০৬:১২ অপরাহ্ন, সোমবার, ০২ জুন ২০২৫

পশ্চিম তীরে ২২টি নতুন ইহুদি বসতি স্থাপনের অনুমোদন

ইউএনএ ডেস্ক
  • আপডেট: ০৩:৪১:৫৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩০ মে ২০২৫
  • / 4

গত কয়েক দশকের মধ্যে বসতি সম্প্রসারণের সবচেয়ে বড় পদক্ষেপ -ছবি : নিউজ অন এয়ার

ইসরায়েলি মন্ত্রীরা জানিয়েছেন, অধিকৃত পশ্চিম তীরে ২২টি নতুন ইহুদি বসতি স্থাপনের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এটি গত কয়েক দশকের মধ্যে বসতি সম্প্রসারণের সবচেয়ে বড় পদক্ষেপ। খবর বিবিসির

প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ইসরায়েল কাৎজ ও অর্থমন্ত্রী বেজালেল স্মোট্রিচ জানান, এসব বসতির মধ্যে অনেকগুলো আগে থেকেই সরকারি অনুমোদন ছাড়াই গড়ে উঠেছিল। এখন সেগুলোকে বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে এবং ইসরায়েলি আইনের আওতায় আনা হচ্ছে।

পশ্চিম তীরে নির্মিত বসতিগুলোর বিষয়টি আন্তর্জাতিক আইন অনুসারে অধিকাংশের চোখে অবৈধ বলে বিবেচিত হলেও ইসরায়েল এই দাবিকে প্রত্যাখ্যান করে। এটি ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনিদের মধ্যে সবচেয়ে বিবাদপূর্ণ ইস্যুগুলোর একটি।

প্রতিরক্ষামন্ত্রী কাৎজ বলেন, নতুন বসতি তৈরি করার সিদ্ধান্তের মাধ্যমে তারা ফিলিস্তিনি একটি স্বাধীন দেশ গঠনের সুযোগ বন্ধ করে দিচ্ছে। কারণ ফিলিস্তিনি একটি স্বাধীন দেশ গড়ে উঠলে তার কারণে ইসরায়েলের নিরাপত্তা ঝুঁকিতে পড়তে পারে। অর্থাৎ, ইসরায়েলের দৃষ্টিতে এটি একটি নিরাপত্তা হুমকি।

অন্যদিকে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ এই সিদ্ধান্তকে খুবই উদ্বেগজনক ও বিপজ্জনক হিসেবে দেখছে। তারা মনে করে, এটা দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বাড়িয়ে দেয় এবং শান্তিপূর্ণ সমাধানের পথ আরও দূরে সরিয়ে দেয়।

ইসরায়েলের বসতি-বিরোধী তদারকি সংগঠন পিস নাউ জানিয়েছে, নতুন বসতিগুলো পশ্চিম তীরের ভূপ্রকৃতি এবং রাজনৈতিক পরিস্থিতিকে পুরোপুরি বদলে দেবে এবং ইসরায়েলের দখল আরও শক্তিশালী করবে।

ইসরায়েল ১৯৬৭ সালের মধ্যপ্রাচ্যের যুদ্ধে পশ্চিম তীর ও পূর্ব জেরুজালেম দখলের পর থেকে প্রায় ১৬০টি বসতি তৈরি করেছে, যেখানে প্রায় সাত লাখ ইহুদির বসবাস। ফিলিস্তিনিরা এই জমিগুলোকে তাদের ভবিষ্যৎ রাষ্ট্রের অংশ হিসেবে দাবি করে।

শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষণ করুন

পশ্চিম তীরে ২২টি নতুন ইহুদি বসতি স্থাপনের অনুমোদন

আপডেট: ০৩:৪১:৫৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩০ মে ২০২৫

গত কয়েক দশকের মধ্যে বসতি সম্প্রসারণের সবচেয়ে বড় পদক্ষেপ -ছবি : নিউজ অন এয়ার

ইসরায়েলি মন্ত্রীরা জানিয়েছেন, অধিকৃত পশ্চিম তীরে ২২টি নতুন ইহুদি বসতি স্থাপনের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এটি গত কয়েক দশকের মধ্যে বসতি সম্প্রসারণের সবচেয়ে বড় পদক্ষেপ। খবর বিবিসির

প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ইসরায়েল কাৎজ ও অর্থমন্ত্রী বেজালেল স্মোট্রিচ জানান, এসব বসতির মধ্যে অনেকগুলো আগে থেকেই সরকারি অনুমোদন ছাড়াই গড়ে উঠেছিল। এখন সেগুলোকে বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে এবং ইসরায়েলি আইনের আওতায় আনা হচ্ছে।

পশ্চিম তীরে নির্মিত বসতিগুলোর বিষয়টি আন্তর্জাতিক আইন অনুসারে অধিকাংশের চোখে অবৈধ বলে বিবেচিত হলেও ইসরায়েল এই দাবিকে প্রত্যাখ্যান করে। এটি ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনিদের মধ্যে সবচেয়ে বিবাদপূর্ণ ইস্যুগুলোর একটি।

প্রতিরক্ষামন্ত্রী কাৎজ বলেন, নতুন বসতি তৈরি করার সিদ্ধান্তের মাধ্যমে তারা ফিলিস্তিনি একটি স্বাধীন দেশ গঠনের সুযোগ বন্ধ করে দিচ্ছে। কারণ ফিলিস্তিনি একটি স্বাধীন দেশ গড়ে উঠলে তার কারণে ইসরায়েলের নিরাপত্তা ঝুঁকিতে পড়তে পারে। অর্থাৎ, ইসরায়েলের দৃষ্টিতে এটি একটি নিরাপত্তা হুমকি।

অন্যদিকে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ এই সিদ্ধান্তকে খুবই উদ্বেগজনক ও বিপজ্জনক হিসেবে দেখছে। তারা মনে করে, এটা দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বাড়িয়ে দেয় এবং শান্তিপূর্ণ সমাধানের পথ আরও দূরে সরিয়ে দেয়।

ইসরায়েলের বসতি-বিরোধী তদারকি সংগঠন পিস নাউ জানিয়েছে, নতুন বসতিগুলো পশ্চিম তীরের ভূপ্রকৃতি এবং রাজনৈতিক পরিস্থিতিকে পুরোপুরি বদলে দেবে এবং ইসরায়েলের দখল আরও শক্তিশালী করবে।

ইসরায়েল ১৯৬৭ সালের মধ্যপ্রাচ্যের যুদ্ধে পশ্চিম তীর ও পূর্ব জেরুজালেম দখলের পর থেকে প্রায় ১৬০টি বসতি তৈরি করেছে, যেখানে প্রায় সাত লাখ ইহুদির বসবাস। ফিলিস্তিনিরা এই জমিগুলোকে তাদের ভবিষ্যৎ রাষ্ট্রের অংশ হিসেবে দাবি করে।

শেয়ার করুন