ফেসবুক স্ট্যাটাসে উপদেষ্টা মাহফুজ আলম
বাংলাদেশে রাজনীতি করতে হলে পাকিস্তানপন্থা বাদ দিতে হবে

- আপডেট: ০২:২৯:০০ অপরাহ্ন, রবিবার, ১১ মে ২০২৫
- / 10
তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মাহফুজ আলম -ফাইল : ছবি
অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা মো. মাহফুজ আলম বলেছেন, ‘৭১ এর প্রশ্ন মীমাংসা করতেই হবে। যুদ্ধাপরাধের সহযোগীদের ক্ষমা চাইতে হবে। শনিবার দিবাগত মধ্যরাতে নিজের ভেরিফাইড ফেসবুক আইডিতে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এসব কথা বলেন।
উপদেষ্টা মো. মাহফুজ আলম বলেন, বাংলাদেশে রাজনীতি করতে হলে পাকিস্তানপন্থা বাদ দিতে হবে।
শনিবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে মাহফুজ আলম তার ভেরিফাইড ফেসবুকে পোস্ট দেন। ‘দুটি কথা’ শিরোনামে তিনি পোস্টটি করেছেন।
‘দুটি কথা’-যা হুবহু তুলে ধরা হল :
১. ’৭১ এর প্রশ্ন মীমাংসা করতেই হবে। যুদ্ধাপরাধের সহযোগীদের ক্ষমা চাইতে হবে। বাংলাদেশে রাজনীতি করতে হলে পাকিস্তানপন্থা বাদ দিতে হবে। পাকিস্তান এদেশে গণহত্যা চলিয়েছে। (পাকিস্তান অফিসিয়ালি ক্ষমা চাইলেও, তদুপরি আবারো ক্ষমা চাইতে রাজি হলেও, যুদ্ধাপরাধের সহযোগীরা এখনো ক্ষমা চায়নি) তাদের ইনিয়ে বিনিয়ে গণহত্যার পক্ষে বয়ান উৎপাদন বন্ধ করতে হবে। জুলাইয়ের শক্তির মধ্যে ঢুকে স্যাবোট্যাজ করা বন্ধ করতে হবে। সাফ দিলে আসতে হবে।
২. মুজিববাদী বামদের ক্ষমা নেই। লীগের গুম-খুন আর শাপলায়-মোদী বিরোধী আন্দোলনে হত্যাযজ্ঞের মস্তিস্ক এরা। এরা থার্টি সিক্সথ ডিভিশন। জুলাইয়ের সময়ে এরা নিকৃষ্ট দালালি করেও এখন বহাল তবিয়তে আছে। আজ পর্যন্ত মুজিববাদী বামেরা কালচারালি ও ইন্টেলেকচুয়ালি জুলাইয়ের সাথে গাদ্দারি করে যাচ্ছে। দেশে বসে জুলাইয়ের পক্ষের শক্তির বিরুদ্ধে এরা চক্রান্ত করেই যাচ্ছে। লীগের এ সকল বিটিমও শীঘ্রই পরাজিত হবে। অন্য কারো কাঁধে ভর করে লাভ নেই।
এর আগে অপর এক পোস্টে মাহফুজ আলম বলেন, আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত হল। আইনি প্রক্রিয়ায় দল হিসাবে নিষিদ্ধ করার প্রভিশন যুক্ত হল। আগামী ৩০ কর্মদিবসের মধ্যে জুলাই ঘোষণাপত্র জারি করা হবে।
উল্লেখ্য, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচারকাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত আওয়ামী লীগের যাবতীয় কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। শনিবার রাতে উপদেষ্টা পরিষদের এক বিশেষ সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস এই সভায় সভাপতিত্ব করেন। প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনায় রাত আটটার দিকে এ সভা শুরু হয়। সভা শেষে যমুনার সামনে রাত ১১টার দিকে ব্রিফিং করেন আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল। তিনি আওয়ামী লীগের যাবতীয় কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত সম্পর্কিত উপদেষ্টা পরিষদের লিখিত বিবৃতি পড়ে শোনান।