০২:০৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৩ মে ২০২৫
দেশের চলমান পরিস্থিতি, সমসাময়িক পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠক

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে নাহিদসহ দুই উপদেষ্টার সাক্ষাৎ

ইউএনএ প্রতিবেদক
  • আপডেট: ০৯:৪৪:১০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ মে ২০২৫
  • / 6

প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস, আসিফ মাহমুদ, মাহফুজ আলম ও নাহিদ ইসলাম-ছবি : সংগৃহীত

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। এ সময় দুই ছাত্র উপদেষ্টা মাহফুজ আলম এবং আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়াও উপস্থিত ছিলেন বলে একটি সূত্রে জানা গেছে।

বৃহস্পতিবার (২২ মে) সন্ধ্যায় প্রধান উপদেষ্টার সরকারি বাসভবন যমুনায় এ সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়।

সূত্র জানায়, সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি আমলে নিয়ে বৃহস্পতিবার ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এবং রাজনীতির টেবিলে প্রধান উপদেষ্টার পদত্যাগের গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ে। বিষয়টি নিয়ে কথা বলতেই প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সন্ধ্যায় যমুনায় গিয়ে সাক্ষাৎ করেন নাহিদ ইসলাম।

সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা থেকে সাড়ে ৭টা পর্যন্ত প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে নানা বিষয়ে কথা বলেন তিনি। এসময় তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম ও স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া উপস্থিত ছিলেন।

সূত্রটি বলছে, সাক্ষাতে নাহিদ ইসলাম প্রধান উপদেষ্টাকে আশ্বস্ত করে বলেছেন, দেশের আপামর ছাত্র-জনতা প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে আছেন। শুধু তাই নয় সাম্প্রতিক সময়ে ফ্যাসিবাদবিরোধী ঐক্যে যে ফাটল দেখা দিয়েছে তা কোনোভাবেই দেশের জন্য কল্যাণকর হবে না। সেজন্য রাজনৈতিক ঐক্য ধরে রাখার জন্য এনসিপি কাজ করবে। ঘণ্টাব্যাপী চলা এই বৈঠকে দেশের সার্বিক পরিস্থিতিও আলোচনা হয় বলে জানায় সূত্রটি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে নাহিদ ইসলাম বলেন, আমি একা দেখা করেছি। চলমান পরিস্থিতি, সমসাময়িক পরিস্থিতি নিয়ে কথা হয়েছে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে।

এর আগে দুপুরের পর থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়া একটি গুজব জনমনে চাঞ্চল্য সৃষ্টি করে। দাবি করা হয়েছে, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ও শান্তিতে নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস পদত্যাগ করেছেন। এ দাবি ঘিরে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভুয়া চিঠি ও ২০১১ সালের একটি পুরোনো সংবাদ পুনরায় শেয়ার করা হয়। তবে অনুসন্ধানে দেখা যাচ্ছে, এই দুটি উপাদানই বাস্তবতার সঙ্গে মেলে না এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে জনমনে বিভ্রান্তি ছড়াতে ব্যবহৃত হয়েছে।

শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষণ করুন

দেশের চলমান পরিস্থিতি, সমসাময়িক পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠক

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে নাহিদসহ দুই উপদেষ্টার সাক্ষাৎ

আপডেট: ০৯:৪৪:১০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ মে ২০২৫

প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস, আসিফ মাহমুদ, মাহফুজ আলম ও নাহিদ ইসলাম-ছবি : সংগৃহীত

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। এ সময় দুই ছাত্র উপদেষ্টা মাহফুজ আলম এবং আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়াও উপস্থিত ছিলেন বলে একটি সূত্রে জানা গেছে।

বৃহস্পতিবার (২২ মে) সন্ধ্যায় প্রধান উপদেষ্টার সরকারি বাসভবন যমুনায় এ সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়।

সূত্র জানায়, সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি আমলে নিয়ে বৃহস্পতিবার ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এবং রাজনীতির টেবিলে প্রধান উপদেষ্টার পদত্যাগের গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ে। বিষয়টি নিয়ে কথা বলতেই প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সন্ধ্যায় যমুনায় গিয়ে সাক্ষাৎ করেন নাহিদ ইসলাম।

সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা থেকে সাড়ে ৭টা পর্যন্ত প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে নানা বিষয়ে কথা বলেন তিনি। এসময় তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম ও স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া উপস্থিত ছিলেন।

সূত্রটি বলছে, সাক্ষাতে নাহিদ ইসলাম প্রধান উপদেষ্টাকে আশ্বস্ত করে বলেছেন, দেশের আপামর ছাত্র-জনতা প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে আছেন। শুধু তাই নয় সাম্প্রতিক সময়ে ফ্যাসিবাদবিরোধী ঐক্যে যে ফাটল দেখা দিয়েছে তা কোনোভাবেই দেশের জন্য কল্যাণকর হবে না। সেজন্য রাজনৈতিক ঐক্য ধরে রাখার জন্য এনসিপি কাজ করবে। ঘণ্টাব্যাপী চলা এই বৈঠকে দেশের সার্বিক পরিস্থিতিও আলোচনা হয় বলে জানায় সূত্রটি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে নাহিদ ইসলাম বলেন, আমি একা দেখা করেছি। চলমান পরিস্থিতি, সমসাময়িক পরিস্থিতি নিয়ে কথা হয়েছে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে।

এর আগে দুপুরের পর থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়া একটি গুজব জনমনে চাঞ্চল্য সৃষ্টি করে। দাবি করা হয়েছে, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ও শান্তিতে নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস পদত্যাগ করেছেন। এ দাবি ঘিরে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভুয়া চিঠি ও ২০১১ সালের একটি পুরোনো সংবাদ পুনরায় শেয়ার করা হয়। তবে অনুসন্ধানে দেখা যাচ্ছে, এই দুটি উপাদানই বাস্তবতার সঙ্গে মেলে না এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে জনমনে বিভ্রান্তি ছড়াতে ব্যবহৃত হয়েছে।

শেয়ার করুন