০৮:৫৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ মে ২০২৫

নিমপাতার হরেক উপকার

ইউএনএ প্রতিবেদক
  • আপডেট: ০১:৩১:৫৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ মে ২০২৫
  • / 9

নিমের নিজস্ব গন্ধও রয়েছে। তার জেরেই পোকামাকড় ধারেকাছে ঘেঁষে না-ছবি : ফাইল ফটো

খাওয়া ছাড়া নিমপাতা দিয়ে হরেক সমস্যার সমাধান হতে পারে।
১। চাল, ডালে পোকামাকড় হয় প্রায়ই। বিশেষত বর্ষাকালে। চাল, ডালের পাত্রে শুকনো নিমপাতা ভরে রাখুন। এতে রয়েছে অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল উপাদান। নিমের নিজস্ব গন্ধও রয়েছে। তার জেরেই পোকামাকড় ধারেকাছে ঘেঁষে না।

২। ওয়াড্রবে পোকামাকড় যাতে না হয় সে জন্য ন্যাপথলিন ব্যবহার করেন? এতে রাসায়নিক থাকে। বদলে পরিবেশবান্ধব জিনিস ব্যবহার করতে চাইলে বেছে নিতে পারেন নিমপাতা। শুকনো নিমপাতা কাপড়ে বেঁধে আলমারির মধ্যে রেখে দিন। এতে পোকামাকড় দূরে থাকবে।

৩। নিমের অ্যান্টিব্যাক্টেরিয়াল গুণ কাজে লাগিয়ে বাসন পরিষ্কারের কাজেও তা ব্যবহার করতে পারেন। নিমপাতা ফুটিয়ে নিন। সেই জলে বেকিং সোডা, পাতিলেবুর খোসা বা ভিনিগার মিশিয়ে নিতে হবে। সাবান তৈরির জন্য যোগ করতে পারেন রিঠা। অথবা তরল বাসন মাজার সাবান কয়েক ফোঁটা এতে যোগ করতে পারেন। এই মিশ্রণে বাসন খুব ভাল ভাবে পরিষ্কার হবে। বাসনে অনেক সময় খাবারের গন্ধ রয়ে যায়, তেলচিটে ভাব থাকে। নিমপাতা দিয়ে পরিষ্কার করলে সেই সমস্যা থাকবে না।

৪। গাছপালায় পোকামাকড়ের হানা ঠেকাতেও নিমতেল ভীষণ কাজের। নিমপাতার পানিও গাছে দেওয়া যায়। নিমপাতা ফুটিয়ে পানি ঠান্ডা করে নিন। গাছে পোকা হলে নিমের পানি স্প্রে করুন। ছত্রাকঘটিত সমস্যা থেকেও গাছকে বাঁচাবে নিম।

৫। ত্বক হোক বা চুল, রূপচর্চায় নিমপাতার ভূমিকাও কিছু কম নয়। মাথায় উকুন হলে নিমতেল ব্যবহার করা হয়। নিমপাতা দিয়ে ফেসপ্যাক বানিয়ে মুখে মাখতে পারেন। ব্রণ, ফুস্কুড়ির মতো ত্বকের সমস্যার সমাধান নিমপাতা অত্যন্ত কার্যকর। টোনার হিসেবে নিমপাতা ফোটানো পানি ব্যবহার করা যায়।

শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষণ করুন

নিমপাতার হরেক উপকার

আপডেট: ০১:৩১:৫৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ মে ২০২৫

নিমের নিজস্ব গন্ধও রয়েছে। তার জেরেই পোকামাকড় ধারেকাছে ঘেঁষে না-ছবি : ফাইল ফটো

খাওয়া ছাড়া নিমপাতা দিয়ে হরেক সমস্যার সমাধান হতে পারে।
১। চাল, ডালে পোকামাকড় হয় প্রায়ই। বিশেষত বর্ষাকালে। চাল, ডালের পাত্রে শুকনো নিমপাতা ভরে রাখুন। এতে রয়েছে অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল উপাদান। নিমের নিজস্ব গন্ধও রয়েছে। তার জেরেই পোকামাকড় ধারেকাছে ঘেঁষে না।

২। ওয়াড্রবে পোকামাকড় যাতে না হয় সে জন্য ন্যাপথলিন ব্যবহার করেন? এতে রাসায়নিক থাকে। বদলে পরিবেশবান্ধব জিনিস ব্যবহার করতে চাইলে বেছে নিতে পারেন নিমপাতা। শুকনো নিমপাতা কাপড়ে বেঁধে আলমারির মধ্যে রেখে দিন। এতে পোকামাকড় দূরে থাকবে।

৩। নিমের অ্যান্টিব্যাক্টেরিয়াল গুণ কাজে লাগিয়ে বাসন পরিষ্কারের কাজেও তা ব্যবহার করতে পারেন। নিমপাতা ফুটিয়ে নিন। সেই জলে বেকিং সোডা, পাতিলেবুর খোসা বা ভিনিগার মিশিয়ে নিতে হবে। সাবান তৈরির জন্য যোগ করতে পারেন রিঠা। অথবা তরল বাসন মাজার সাবান কয়েক ফোঁটা এতে যোগ করতে পারেন। এই মিশ্রণে বাসন খুব ভাল ভাবে পরিষ্কার হবে। বাসনে অনেক সময় খাবারের গন্ধ রয়ে যায়, তেলচিটে ভাব থাকে। নিমপাতা দিয়ে পরিষ্কার করলে সেই সমস্যা থাকবে না।

৪। গাছপালায় পোকামাকড়ের হানা ঠেকাতেও নিমতেল ভীষণ কাজের। নিমপাতার পানিও গাছে দেওয়া যায়। নিমপাতা ফুটিয়ে পানি ঠান্ডা করে নিন। গাছে পোকা হলে নিমের পানি স্প্রে করুন। ছত্রাকঘটিত সমস্যা থেকেও গাছকে বাঁচাবে নিম।

৫। ত্বক হোক বা চুল, রূপচর্চায় নিমপাতার ভূমিকাও কিছু কম নয়। মাথায় উকুন হলে নিমতেল ব্যবহার করা হয়। নিমপাতা দিয়ে ফেসপ্যাক বানিয়ে মুখে মাখতে পারেন। ব্রণ, ফুস্কুড়ির মতো ত্বকের সমস্যার সমাধান নিমপাতা অত্যন্ত কার্যকর। টোনার হিসেবে নিমপাতা ফোটানো পানি ব্যবহার করা যায়।

শেয়ার করুন