ফ্রিতে ২৪ ঘন্টা মিলবে আইনি সহায়তা,কর্মপরিধি বাড়ছে

- আপডেট: ০৮:৫৩:০৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ মে ২০২৪
- / 22
ফাইল ছবি
বিনামূল্যে আইনগত সহায়তা কার্যক্রমের আওতায় জাতীয় হেল্পলাইন কল সেন্টারের (১৬৪৩০) কর্মপরিধি ও সময়সীমা বাড়াচ্ছে আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়।
বুধবার (১৫ মে) এসম্পর্কিত নথিতে অনুমোদন দিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক।
এজন্য জাতীয় হেল্পলাইন কল সেন্টারের কার্যক্রম পরিচালনার জন্য ‘আইনি পরামর্শ কর্মকর্তা’ পদে ছয়জনকে চু্ক্তিভিত্তিক নিয়োগ দিতে যাচ্ছে জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থা। এ নিয়োগ কার্যক্রম সম্পন্ন হলে জাতীয় হেল্পলাইন কল সেন্টার থেকে দিন-রাত সবসময়ে (২৪ ঘণ্টা) বিনামূল্যে আইনগত পরামর্শ সেবা মিলছে।
সেবা নেওয়ার সময় বাড়ানো হলে বাংলাদেশের যে কোনো স্থান থেকে যে কেউ, যে কোনো সময় ১৬৪৩০ নম্বরে কল করে আইনগত পরামর্শ সেবা নিতে পারবেন। এই নম্বরে কল করার জন্য কোনো চার্জ বা মাসুল বা ফি কাটা যাবে না।
এসময় জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থার পরিচালককে দ্রুত এই নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার নির্দেশ দিয়ে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, আইনি সহায়তা কার্যক্রমকে আরও সফল ও বেগবান করে তুলতে হলে এটিকে অবশ্যই জনগণের দোড়গোড়ায় নিয়ে যেতে হবে। এক্ষেত্রে জাতীয় হেল্পলাইন কল সেন্টার তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
এখন জাতীয় হেল্পলাইন কল সেন্টারে যাদের নতুনভাবে আইনি পরামর্শক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হবে, তাদের দায়িত্ব হবে
ক) সারাদেশ থেকে আসা ফোন কল গ্রহণ করা;
খ) আইনি সমস্যা সম্পর্কে আইনি তথ্য প্রদান করা;
গ) লিগ্যাল কাউন্সিলিংয়ের মাধ্যমে আইনি প্রতিকার দেওয়া;
ঘ) আইনি পরামর্শ প্রদান করা;
ঙ) আদালতে মামলা দায়ের সংক্রান্ত প্রাথমিক তথ্য দিয়ে সহায়তা করা;
চ) সরকারি আইনি সেবা সম্পর্কে সাধারণ মানুষের কোনো অভিযোগ থাকলে তা গ্রহণ করে সুপারভাইজরের মাধ্যমে কর্তৃপক্ষকে জানানো;
ছ) গৃহীত ফোন কলের নাম, ঠিকানা, আইনগত সমস্যা ও সেবা সম্পর্কে ডাটা এন্ট্রি করা;
জ) অসহায় ব্যক্তি কোথায় গেলে বা কীভাবে আইনি সহায়তা পাবে সে সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য দেওয়া এবং
ঝ) জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থার অর্পিত অন্য যেকোনো দায়িত্ব পালন করা।
আইনি পরামর্শ কর্মকর্তাদের নিয়োগের শিক্ষাগত যোগ্যতা নির্ধারণ করা হয়েছে “কোনো স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ন্যূনতম দ্বিতীয় শ্রেণি বা সমমানের সিজিপিএ-তে এল.এল.বি (সম্মান) বা সমমানের ডিগ্রি” এবং আইনজীবী হিসেবে কাজ করার অভিজ্ঞতাসম্পন্ন প্রার্থীরা এক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পাবেন।