প্রতিরক্ষামন্ত্রীকে সরিয়ে দিচ্ছেন পুতিন!

- আপডেট: ০১:১৫:২১ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ মে ২০২৪
- / 21
ছবি: সংগৃহীত
রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী হিসেবে নতুন একজনের নাম প্রস্তাব দিয়েছেন। গতকাল রোববার পুতিন রুশ পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষে এ প্রস্তাব দেন।
অবশ্য প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে সরানো হলেও সের্গেই শোইগুকে পাঠানো হচ্ছে অন্য দায়িত্বে। সোমবার (১৩ মে) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন তার দীর্ঘদিনের মিত্র সের্গেই শোইগুকে প্রতিরক্ষামন্ত্রীর থেকে সরিয়ে দিতে চলেছেন বলে ক্রেমলিন ঘোষণা করেছে। ৬৮ বছর বয়সী শোইগু ২০১২ সাল থেকে রুশ প্রতিরক্ষামন্ত্রীর পদে রয়েছেন এবং তাকে এখন রাশিয়ার নিরাপত্তা পরিষদের প্রধান নিযুক্ত করা হবে।
বর্তমানে রাশিয়ার নিরাপত্তা পরিষদের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন নিকোলাই পাত্রুশেভ। তবে পরবর্তীতে তাকে কোন পদে দায়িত্ব দেওয়া হবে সে বিষয়টি এখনো পরিষ্কার নয়।
ইউক্রেন যুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন সেরগেই সোইগু। এদিকে ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভের বরাত দিয়ে রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, শোইগু এই সেক্টরেই (প্রতিরক্ষা) কাজ চালিয়ে যাবেন। তিনি এই বিষয়গুলো ভালো জানেন। তিনি তার আগের কাজের জায়গায় তার সহকর্মী এবং অংশীদারদের সঙ্গে একত্রে দায়িত্ব পালন করেছেন এবং তিনি এটি খুব ভালোভাবে জানেন।
গত মার্চের নির্বাচনে জয়ী হয়ে নতুন সরকার গঠন করছেন প্রেসিডেন্ট পুতিন। সে কারণেই পুতিনকে সাংবিধানিকভাবে সরকারের বিভিন্ন পদে মন্ত্রীদের নতুন তালিকা দিতে হবে অথবা বিদ্যমান মন্ত্রীদের পুনরায় নিয়োগ দিতে হবে।
চলতি বছরের নির্বাচনে জয়ী হয়ে টানা পঞ্চমবারের মতো রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের আসনে বসে অনন্য রেকর্ড গড়েছেন পুতিন। ফলে আরও ছয় বছরের জন্য রুশ প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্বপালনের সুযোগ পাচ্ছেন তিনি। তবে আগের যেকোনো সময়ের তুলনায় এবারের মেয়াদে পুতিন আরও বেশি ক্ষমতাধর হয়ে উঠবেন বলেই ধারণা করা হচ্ছে।
অন্যদিকে শোইগুর বদলে প্রতিরক্ষামন্ত্রীর পদে সম্ভাব্য ব্যক্তি হিসেবে প্রস্তাবিত বেলোসভ সামান্য সামরিক অভিজ্ঞতাসম্পন্ন একজন অর্থনীতিবিদ। অনেকের কাছে এই পদের জন্য তার নাম সামনে আসাটা বেশ বিস্ময়কর।
তবে অন্যান্য বিশ্লেষকদের দৃষ্টিতে, প্রেসিডেন্ট পুতিন রাশিয়ার অর্থনীতিকে চলমান যুদ্ধের প্রচেষ্টার সাথে আরও ঘনিষ্ঠভাবে সারিবদ্ধ করতে চাইছেন, আর এই পদক্ষেপটি সেই ইঙ্গিতই দিচ্ছে।