পঞ্চগড় প্রেস ক্লাবে ১৪৪ ধারা জারি করে সিলগালা

- আপডেট: ১০:৫৭:৫৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৯ মে ২০২৫
- / 8
পঞ্চগড় প্রেসক্লাব
পঞ্চগড় জেলার ঐতিহ্যবাহী সংগঠন পঞ্চগড় প্রেসক্লাবে ১৪৪ ধারা জারি করেছে প্রশাসন। পরে সাংবাদিকদের দুপক্ষকেই প্রেসক্লাব থেকে বের করে দিয়ে সিলগালা করে দিয়েছেন। বুধবার রাতে বিএনপি জামাতের একটি অংশের সহযোগিতায় একদল যুবক প্রেসক্লাবে তালা লাগিয়ে দেন। বিক্ষুব্ধ সাংবাদিকরা বৃহস্পতিবার তালা ভেঙ্গে প্রেসক্লাবে অবস্থান নেন। সাংবাদিকদের ওপর একটি অংশ জোরপূর্বক প্রেসক্লাবে প্রবেশ করে অবস্থান কর্মসূচি পালন করতে থাকেন। অনাকাংখিত ঘটনা রোধসহ আইন শৃঙ্খলার অবনতি এড়াতে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এই ব্যবস্থা নেন।
প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে বুধবার রাতে রাজনৈতিক দলের কতিপয় নেতার মদদে একদল দূবৃত্ত প্রেসক্লাবে অবস্থানকারী সাংবাদিকদের বের করে দিয়ে তালা দেন। রাতেই বিক্ষুব্ধ পেশাদার সাংবাদিকরা ক্লাবের সামনে তালা খুলে দেওয়ার দাবীতে পঞ্চগড়-টুনিরহাট সড়কে অবস্থান নেয় । পরে সদর থানা পুলিশ এবং জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক এম এ মজিদ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। কয়েকঘন্টা অবস্খানের পর জনভোগান্তির কথা বিবেচনা করে অবস্থান তুলে নেন বিক্ষুব্ধ সাংবাদিকরা। এসময় বৃহস্পতিবার সকাল দশটার মধ্যে প্রেসক্লাব খুলে দিয়ে সাংবাদিকদের হাতে চাবি ফিরিয়ে দেয়ার আহবান জানানো হয়। তা নাহলে বিক্ষুব্ধ সাংবাদিকরা নিজেরাই প্রেসক্লাবের তালা ভেঙ্গে ভেতরে অবস্থান নেয়ার ঘোষণা দেন।
আলটিমেটাম অনুযায়ি সকাল সাড়ে দশটায় তালা ভেঙ্গে প্রেসক্লাবে অবস্থান নেন বিক্ষুব্ধ সাংবাদিকরা। এদিকে প্রেসক্লাবের অন্য একটি পক্ষও দুপুর বারোটায় প্রেসক্লাবে অবস্থান নিলে উভয় গ্রুপের মধ্যে বাক বিতন্ডা শুরু হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সেনাবাহিনী ও পুলিশ সদস্যরা সেখানে উপস্থিত হন। পরে জেলা প্রশাসক অপ্রিতিকর ঘটনার আশংকায় প্রেসক্লাবে ১৪৪ ধারা জারি করেন এবং দুপক্ষকেই প্রেস ক্লাব থেকে বের করে দিয়ে সিলগালা করে দেন। এ সময় পঞ্চগড় সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাকির হোসেন, সদর থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল্লা হিল জামানসহ সেনাবাহিনী ও পুলিশের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
জানা গেছে জুলাই বিপ্লবের পর ১৭ বছর সদস্য বঞ্চিত সাংবাদিকেরা প্রেস ক্লাবে অবস্থান নিলে পূর্বের নেতৃবৃন্দ পালিয়ে যায়। এসময় একটি কমিটি ঘোষণা করা হয়। পরে সংঘাত এড়াতে জেলার বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতে একটি আহবায়ক কমিটি গঠন করা হয়। আহবায়ক কমিটির নেতৃত্বে প্রেসক্লাব পরিচালিত হয়ে আসছে।
জেলা প্রশাসক মো: সাবেত আলী জানান, দুই পক্ষের মধ্যে সংঘাত এবং অপ্রিতীকর ঘটনা এড়াতে ১৪৪ ধারা জারির সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। দুই পক্ষকে ডেকে সমস্যা সমাধানের প্রচেষ্টা চলছে।