্তনে ব্যথা বা স্পর্শকাতরতা
৩. মাথা ব্যাথা
৪. ক্লান্তি ও দুর্বলতা
৫. ওজন বৃদ্ধি (পানি ধারণের কারণে)
৬. পেশী বা জয়েন্টে ব্যথা
৭. ব্রণ ওঠা
৮. কোষ্ঠকাঠিন্য বা ডায়রিয়া
মানসিক ও আবেগিক লক্ষণ : মেজাজের পরিবর্তন (mood swings), বিরক্তি বা খিটখিটে মেজাজ, উদ্বেগ বা দুশ্চিন্তা, মন খারাপ বা বিষণ্ণতা, কান্না পাওয়া, ঘুমের সমস্যা (অনিদ্রা বা অতিরিক্ত ঘুম), মনোনিবেশের অভাব এবং অতিরিক্ত সংবেদনশীলতা।
অনেক নারীদের ক্ষেত্রে, এই লক্ষণগুলো এত তীব্র হয় যে তারা অনেক কাজ করতে পারে না। আবার অনেক নারীদের ক্ষেত্রে এই লক্ষণগুলো অনেকটাই কম হয়। গড়ে ৩০ বছর বয়সী নারীদের ক্ষেত্রেই পিএমএস হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। চিকিৎসকরা অনেক ক্ষেত্রেই এই লক্ষণগুলো থেকে মুক্তি দেওয়ার উপায় বলে দিতে সাহায্য করতে পারেন।
তবে পিএমএস-এর নির্দিষ্ট কোনো ওষুধ নেই, শরীরচর্চা, ব্য়ালেন্স ডায়েট এই সমস্যা থেকে অনেকটাই মুক্তি দিতে পারে। এ ছাড়া সমস্যা বাড়লে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।