পুশ ইন বন্ধে দিল্লির সঙ্গে চিঠি আদান-প্রদান হচ্ছে : পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

- আপডেট: ০৯:২০:৪৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩ জুন ২০২৫
- / 7
ভারতকে বাংলাদেশ আবারও চিঠি দেবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন – সংগৃহীত ছবি
ভারত বাংলাদেশের বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে মানুষকে ঠেলে পাঠানো (পুশ ইন) অব্যাহত রেখেছে। এটি বন্ধে ভারত সরকারকে বাংলাদেশ আবারও চিঠি দেবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন।
মঙ্গলবার বিকেলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা।
ভারত থেকে পুশইন নিয়ে জানতে চাইলে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ভারত থেকে পুশইন হচ্ছে। সেটি ফিজিক্যালি ঠেকানো সম্ভব নয়। এটা নিয়ে ভারতের সঙ্গে চিঠি আদান–প্রদান হচ্ছে। আমরা বলছি এটি যাতে পদ্ধতি অনুযায়ী হয়।
তারা কিছুক্ষেত্রে বলেছে, অনেক কেস আটকে রয়েছে। সেগুলো ঠিকমতো বাংলাদেশ করছে না। যাচাই করে দেখেছি খুব দীর্ঘদিনের তালিকা রয়েছে। পাশাপাশি এটাও দেখেছি যে ভারতের তালিকা অনুযায়ী যাচাই করে অনেককে ফেরত নেওয়া হয়েছে। কাজেই দুপক্ষের বক্তব্য থাকতে পারে।
তিনি বলেন, কনস্যুলার সংলাপ ব্যবহার করে বিষয়গুলোকে নিয়মের মধ্যে নিয়ে আসতে পারি কি না আমরা সে চেষ্টা করছি। নিয়মিত পদ্ধতিতে যাতে হয় তার জন্য বাংলাদেশ আরেকটি চিঠি দেবে ভারতকে। তারা যে তালিকা দিয়েছে তা যাচাই করে যাদের বাংলাদেশি পেয়েছি। তাদের ফেরত নিয়েছি।
প্রতিবাদপত্র নাকি কূটনৈতিকপত্র পাঠানো হবে জানতে চাইলে তৌহিদ হোসেন বলেন, আমরা একটি বস্তুনিষ্ঠ চিঠি পাঠাবো। যেটাতে পদ্ধতির কথা উল্লেখ করবো। কনস্যুলার সংলাপ ব্যবহারের চেষ্টা করবো। অনেক দিন এ সংলাপ হয়নি।
ভারতে পালিয়ে যাওয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ফেরত আনা নিয়ে প্রশ্নের উত্তরে মো. তৌহিদ হোসেন বলেন, শেখ হাসিনাকে ফেরত চেয়ে পাঠানো চিঠি নিয়ে ভারত থেকে ফিরতি কিছু আসেনি।
শেখ হাসিনাকে ফেরাতে ভারতকে দ্বিতীয় পত্র দেওয়া হবে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, এখনও দ্বিতীয় পত্র দেওয়া হয়নি। তবে প্রয়োজন হলে অবশ্যই দেওয়া হবে।
সীমান্তে বেসামরিক নাগরিক হত্যার ক্ষেত্রে বাংলাদেশি কি নমনীয় হয়ে গেছে, এমন প্রশ্নের উত্তরে উপদেষ্টা বলেন, এ বিষয়ে নমনীয়তা দেখানো সম্ভব নয়। এ বিষয়ে আমরা প্রতিবাদ করছি এবং এ প্রক্রিয়া চালু রয়েছে। অবশ্যই সীমান্ত হত্যা নিয়ে খুব শক্ত ভাষায় প্রতিবাদ করবো। সীমান্ত হত্যাকে কখনই মেনে নেওয়া হবে না। সীমান্তে গুলি করে হত্যা করা পৃথিবীর আর কোনো সীমান্তে নেই।