প্রিয়জনের সাথে ঈদ উদযাপনে ঢাকা ছাড়ছে মানুষ

- আপডেট: ০১:০২:৩১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৫ জুন ২০২৪
- / 31
প্রিয়জনের সাথে ঈদ উদযাপন করতে রাত ১২ টার পরেও গাবতলী বাস টার্মিনালে বাসের জন্য অপেক্ষায় যাত্রীরা। ছবি:জাহিদ হাসান
প্রতি বছর ঈদ এলে প্রিয়জনের সাথে ঈদ উদযাপন করতে ঢাকা ছাড়তে শুরু করে মানুষজন। আসন্ন ঈদুল আযহাকে সামনে রেখে ইতিমধ্যে বাস,লঞ্চ,ট্রেনে করে বাড়ি যেতে শুরু করেছে মানুষজন।
গত বৃহস্পতিবার সরকারি,আধা-সরকারি,স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানগুলোর শেষ কর্মদিবস হওয়ায় অনেকে অফিস শেষ করে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছে।এছাড়াও নিম্ন ও মধ্য আয়ের মানুষগুলো গত বৃহস্পতিবার রাত থেকে ঢাকা শহর ছাড়া শুরু করছে।তাই ঢাকা শহরের প্রবেশদ্বার সড়ক গুলোতে ভালই যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।
আজ(১৪ জুন) শুক্রবার হওয়ায় বিভিন্ন বাস টার্মিনাল, লঞ্চঘাট, ও ট্রেন স্টেশনে ঈদযাত্রায় নিজ নিজ গন্তব্যে যাওয়া মানুষের ব্যাপক চাপ রয়েছে।ট্রেন গুলো সিডিউল অনুযায়ী এলেও টিকেট ছাড়া অনেক যাত্রী ট্রেনে যাত্রা করেছে।যে কারনে ট্রেনগুলোতে যাত্রীর চাপ ছিলো চোখে পড়ার মত।
এছাড়াও সদরঘাটে বিভিন্ন জেলার লঞ্চগুলোতে রয়েছে যাত্রীদের চাপ।অনেকে সড়কের যানজট এড়াতে লঞ্চ যাত্রাকে বেছে নিয়েছে।
বাস টার্মিনার গুলোতেও একই অবস্থা বিরাজমান।আজকে(১৪জুন)গাবতলী টার্মিনাল ঘুরে দেখা যায় ঈদ উপলক্ষে অনেক বাস কাউন্টারে যাত্রীদের থেকে দেড় থেকে দ্বিগুন হারে ভাড়া নিচ্ছে।এরকম চিত্র প্রতি ঈদ আসলে দেখা যায়।আর টিকেট বিহীন লোকাল বাস গুলোতে যে যার মত করে বাড়তি ভাড়া আদায় করছে। এছাড়াও ঢাকামুখী সড়ক গুলোতে তীব্র যানজটের কারনে বাসগুলো সময় মত টার্মিনালে আসতে পারছেনা;তাই নির্দিষ্ট সময় বাসগুলো ছাড়তে পারছেনা।এই সিডিউল বিপর্যয়ে যাত্রীরাও বিপদে পরেছে,বিশেষ করে শিশু মহিলা ও বৃদ্ধরা।তেমনি সমস্যায় পরে মিজান আহমেদ নামে এক যাত্রী ইউএনএ কে বলেন, প্রিয়জনের সাথে ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি করতে স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে প্রায় দেড় ঘন্টা গাবতলী বাস টার্মিনালে বসে আছি,কিন্তু আমাদের টিকেটের বাস এখনো টার্মিনালে এসে পৌছায়নি,এতটা সময় অপেক্ষা বাচ্চাদের জন্য অনেকটা দূর্বিষহ হয়ে উঠছে। আরেক যাত্রী রফিক আসলাম বলেন,ঈদযাত্রার ভোগান্তির জন্য আগেই স্ত্রী-সন্তানদের বাড়ি পাঠিয়ে দিয়েছি কিন্তু এখন টিকেটের দাম পূর্বের নেয় বেশ বেশি মনে হচ্ছে,তারওপর ২ ঘন্টা ধরে অপেক্ষা করছি এখনো বাস আসছেনা।

অপরদিকে বাস কাউন্টারে দায়িত্বরত আবদুল সালাম বলেন,ঈদ উপলক্ষে সব কাউন্টার গুলোতে যাত্রীদের নাগালে রেখে সীমিত পরিমান ভাড়া বাড়ায়,আর যেহেতু ঈদুল আযাহা তাই পশুরহাট ও অনেক মানুষ একসাথে ঢাকা ছাড়ার কারনে সড়ক গুলোতে বাড়তি যানজট দেখা দিয়েছে,যেকারনে বাসগুলো সময় মত আসছেনা।
এদিকে প্রবেশ পথ গুলোতে তীব্র যানজটের কারন হিসেবে গাবতলী সার্কেলের দায়িত্বরত একজন ট্রাফিক সার্জেন্ট বলেন, ঈদের শেষ দিকের সময় সব মানুষ ঢাকা ছাড়তে শুরু করায় ঢাকা শহরের প্রবেশ মুখ গুলোতে গাড়ির চাপ থাকে,এছাড়াও ঢাকা শহরের সবচেয়ে বড় হাট গাবতলী হওয়ায় পাশের সড়কগুলোতে গাড়ির চাপ লেগে থাকে;তবে আমরা সার্বক্ষনিক দায়িত্বের মাধ্যমে যানজট নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছি।