পাক-ভারত সীমান্তে ফের গোলাগুলি

- আপডেট: ১১:৫১:০২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫
- / 1
ফাইল ছবি
জম্মু ও কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণ রেখা (এলওসি) বরাবর টানা কয়েক রাত ধরে ভারত-পাকিস্তানের সেনার মধ্যে থেমে থেমে গোলাগুলি চলছে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি বলছে গতরাতেও টানা চতুর্থ রাতের মতো এলওসিতে গুলি চলেছে।
ভারতীয় সেনাবাহিনী এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, এপ্রিল ২৭ থেকে ২৮ এর রাতের মধ্যে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর পোস্টগুলো কুপওয়াড়া ও পুঞ্চ জেলার সীমান্তের ওপার থেকে ছোট অস্ত্র দিয়ে গুলি চালানো হয়। ভারতীয় বাহিনীও দ্রুত এবং কার্যকরভাবে পাল্টা জবাব দেয়।
পুঞ্চ সেক্টরে এবারই প্রথমবারের মতো পাকিস্তান সেনাবাহিনীর যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটল।
গত ২২ এপ্রিল জম্মু ও কাশ্মীরের পাহালগামে এক ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ জন নিহত হওয়ার পর থেকে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা চরমে পৌঁছেছে।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) দিবাগত রাতে কাশ্মিরের নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর দুই দেশের সেনাদের মধ্যে গোলাগুলি হয়। রোববারও (২৭ এপ্রিল) কাশ্মির সীমান্তের নিয়ন্ত্রণরেখা (এলওসি) বরাবর ভারত ও পাকিস্তানের সেনাদের মধ্যে ফের গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। পাকিস্তানের দাবি কোনও ধরনের প্ররোচনা ছাড়াই নিয়ন্ত্রণরেখায় গুলি চালাতে শুরু করে ভারতীয় সেনারা। পরে পাকিস্তানও পাল্টা গুলি চালিয়ে জবাব দিয়েছে তবে ভারতীয় কর্তৃপক্ষের দাবি এর উল্টো।
এদিকে পেহালগাম হামলার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে তিন সন্ত্রাসীর স্কেচ প্রকাশ করেছে কাশ্মীর পুলিশ। তারা হলেন পাকিস্তানের বাসিন্দা হাশিম মুসা ওরফে সুলেমান এবং আলি ভাই ওরফে তালহা ভাই এবং কাশ্মীরের অনন্তনাগ জেলার বাসিন্দা আদিল হুসেন ঠোকার।
তাদের ধরিয়ে দিতে সাহায্যকারী যে কোনো তথ্যের জন্য ২০ লাখ রুপি পুরস্কার ঘোষণা করেছে পুলিশ।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে কাশ্মিরের নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর দুই দেশের সেনাদের মধ্যে গোলাগুলি হয়। সম্প্রতি অধিকৃত কাশ্মিরে পর্যটকদের ওপর বন্দুকধারীদের হামলার জেরে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা চরমে পৌঁছেছে।
এদিকে পেহেলগামের ভয়াবহ ওই হামলার জেরে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক তলানিতে ঠেকেছে। দুই দেশের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ সিন্ধু পানিবণ্টন চুক্তি স্থগিত করেছে ভারত। জবাবে সিমলা চুক্তি স্থগিত ও ভারতীয় বিমানের জন্য নিজেদের আকাশসীমা বন্ধের ঘোষণা দেয় পাকিস্তান।