০৮:৪৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৬ জুন ২০২৫

নির্বাচনের তারিখ নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে চাই না : গোয়েন লুইস

ইউএনএ প্রতিবেদক
  • আপডেট: ১২:৩৪:১৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৫ জুন ২০২৫
  • / 4

ঢাকায় নিযুক্ত জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী গোয়েন লুইস -ছবি: সংগৃহীত

ঢাকায় নিযুক্ত জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী গোয়েন লুইস বলেন, সব রাজনৈতিক দল একত্র হয়ে যেভাবে সংলাপ করেছে তাতে অধিকাংশ বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছে। আমার দৃষ্টিতে এ প্রক্রিয়াটি অনেক মজবুত। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এই প্রক্রিয়াটাকে ভালোভাবে নেতৃত্ব দিয়েছে। শান্তিপূর্ণ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের পথে আমরা এটাকে সমর্থন করতে পারি। কিন্তু নির্বাচনের তারিখ নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে চাই না।

বুধবার রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবে ‘ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেটস অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশ’ (ডিকাব) টক শীর্ষক এক অনুষ্ঠানে তিনি এমন মন্তব্য করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ডিকাবের সভাপতি একেএম মঈনুদ্দিন ও সাধারণ সম্পাদক মো. আরিফুজ্জামান মামুন।

তিনি এ সময় বলেন, বাংলাদেশে কবে নির্বাচন হবে এটা এ দেশের জনগণ, রাজনৈতিক দল ও সরকার নির্ধারণ করবে।

অনুষ্ঠানে একজন সাংবাদিক গোয়েন লুইসের কাছে জানতে চান আপনারা এই অনির্বাচিত সরকারকে কত সময় সমর্থন করবেন? এমন প্রশ্নের জবাবে গোয়েন লুইস বলেন, আমরা নির্বাচন কমিশনকে অবশ্যই টেকনিক্যাল বিষয়ে সমর্থন করব। অংশগ্রহণমূলক ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য বলব। কিন্তু নির্বাচন কবে হবে সে বিষয়ে আমাদের কোনো ভূমিকা নেই। এ নিয়ে আমাদের কোনো রাজনৈতিক মতামতও নেই। এটা বাংলাদেশের জনগণ, রাজনৈতিক দল ও সরকারকে নির্ধারণ করতে হবে।

মানবিক করিডর নিয়ে আরেক প্রশ্নের জবাবে গোয়েন লুইস বলেন, মানবিক করিডর লিগ্যাল ইস্যু তথা আইনগত ব্যাপার। এটা নিয়ে সার্বভৌম দেশের মধ্যে চুক্তি হওয়ার কথা। বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের সঙ্গে অনেক পক্ষ অনানুষ্ঠানিকভাবে জড়িত। যদি কোনো চুক্তি হয় তাহলে জাতিসংঘ সেটাকে সমর্থন করতে পারে। যতটুকু জানি-সেই চুক্তি এখনো প্রতিষ্ঠিত হয়নি।

মানবিক করিডর নিয়ে একই ধরনের আরেক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, আমি আগেই বলেছি, সংকট সমাধানের জন্য মানবিক করিডর বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে একটি সার্বভৌম চুক্তি।

সেই আলোচনা ও চুক্তি তার কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছেছে বলে বিশ্বাস করি না। বাংলাদেশ, মিয়ানমার এবং যে গোষ্ঠীগুলো এটার সঙ্গে জড়িত তাদের অনুরোধ করব এ বিষয়ে সিদ্ধান্তে পৌঁছতে। এটা একটি আইনগত ব্যাপার। ফলে সংশ্লিষ্ট দেশগুলোকেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে। এটা জাতিসংঘের সিদ্ধান্ত নেওয়ার বিষয় নয়।

তিনি আরও বলেন, ‘মানবিক করিডর এই নামটি কোথা থেকে এসেছে, আমি জানি না। এটা বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের নিজেদের বিষয়। আমি যতটুকু জানি এ বিষয়ে কোনো চুক্তি হয়নি। তাছাড়া আগে সংস্কার-না আগে নির্বাচন এ নিয়ে বাংলাদেশে বর্তমানে একটি বিতর্ক তৈরি হয়েছে।

আপনি বাংলাদেশি হলে কোনটা আগে করার গুরুত্ব দিতেন এমন এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এ বিষয়টা অনেকটাই সরকার ও রাজনৈতিক দলের। এ বিষয়ে রাজনৈতিক দল ও সরকারের মধ্যে অনেক আলোচনারও প্রয়োজন। আমি বলতে চাই, আমি সন্তুষ্ট ঐকমত্য কমিশনের ভূমিকায়।

শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষণ করুন

নির্বাচনের তারিখ নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে চাই না : গোয়েন লুইস

আপডেট: ১২:৩৪:১৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৫ জুন ২০২৫

ঢাকায় নিযুক্ত জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী গোয়েন লুইস -ছবি: সংগৃহীত

ঢাকায় নিযুক্ত জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী গোয়েন লুইস বলেন, সব রাজনৈতিক দল একত্র হয়ে যেভাবে সংলাপ করেছে তাতে অধিকাংশ বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছে। আমার দৃষ্টিতে এ প্রক্রিয়াটি অনেক মজবুত। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এই প্রক্রিয়াটাকে ভালোভাবে নেতৃত্ব দিয়েছে। শান্তিপূর্ণ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের পথে আমরা এটাকে সমর্থন করতে পারি। কিন্তু নির্বাচনের তারিখ নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে চাই না।

বুধবার রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবে ‘ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেটস অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশ’ (ডিকাব) টক শীর্ষক এক অনুষ্ঠানে তিনি এমন মন্তব্য করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ডিকাবের সভাপতি একেএম মঈনুদ্দিন ও সাধারণ সম্পাদক মো. আরিফুজ্জামান মামুন।

তিনি এ সময় বলেন, বাংলাদেশে কবে নির্বাচন হবে এটা এ দেশের জনগণ, রাজনৈতিক দল ও সরকার নির্ধারণ করবে।

অনুষ্ঠানে একজন সাংবাদিক গোয়েন লুইসের কাছে জানতে চান আপনারা এই অনির্বাচিত সরকারকে কত সময় সমর্থন করবেন? এমন প্রশ্নের জবাবে গোয়েন লুইস বলেন, আমরা নির্বাচন কমিশনকে অবশ্যই টেকনিক্যাল বিষয়ে সমর্থন করব। অংশগ্রহণমূলক ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য বলব। কিন্তু নির্বাচন কবে হবে সে বিষয়ে আমাদের কোনো ভূমিকা নেই। এ নিয়ে আমাদের কোনো রাজনৈতিক মতামতও নেই। এটা বাংলাদেশের জনগণ, রাজনৈতিক দল ও সরকারকে নির্ধারণ করতে হবে।

মানবিক করিডর নিয়ে আরেক প্রশ্নের জবাবে গোয়েন লুইস বলেন, মানবিক করিডর লিগ্যাল ইস্যু তথা আইনগত ব্যাপার। এটা নিয়ে সার্বভৌম দেশের মধ্যে চুক্তি হওয়ার কথা। বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের সঙ্গে অনেক পক্ষ অনানুষ্ঠানিকভাবে জড়িত। যদি কোনো চুক্তি হয় তাহলে জাতিসংঘ সেটাকে সমর্থন করতে পারে। যতটুকু জানি-সেই চুক্তি এখনো প্রতিষ্ঠিত হয়নি।

মানবিক করিডর নিয়ে একই ধরনের আরেক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, আমি আগেই বলেছি, সংকট সমাধানের জন্য মানবিক করিডর বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে একটি সার্বভৌম চুক্তি।

সেই আলোচনা ও চুক্তি তার কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছেছে বলে বিশ্বাস করি না। বাংলাদেশ, মিয়ানমার এবং যে গোষ্ঠীগুলো এটার সঙ্গে জড়িত তাদের অনুরোধ করব এ বিষয়ে সিদ্ধান্তে পৌঁছতে। এটা একটি আইনগত ব্যাপার। ফলে সংশ্লিষ্ট দেশগুলোকেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে। এটা জাতিসংঘের সিদ্ধান্ত নেওয়ার বিষয় নয়।

তিনি আরও বলেন, ‘মানবিক করিডর এই নামটি কোথা থেকে এসেছে, আমি জানি না। এটা বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের নিজেদের বিষয়। আমি যতটুকু জানি এ বিষয়ে কোনো চুক্তি হয়নি। তাছাড়া আগে সংস্কার-না আগে নির্বাচন এ নিয়ে বাংলাদেশে বর্তমানে একটি বিতর্ক তৈরি হয়েছে।

আপনি বাংলাদেশি হলে কোনটা আগে করার গুরুত্ব দিতেন এমন এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এ বিষয়টা অনেকটাই সরকার ও রাজনৈতিক দলের। এ বিষয়ে রাজনৈতিক দল ও সরকারের মধ্যে অনেক আলোচনারও প্রয়োজন। আমি বলতে চাই, আমি সন্তুষ্ট ঐকমত্য কমিশনের ভূমিকায়।

শেয়ার করুন