০৭:৩৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ০৫ মে ২০২৫

পঞ্চগড়ে আদালত কর্মচারীদের কর্ম বিরতি

ইউএনএ ( পঞ্চগড় ) প্রতিনিধি
  • আপডেট: ০৩:৫৬:১২ অপরাহ্ন, সোমবার, ৫ মে ২০২৫
  • / 7

সোমবার (৫ মে) সকাল সারে ৯টা থেকে বেলা সারে ১১টা পর্যন্ত পঞ্চগড় জেলা ও দায়রা জজ আদালত প্রাঙ্গণে কর্মবিরতি পালন করেন বাংলাদেশ বিচার বিভাগীয় কর্মচারী এসোসিয়েশন পঞ্চগড় জেলা শাখা– ছবি ইউএনএ 

বিচার বিভাগের জন্য সুপ্রিম কোর্টের অধীন পৃথক সচিবালয় করতঃ অধস্তন আদালত ও ট্রাইব্যুনালের সহায়ক কর্মচারীগণকে বিচার বিভাগের সহায়ক কর্মচারী হিসেবে বাংলাদেশ জুডিসিয়াল সার্ভিস বেতন স্কেলের আলোকে বেতন ভাতা প্রদানসহ বিদ্যমান জুডিসিয়াল সার্ভিস বেতন স্কেলের ১ম-৬ষ্ঠ গ্রেডের পরবর্তী ৭ম-১২তম গ্রেডভুক্ত করা এবং বিদ্যমান ব্লকপদ বিলুপ্ত করে যুগোপযোগী পদ সৃজনপূর্বক যোগ্যতা ও জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে পদোন্নতির সুযোগ রেখে স্বতন্ত্র নিয়োগবিধি প্রণয়নের দাবিতে বাংলাদেশ বিচার বিভাগীয় কর্মচারী এসোসিয়েশন পঞ্চগড় জেলা শাখার কর্মবিরতি পালন করেছে।

সোমবার (৫ মে) সকাল সারে ৯টা থেকে বেলা সারে ১১টা পর্যন্ত পঞ্চগড় জেলা ও দায়রা জজ আদালত প্রাঙ্গণে এ কর্মবিরতি পালন করেন বাংলাদেশ বিচার বিভাগীয় কর্মচারী এসোসিয়েশন পঞ্চগড় জেলা শাখা।

এসময় বাংলাদেশ বিচার বিভাগীয় কর্মচারী এসোসিয়েশন পঞ্চগড় জেলা শাখা সভাপতি আব্দুল্লাহ আল মামুন পলাশ, সাধারণ সম্পাদক আল-আমীন, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক রিপা পারভীন, সংগঠনের সদস্য সে্সটেনো গ্রাফার আবিদা সুলতানা আশা, স্টেনো টাইপিস্ট মেরিনা আকতার, হোসনে আরা সহ আদালতে কর্মরত প্রায় ১২৩জন কর্মকর্তা-কর্মচারী কর্মবিরতি পালন করেন।

বক্তারা বলেন, ২০০৭ সালের ১ নভেম্বর মাসদার হোসেন মামলার রায়ের প্রেক্ষিতে নির্বাহী বিভাগ থেকে বিচার বিভাগ পৃথককরণ হয়। কিন্তু অদ্যাবধি বিচার বিভাগের জন্য স্বাধীন সচিবালয় না হওয়ায় বিচারবিভাগ পৃথকীকরণের উদ্দেশ্যে পুরোপুরি বাস্তবায়িত হয়নি। বিচার কার্যে সরাসরি নিয়োজিত আদালতের সহায়ক কর্মকর্তা-কর্মচারী গণকে সরকারের নিয়ন্ত্রণে রেখে স্বাধীনভাবে বিচারকার্য সম্পাূন করা সম্ভব নয়।

বক্তারা আরো বলেন, তাই আমরা দুটি দাবি নিয়ে কর্মবিরতি পালন করছি। আমাদের দাবিগুলো গলো- বিচার বিভাগের জন্য সুপ্রিম কোর্টের অধীন পৃথক সচিবালয় করতঃ অধস্তন আদালত ও ট্রাইব্যুনালের। সহায়ক কর্মকর্তা-কর্মচারীগণকে বিচার বিভাগের সহায়ক কর্মকর্তা-কর্মচারী হিসেবে বাংলাদেশ জুডিসিয়াল সার্ভিস বেতন স্কেলের আলোকে বেতন ভাতা প্রদান করতে হবে এবং বাংলাদেশ জুডিসিয়াল সার্ভিস কমিশনের অধীনে অধস্তন আদালত ও ট্রাইব্যুনালের সহায়ক কর্মকর্তা-কর্মচারীগণের নিয়োগ, বিদ্যমান ব্লক পদ বিলুপ্ত করে যুগোপযোগী পদ সৃজনপূর্বক যোগ্যতা ও জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে পদোন্নতির সুযোগ রেখে স্বতন্ত্র নিয়োগবিধি প্রণয়ন করতে হবে।

এসময় তারা তাদের উপযুক্ত দাবি অবিলম্বে বাস্তবায়ন করে দীর্ঘদিনের সৃষ্ট বৈষম্য দূর করার জন্য সরকারের নিকট জোর দাবি জানান।

 

শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষণ করুন

পঞ্চগড়ে আদালত কর্মচারীদের কর্ম বিরতি

আপডেট: ০৩:৫৬:১২ অপরাহ্ন, সোমবার, ৫ মে ২০২৫

সোমবার (৫ মে) সকাল সারে ৯টা থেকে বেলা সারে ১১টা পর্যন্ত পঞ্চগড় জেলা ও দায়রা জজ আদালত প্রাঙ্গণে কর্মবিরতি পালন করেন বাংলাদেশ বিচার বিভাগীয় কর্মচারী এসোসিয়েশন পঞ্চগড় জেলা শাখা– ছবি ইউএনএ 

বিচার বিভাগের জন্য সুপ্রিম কোর্টের অধীন পৃথক সচিবালয় করতঃ অধস্তন আদালত ও ট্রাইব্যুনালের সহায়ক কর্মচারীগণকে বিচার বিভাগের সহায়ক কর্মচারী হিসেবে বাংলাদেশ জুডিসিয়াল সার্ভিস বেতন স্কেলের আলোকে বেতন ভাতা প্রদানসহ বিদ্যমান জুডিসিয়াল সার্ভিস বেতন স্কেলের ১ম-৬ষ্ঠ গ্রেডের পরবর্তী ৭ম-১২তম গ্রেডভুক্ত করা এবং বিদ্যমান ব্লকপদ বিলুপ্ত করে যুগোপযোগী পদ সৃজনপূর্বক যোগ্যতা ও জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে পদোন্নতির সুযোগ রেখে স্বতন্ত্র নিয়োগবিধি প্রণয়নের দাবিতে বাংলাদেশ বিচার বিভাগীয় কর্মচারী এসোসিয়েশন পঞ্চগড় জেলা শাখার কর্মবিরতি পালন করেছে।

সোমবার (৫ মে) সকাল সারে ৯টা থেকে বেলা সারে ১১টা পর্যন্ত পঞ্চগড় জেলা ও দায়রা জজ আদালত প্রাঙ্গণে এ কর্মবিরতি পালন করেন বাংলাদেশ বিচার বিভাগীয় কর্মচারী এসোসিয়েশন পঞ্চগড় জেলা শাখা।

এসময় বাংলাদেশ বিচার বিভাগীয় কর্মচারী এসোসিয়েশন পঞ্চগড় জেলা শাখা সভাপতি আব্দুল্লাহ আল মামুন পলাশ, সাধারণ সম্পাদক আল-আমীন, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক রিপা পারভীন, সংগঠনের সদস্য সে্সটেনো গ্রাফার আবিদা সুলতানা আশা, স্টেনো টাইপিস্ট মেরিনা আকতার, হোসনে আরা সহ আদালতে কর্মরত প্রায় ১২৩জন কর্মকর্তা-কর্মচারী কর্মবিরতি পালন করেন।

বক্তারা বলেন, ২০০৭ সালের ১ নভেম্বর মাসদার হোসেন মামলার রায়ের প্রেক্ষিতে নির্বাহী বিভাগ থেকে বিচার বিভাগ পৃথককরণ হয়। কিন্তু অদ্যাবধি বিচার বিভাগের জন্য স্বাধীন সচিবালয় না হওয়ায় বিচারবিভাগ পৃথকীকরণের উদ্দেশ্যে পুরোপুরি বাস্তবায়িত হয়নি। বিচার কার্যে সরাসরি নিয়োজিত আদালতের সহায়ক কর্মকর্তা-কর্মচারী গণকে সরকারের নিয়ন্ত্রণে রেখে স্বাধীনভাবে বিচারকার্য সম্পাূন করা সম্ভব নয়।

বক্তারা আরো বলেন, তাই আমরা দুটি দাবি নিয়ে কর্মবিরতি পালন করছি। আমাদের দাবিগুলো গলো- বিচার বিভাগের জন্য সুপ্রিম কোর্টের অধীন পৃথক সচিবালয় করতঃ অধস্তন আদালত ও ট্রাইব্যুনালের। সহায়ক কর্মকর্তা-কর্মচারীগণকে বিচার বিভাগের সহায়ক কর্মকর্তা-কর্মচারী হিসেবে বাংলাদেশ জুডিসিয়াল সার্ভিস বেতন স্কেলের আলোকে বেতন ভাতা প্রদান করতে হবে এবং বাংলাদেশ জুডিসিয়াল সার্ভিস কমিশনের অধীনে অধস্তন আদালত ও ট্রাইব্যুনালের সহায়ক কর্মকর্তা-কর্মচারীগণের নিয়োগ, বিদ্যমান ব্লক পদ বিলুপ্ত করে যুগোপযোগী পদ সৃজনপূর্বক যোগ্যতা ও জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে পদোন্নতির সুযোগ রেখে স্বতন্ত্র নিয়োগবিধি প্রণয়ন করতে হবে।

এসময় তারা তাদের উপযুক্ত দাবি অবিলম্বে বাস্তবায়ন করে দীর্ঘদিনের সৃষ্ট বৈষম্য দূর করার জন্য সরকারের নিকট জোর দাবি জানান।

 

শেয়ার করুন