হতাশা নিয়ে ফিরে যাচ্ছেন সেবাপ্রত্যাশীরা
পঞ্চম দিনের মতো অবরুদ্ধ নগর ভবন

- আপডেট: ১২:৪৯:৪১ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৯ মে ২০২৫
- / 3
‘ব্লকেড কর্মসূচি’ পালনের জন্য নেতাকর্মীরা ‘ঢাকাবাসী’ ব্যানারে সকাল থেকেই নগর ভবনের মূল সড়কে অবস্থান নিয়েছেন -ছবি : ইউএনএ
সোমবার পঞ্চম দিনের মতো অবরুদ্ধ আছে নগর ভবন। সব ধরনের সেবা কার্যক্রমও বন্ধ হয়ে আছে বিগত কয়েকদিন ধরে। বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়রের দায়িত্ব বুঝিয়ে দেওয়ার দাবিতে নগরভবন ব্লকেডের ডাক দিয়েছে আন্দোলনকারীরা। মূল ফটক আটকে নতুন এই কর্মসূচি পালনের ফলে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সব ধরনের সেবা কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।
সকাল থেকে ঢাকার বিভিন্ন এলাকা থেকে ছোট ছোট মিছিল নিয়ে নগর ভবনের সামনে ঢাকাবাসীর ব্যানারে এসে জড়ো হোন বিক্ষোভকারীরা। তাদের ব্লকেডে আটকে গেছে নগরভবন এবং এখানকার সব সেবা কার্যক্রম। অনেক সেবাপ্রত্যাশী দূরদূরান্ত থেকে এসে আজও ফিরে যাচ্ছেন হতাশা নিয়ে।
‘ব্লকেড কর্মসূচি’ পালনের জন্য শত শত নেতাকর্মীরা ‘ঢাকাবাসী’ ব্যানারে সকাল থেকেই নগর ভবনের মূল সড়কে অবস্থান নিয়েছেন। ‘শপথ নিয়ে টালবাহানা চলবে না চলবে না’, ‘আমাদের দাবি মানতে হবে, ইশরাক ভাইয়ের সংগ্রাম চলবে চলবে’সহ নানান স্লোগানে মুখর গুলিস্তান। অনেকেরই হাতে রয়েছে প্ল্যাকার্ড-ফেস্টুন ও ব্যানার। সেই সঙ্গে নগর ভবনের প্রধান ফটক আটকে ট্রাকের ওপর বাজানো হচ্ছে সাউন্ড সিস্টেম।
সোমবার (১৯ মে) ইশরাক হোসেনকে মেয়রের দায়িত্ব বুঝিয়ে দিতে ডিএনসিসি নগরভবন ব্লকেড ঘোষণা করে কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছেন বিক্ষোভকারীরা। নগরভবনে মূল ফটক আটকের সামনে অবস্থান নিয়েছে তারা। ফলে নগরভবনের ভেতরে ঢুকতে পারছে না সেবাগ্রহীতার।
নগরভনের মূল ফটকসহ অন্যান্য সব বিভাগের গেটে গেটে তালা লাগিয়ে রেখেছে দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ইশরাকপন্থি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। ফলে আজও কোন সেবা পাওয়া যাচ্ছে না নগরভবনে। সেবাগ্রহীতাদের সেবা নিতে এসে ঘুরে যেতে হচ্ছে।
এর আগে রোববার (১৮ মে) দুপুরে নগর ভবনের সামনে চলমান অবস্থান কর্মসূচি থেকে সাবেক সচিব মশিউর রহমান নগর ভবন ব্লকেড এই ঘোষণা দেন। গত ১৪ মে থেকে টানা অবস্থান কর্মসূচির কারণে নগর ভবনের কার্যক্রম স্থবির হয়ে আছে।
প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের ১ ফেব্রুয়ারি ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। বিএনপির ইশরাক হোসেনকে হারিয়ে আওয়ামী লীগের শেখ ফজলে নূর তাপস মেয়র হন। গেল ২৭ মার্চ ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ২০২০ সালের নির্বাচনে ফজলে নূর তাপসকে বিজয়ী ঘোষণার ফল বাতিল করে বিএনপি নেতা ইশরাককে মেয়র ঘোষণা করা হয়। ট্রাইব্যুনালের রায়ের কপি পেয়ে ২২ এপ্রিল গেজেট প্রকাশের বিষয়ে আইন মন্ত্রণালয়ের পরামর্শ চায় নির্বাচন কমিশন।