০৬:৫১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৫

পঞ্চগড়ে কন্যাকে ধর্ষণের দায়ে বাবার আমৃত্যু কারাদন্ড

মো. হারুন অর রশিদ,পঞ্চগড় জেলা প্রতিনিধি
  • আপডেট: ০৮:০৭:২৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩০ জুন ২০২৪
  • / 29

ছবি: Oplus_2

ছবি – ইউএনএ 

পঞ্চগড়ে ১৫ বছরের মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগ প্রমানিত হওয়ায় বাবা সাইফুল ইসলামকে (৪৯) আমৃত্যু কারাদন্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। একই সাথে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছরের জেল দেওয়া হয়। রোববার দুপুরে পঞ্চগড় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুন্যালের বিচারক, জেলা ও দায়রা জজ বি. এম তারিকুল কবির এই দন্ডাদেশ দেন। অভিযুক্ত সাইফুলের বাড়ি উপজেলা সদরের কামাত কাজলদিঘী ইউনিয়নের সিপাইপাড়ায়।

মামলা সূত্রে জানা যায়, ধর্ষণের শিকার তরুণীর পাঁচ ভাইবোনের বাবা এই সাইফুল ইসলাম। সে দ্বিতীয় বিয়ে করায় গত বছরের আগষ্টে সাইফুলের সাথে তরুণীর মায়ের বিবাহ বিচ্ছেদ হয়। এরপর থেকে ওই তরুণীসহ ছোট দুই ছেলেকে নিয়ে তাদের মা বাবার বাড়িতে থাকতেন। গত বছরের ২১ সেপ্টেম্বর তরুণীর চাচতো ভাইয়ের বিয়ে উপলক্ষে বাবা সাইফুলের বাড়িতে যায় সে। বিয়ের তিনদিন পর ছোট মা বাইরে থাকার সুযোগে সাইফুল তার ঘরেই ঘুমন্ত মেয়েকে ধর্ষণ করে। পরবর্তীতে তাকে হুমকি ও ভয়ভীতি দেখিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করে সে। এক পর্যায়ে অন্তঃস্বত্তা হয়ে পড়ে তরুণী। এ ঘটনায় ১৮ নভেম্বর তরুনীর মা বাদী হয়ে সদর থানায় ধর্ষণ মামলাটি দায়ের করেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও সদর থানার তৎকালীন উপ-পরিদর্শক শামছুজ্জোহা সরকার গত ২৮ মার্চ আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

আসামী পক্ষের আইনজীবী আহসান উল্লাহ আল হাবিব লাবু বলেন, আমরা ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত হয়েছি এই রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপীল করা হবে।

নারী শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুন্যালের সরকার পক্ষের আইনজীবি এডভোকেট আজিজার রহমান জানান মেয়েকে ধর্ষনের দায়ে বাবার আমৃত্যু কারাদন্ড ও ৫০ হাজার টাকা অর্থদন্ড অনাদায়ে আরও এক বছরের সশ্রম কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত। এ রায় সমাজের জন্য একটি বার্তা, এতে করে অন্য কেউ অপরাধ করতে সাহস পাবেনা।

শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষণ করুন

পঞ্চগড়ে কন্যাকে ধর্ষণের দায়ে বাবার আমৃত্যু কারাদন্ড

আপডেট: ০৮:০৭:২৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩০ জুন ২০২৪

ছবি – ইউএনএ 

পঞ্চগড়ে ১৫ বছরের মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগ প্রমানিত হওয়ায় বাবা সাইফুল ইসলামকে (৪৯) আমৃত্যু কারাদন্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। একই সাথে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছরের জেল দেওয়া হয়। রোববার দুপুরে পঞ্চগড় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুন্যালের বিচারক, জেলা ও দায়রা জজ বি. এম তারিকুল কবির এই দন্ডাদেশ দেন। অভিযুক্ত সাইফুলের বাড়ি উপজেলা সদরের কামাত কাজলদিঘী ইউনিয়নের সিপাইপাড়ায়।

মামলা সূত্রে জানা যায়, ধর্ষণের শিকার তরুণীর পাঁচ ভাইবোনের বাবা এই সাইফুল ইসলাম। সে দ্বিতীয় বিয়ে করায় গত বছরের আগষ্টে সাইফুলের সাথে তরুণীর মায়ের বিবাহ বিচ্ছেদ হয়। এরপর থেকে ওই তরুণীসহ ছোট দুই ছেলেকে নিয়ে তাদের মা বাবার বাড়িতে থাকতেন। গত বছরের ২১ সেপ্টেম্বর তরুণীর চাচতো ভাইয়ের বিয়ে উপলক্ষে বাবা সাইফুলের বাড়িতে যায় সে। বিয়ের তিনদিন পর ছোট মা বাইরে থাকার সুযোগে সাইফুল তার ঘরেই ঘুমন্ত মেয়েকে ধর্ষণ করে। পরবর্তীতে তাকে হুমকি ও ভয়ভীতি দেখিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করে সে। এক পর্যায়ে অন্তঃস্বত্তা হয়ে পড়ে তরুণী। এ ঘটনায় ১৮ নভেম্বর তরুনীর মা বাদী হয়ে সদর থানায় ধর্ষণ মামলাটি দায়ের করেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও সদর থানার তৎকালীন উপ-পরিদর্শক শামছুজ্জোহা সরকার গত ২৮ মার্চ আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

আসামী পক্ষের আইনজীবী আহসান উল্লাহ আল হাবিব লাবু বলেন, আমরা ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত হয়েছি এই রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপীল করা হবে।

নারী শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুন্যালের সরকার পক্ষের আইনজীবি এডভোকেট আজিজার রহমান জানান মেয়েকে ধর্ষনের দায়ে বাবার আমৃত্যু কারাদন্ড ও ৫০ হাজার টাকা অর্থদন্ড অনাদায়ে আরও এক বছরের সশ্রম কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত। এ রায় সমাজের জন্য একটি বার্তা, এতে করে অন্য কেউ অপরাধ করতে সাহস পাবেনা।

শেয়ার করুন